পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বকীয় অন্তর্জগতের গৃঢ় গণনায় নিমগ্ন হইল। ১৮২১ খৃষ্টাব্দের শীত কালে যখন মিল বেন থামের গ্রন্থসকল পাঠ করিতে আরম্ভ করেন, বিশেষতঃ যৎকালে ওয়েষ্টুমিনিষ্টার রিভিউ প্রাছন্থত হয়, সেই সময় হইতেই প্রকৃত প্রস্তাবে মিলের জীবন লক্ষ্যবিশিষ্ট হয় । এতদিন ইহা সম্পূর্ণরূপে লক্ষ্য-শূন্য ছিল । এখন হইতে জগতের মঙ্গল সাধন করা, জগতের কুসংস্কার অপনীত করা-ৰ্তাহার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হইয়া উঠে । তাহার সুখ, তাহার" সন্তোষ —এই লক্ষ্যের সহিত গ্রথিত হইয়া গেল। যাহার এই ব্রতে ব্ৰতী, এই ব্রতের অনুষ্ঠান বিষয়ে তিনি র্তাহাদিগেরই সহানুভূতির প্রার্থী হইলেন। তিনি এখন হইতেই এই ব্রত্রে অনুষ্ঠানোপযোগি উপকরণসকল সংগ্ৰহ করিতে লাগিলেন। একদিন অকস্মাৎ তাহার হৃদয়াকাশে এক খনি চিন্তামেঘ সমুদিত হইয়া র্তাহার সুখ-স্বৰ্য্য আচ্ছাদিত করিয়া ফেলিল। তাহার মনে সহসা এই প্রশ্ন উত্থিত হইল, “মনে কর তোমার জীবনের সমস্ত উদ্দেশ্য সংসাধিত। হইল ; তুমি যে সকল সামাজিক, নৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য এতদূর যত্ন করিতেছ, সে সমস্ত এই মুহূর্বেই সংসাধিত হইল ; ইহাতেই কি তোমার অপরিসীম আনন্দ ও সুখের উৎপত্তি হইবে ?” সহসা অনিবাৰ্য্য আত্মজ্ঞান উত্তর করিল “না !” এই উত্তরে উহার হৃদয় অন্তরে বিলীন হইল। যে ভিত্তির উপর তাহার জীবনগৃহ নিৰ্ম্মিত হইতেছিল, তাহ সহসা ভূতলশায়িনী হইল। তিনি দেখিলেন যে যাহা তাহার জীবনের লক্ষ্য,—তাহার প্রাপ্তিতে সুখের অভাব । যাহার প্রাপ্তিতে মুখের অভাব, তাহার অনুসরণে কাহারও প্রবৃত্ত্বি জন্মে না । সুতরাং মিলেরও জীবনের লক্ষ্য সংসাধনে প্রবৃত্তি রহিল না। কিছুদিনের জন্য তাহার জীবনতরি কর্ণধার-শূন্য হইল r মিল ভাবিলেন এই চিন্তামেঘ তাহার হৃদয়াকাশ হইতে শীঘ্রই অপস্থত হইবে। কিন্তু তাহ হইল না । শাস্তিদায়িনী নিদ্র তাহার হৃদয়ে ক্ষণিক মাত্র শাস্তি প্রদান করিল । তিনি জাগরিত হইলেন। হতাশা তাহার হৃদয়কে পূৰ্ব্ববং জর্জরিত করিতে লাগিল । তিনি যে কাৰ্য্যে, যে সভায় গমন করিতেন, গভীর হতাশ ভাব তাহার