পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o o জন ফরাঢ় মলের জীবনবৃত্ত । নিয়ামক হইবে । মুতারং তাহাদিগের কার্যা-প্রণালীর উপর কাহারও অসন্তুষ্ট হইবার কারণ থাকিবে না। সকল প্রকার শ্রেষ্ঠতন্ত্র শাসনপ্রণালীরই উপর জেমস মিলের বিশেষ বিদ্বেষ ছিল । তিনি সে সমস্তকেই জগতের সুশাসনের প্রধান অন্তরায় মনে করিতেন । এই জন্য তল্লিখিত সমস্ত রাজনৈতিক প্রস্তাবেই তিনি রাজ্যের প্রত্যেক ব্যক্তিরই মহাসভার সভ্য মনোনীত করণের আবশ্যকতা প্রতিপাদন করিয়াছেন । মনুষ্য মাত্রেরই আপন নিয়ম ও শাসনকর্তা মনোনীত করিবার অধিকার আছে বলিয়াই যে তিনি এরূপ বলতেন তাহা নহে ; রাজেন্দ্র নিয়ম ও শাসনবিষয়ে ব্যক্তিমাত্রেরই হস্ত না থাকিলে কখনই রাজ্যে সুনিয়ম ও স্বশাসন সংস্থাপিত হইতে পারে না । এই জন্যই তিনি এরূপ বলিতেন। তিনি বেনথামের ন্যায় এরূপ বিশ্বাস করিতেন না যে রাজ থাকিলে রাজ্যে সুনিয়ম ও সুশাসন সংস্থাপিত হইতে পারে না । মুনিয়ম ও সুশাসন সংস্থাপনে রাজার ভাব আর অভাব দুই সমান। রাজ্যের সকল শ্রেণীর উপর রাজ্যের শাসন ও নিয়ম সংস্থাপনের ভার থাকিলে রাজার ভাল বা মন্দ হওয়ায় কিছু বিশেষ আসে যায় না । তিনি বলিতেন যে শুদ্ধ সন্ত্রাস্ত-শ্রেণীর হস্তে রাজ্যভার অর্পিত থাকিলে রাজ্যের যেরূপ অনিষ্ট সন্তুfবনা, সেইরূপ গবর্ণমেণ্ট-সাহায্যক্ত যাজকমঙুলী দ্বারা ধৰ্ম্মনীতির উচ্ছেদ সম্ভাবনা । মানবমনের নৈতিক উন্নতির স্রোত রোধ করা তাহাদিগের স্বার্থ। কারণ মানবজাতি নীতিমার্গে অতিশয় অগ্রসর হইলে, তাহাদিগের অস্তিত্ব অনাবশ্যক হইয়া উঠে । এই জন্য তিনি যজক সম্প্রদায়কে অতিশয় ঘৃণা, করিতেন । যা জকমণ্ডলীর ব্যক্তিবিশেষের উপর তাহার কোন বিদ্বেষ ছিল না । বরং অনেকের সহিত র্তাহার বিশেষ বন্ধুত্ব ছিল । কেবল তিনি প্রজাদিগের রুধির দ্বারা এরূপ সম্প্রদায়ের পরিপোষণ প্রণালীর উপর বিশেষ বিরক্ত ছিলেন । নীতিবিষয়ে জেমস মিলের মত সম্বন্ধে শুদ্ধ .এই বলিলেই পর্যাপ্ত হইবে যে যাহা কিছু জগতের অধিকাংশ প্রাণীর হিতসাধক তাহাই নীতিমার্গানুমোদিত। এতদ্ভিন্ন আর যাহা কিছু সকলই ভ্রাস্তি-বিজুস্তিত। তিনি স্ত্রী ও পুরুষজাতির পরস্পর অসঙ্কো