পাতা:জপজী - গুরু নানক.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( . ) প্ৰতি তাহার মন আকৃষ্ট ছিল। ইহা শ্ৰবণ করিয়া কাজী সাহেব নানকের পদতলে পতিত হন, এবং সাশ্র-নয়নে নানকের বাক্য যথাৰ্থ বলিয়া স্বীকার করেন । নানক বিশুদ্ধ গুরুবাদী ছিলেন। যাহারা 'শিখ-ধৰ্ম্মের নিগুঢ়-তত্ত্ব বিশেষরূপে অবগত নহেন, তাহারা সকলেই নানককে ব্ৰহ্মবাদী বলিয়া থাকেন। বস্তুত গুরুবাদী ও ব্ৰহ্মবাদীর মধ্যে বিশেষ কোনই পার্থক্য নাই। কিন্তু অন্তত বাঙ্গালাদেশে আমরা চলিত-কথায় যাহাকে ব্ৰহ্মবাদ বলিয়া বুঝি, অর্থাৎ মহাত্মা রাজা রামমোহন কর্তৃক প্ৰবৰ্ত্তিত এবং মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ও ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র কর্তৃক সংস্কৃত যে ব্ৰহ্মবাদ প্ৰচলিত আছে, নানকাজী সে প্রকার ব্ৰহ্মবাদী ছিলেন না। নানক, একমাত্র গুরু ব্যতীত অন্য কোন দ্বিতীয় ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করিতেন না। এই সদগুরুকেই তিনি কখনও পরমাত্মা, কখনও গোবিন্দ, কখনও স্বয়ম্বু, কখনও বা শ্ৰীরাম, হরি, পাৰ্ব্বতী, ব্ৰহ্মা, গোরক্ষ-নাথ প্ৰভৃতি বিভিন্ন নামে সম্বোধন করিতেন। তিনি বলিয়াছেন, কোনও ভাষা শিক্ষা করিতে হইলে যেমন সৰ্ব্বাগ্রে উহার বর্ণমালা অভ্যাস করিতে হয়, বর্ণমালী-জ্ঞান না জন্মিলে কোন ভাষায়ই প্রবেশাধিকার জন্মে না, সেই প্রকার সদগুরুর আশ্রয় না পাইলে, কোন মনুষেরই ধৰ্ম্ম-জগতে প্ৰবেশ করিবার অধিকার জন্মে না । বর্ণমালা অভ্যাস হইলে, পরে যতই উৎকৃষ্ট তত্ত্বপূর্ণ গ্ৰন্থ পাঠ করিয়া গভীর জ্ঞান অর্জন কর না কেন, ঐ সমস্ত গ্রন্থের মহা-বাক্যগুলি বর্ণমালারই পরস্পর সমাবেশমাত্র ; বর্ণমালা ত্যাগ করিয়া কোন গ্ৰন্থই পাঠ করিবার উপায় নাই। সেই প্ৰকার ধৰ্ম্ম-জগতেও সাধনবলে যতই গভীর তত্ত্ব-রাজি ও মহা-সত্য সকল প্ৰাণে উপলব্ধি করা না কেন, উহা সমস্তই সদগুরুর ভিতর দিয়া প্ৰকাশিত হইবে। সদগুরুর