পাতা:জন্‌ ষ্টুয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিণতি হয় না, এই জন্য মিল ১৮৩১ খ্ৰীষ্টাব্দে “দি স্পিরিট অব দি এজ” . নামক এক খানুি স্বতন্ত্র গ্রন্থে বর্তমান সময়ের প্রকৃতি এবং পরিবর্তনের আনুষঙ্গিক অবশ্যম্ভাবী ও অনিবার্য বিশৃঙ্খলা-জনিত অনিষ্টপাত বিষয়ে নিজের মত সকল সন্নিবেশিত করেন। এই পুস্তক পাঠে কালাইল অতিশয় প্রীত হন এবং স্বয়ং চেষ্টা করিয়া মিলের সহিত আলাপ করেন । মিল যে সকল উপায়ে জ্ঞানলাভ করিয়াছিলেন কালাইলের গ্রন্থাবলী তাহার অন্যতম। কালাইলের রচনাবলী-কবিত্ব ও জাৰ্ম্মান, মনোবিজ্ঞানে পরিপূর্ণ। সেই সমস্ত রচনার সাধারণ ভাব,—ধৰ্ম্মে বিশ্বাসাভাব, হিতবাদ, অবস্থাবাদ এবং সাধারণতন্ত্র, ন্যায়দর্শন ও অর্থনীতিশাস্ত্রের অত্যাবশ্যকতা প্রভৃতি—মিলের প্রধান প্রধানমত সকলের বিরোধী। যদিও কালাইলের মত সকল মিলের মত সকলের সম্পূর্ণ বিরোধী ছিল, তথাপি মিল, বহুকাল পর্য্যন্ত কালাইলের রচনাবলীর একজন প্রধান স্তুতিবাদক ছিলেন । কালাইলের দর্শন মিলের বুদ্ধিবৃত্তিকে মাজিত না করুক, কালাইলের কবিত্ব মিলের হৃদয়কে উৎসাহিত ও উত্তেজিত করিয়াছিল সন্দেহ নাই । ধীশক্তিসম্পন্ন যতগুলি লোকের সহিত মিলের পূর্ব পরিচয় ছিল, তন্মধ্যে জ্যেষ্ঠ অষ্টিনের সহিতই তাহার মতের অনেক ঐক্য হইত । কাল'ইলের তেজস্বিনী কল্পনা ও মিলের গভীর চিন্তাশীলতা—এ দুইই জ্যেষ্ঠ অষ্টিনে অধিকতর উৎকর্ষ লাভ করে। অষ্টিন, লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের জুরিস্পডেন্সের অধ্যাপকপদে অভিষিক্ত হইয়া আইন অধ্যয়নের নিমিত্ত বরন নগরে গমন করেন। জাৰ্ম্মান, সাহিত্য এবং জাৰ্ম্মান, সমাজের প্রকৃতি ও অবস্থা—মানবজীবন সম্বন্ধে তাহার মত সকলে অনেক পরিবর্তন সংঘটিত করে । জাৰ্ম্মান প্রভাবে তাহার স্বভাব কোমলতর, उँtशंद्र তর্কম্পূহ ক্ষীণতর, এবং তাহার কবিত্ব ও চিন্তা শক্তি প্রবলতর হইয়া উঠে । তিনি বর্তমান সময়ের অন্ত:সংস্কার-বিরহিত বাহ পরিবর্তনের বিরোধী হইয়া উঠিলেন। সাধারণতঃ ইংরাজ জীবনের নীচতা, ইংরাজ চিন্তার সঙ্গীর্ণতা, ইংরাজ হৃদয়ের অনুদারতা