পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ - জন ষ্টয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত । কারণ বিষয়ে আমরা সম্পূর্ণ অজ্ঞ, এবং কখনও যে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ইব তাছার ও কোন আশা দেখা যায় না। এই টুকুই তাহার বিশ্বাসের সার। যাহারা উহাকে নাস্তিক বলিয়া নিন্দ করেন তাহারা নাস্তিকতা ও পুৰ্ব্বোক্তমতগত বৈলক্ষণ্য উপলব্ধি করিতে পারেন না। কারণ “এই অনন্ত জগতের আদি কারণ নাই’ এবং এই অনন্ত জগতের আদি কারণ অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয়’ এই দুই মত পরস্পর সম্পূর্ণ বিভিন্ন। প্রথম মতটিকেই প্রকৃতপক্ষে নাস্তিবাদ বল যাইতে পারে। জগতে এই মতের পরিপোষক ব্যক্তির সংখ্যা অতি অল্প। জেমস মিল এ মভের পরিপোষক ছিলেন না ; অধিক কি তিনি এ মতকে সম্পূর্ণ অসঙ্গত বলিয়া মনে করিতেন । দ্বিতীয় মতটি বৰ্ত্তমান প্রত্যক্ষবাদের সার । জেমস মিল, এই মতেরই পক্ষপাতী ছিলেন । যাহারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বতঃসিদ্ধ বলির স্বীকার করেন, তাহারা উহাকে কতকগুলি পরস্পরবি সম্বাদী গুণের আধার বলিয়া নির্দেশ করিয়া থাকেন। র্তাহাদিগের মতে ঈশ্বর সর্বশক্তিমান (১) সৰ্ব্বদশী বা ত্রিকালজ্ঞ (২) এবং অনন্ত দয়ার আধার (৩ ) । জেম্স মিল, জগৎকার্য্য পৰ্য্যালোচনা দ্বারা একাধারে এরূপ পরস্পরবিসম্বাদী গুণত্রয়ের সমাবেশ সম্ভবপর মনে করিতে পারিলেন না । অনন্ত শক্তি, অনন্ত দয়া, এবং অনন্ত জ্ঞান এই তিনের পরস্পর স্বভাবসিদ্ধ কোন বিসম্বাদ আছে বলিয় তাহার বোধ ছিল না । তিনি কেবল কাৰ্য্যতঃ এই তিনের বিসম্বাদ দেখিতে পাইতেন । যে ঈশ্বর জগতে রোগ, শোক প্রভৃতি অনর্থের মূল স্বষ্টি করিয়াছেন—তিনি সৰ্ব্বশক্তিমান হইতে পারেন, কিন্তু তিনি যে কিরূপে অনন্ত দয়ার আধার তাহ তিনি বুঝিতে পারিতেন না। যিনি সৰ্ব্বশক্তিমান, তিনি অনন্ত দয়াবান হইলে জগতে রোগ, শোক কিছুই থাকিত না । যিনি অনস্ত দয়ার অাধার, তিনি সৰ্ব্বশক্তিমান ও ত্রিকালজ্ঞ হইলে জগতে দুঃখের মূলেই কুঠারপাত হুইত সন্দেহ নাই। যে সকল কূট যুক্তিদ্বারা ধৰ্ম্মব্যবসায়ীরা এই बिन-শ্বাদের সামঞ্জস্য বিধান করিতে চেষ্টা করিতেন, জেমস মিলের স্বতীক্ষ (1) Almighty. γ (2) omniscient, (3) Almerciful,