পাতা:জপজী - গুরু নানক.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( s ) পরন্তু সদগুরু-বাণী অনুসারে ধৰ্ম্মযাজন করিতে করিতে যাহার পক্ষে যে প্ৰকার প্রয়োজন, তাহার নিকট সেই প্ৰকার পন্থাই প্ৰকাশিত হইবে। সমস্ত মানবসমাজ ধৰ্ম্মের একই - সিঁড়িতে ौड़ाईब्रां नांशे ; श्रङब्रांश একজনের পক্ষে যাহা বিধি, অন্যের পক্ষে তাহা নিষেধ হওয়া কিছুই আশ্চৰ্য্য নহে। এই প্ৰকার উদার ও সাৰ্ব্বজনীন মত মহাত্মা নানক ব্যতীত আর কেহ ইতিপূৰ্ব্বে প্রচার করিয়াছেন বলিয়া আমরা অবগত নাহি। তাই তিনি হিন্দুর দেবাৰ্চনা ও মুসলমানের নেমাজ উভয় ব্যাপারেই পূৰ্ণপ্ৰাণে যোগ দিতে সক্ষম হইয়াছিলেন। নানকের বহু বৎসর পরে, বাঙ্গালা দেশে এক মহাপুরুষ এই প্ৰকার সাৰ্ব্বজনীন উদার-ধৰ্ম্ম প্রচার করিয়াছিলেন ; হিন্দু, মুসলমান, খৃষ্টান, ব্ৰাহ্ম সৰ্ব্ব-বর্ণের লোক তঁাহার শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। কিন্তু তাহার কথা বলা আমাদের বর্তমান গ্রন্থের উদ্দেশ্য নহে। নানকের বৈরাগ্য দেখিয়া, কালু ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজন মনে করিলেন, বোধ হয় বিবাহ দিলে নানকের মনের অবস্থা পরিবৰ্ত্তিত হইতে পারে। এই প্রকার ধারণার বশবৰ্ত্তী হইয়া, যখন নানকের বয়স বিংশবর্ষ, সেই সময়ে পক্ষকারান্ধব গ্রামবাসী মূলা-নামক ক্ষত্রিয়েৰু কন্যা চোঁনীর সঙ্গে তাহারা নানকের বিবাহ দিলেন। কিন্তু যাহার চিত্ত একবার গুরু-মুখী হইয়াছে, সংসারের এমন কি শক্তি আছে, যাহাতে তাহাকে পুনরায় ঘর-মুখী করিতে পারে ? এই সময়ে নানকের ভগবৎ-প্ৰেম দিন দিন বদ্ধিত হইতেছিল। সে নবানুরাগে যুবতী পত্নী ও সাধের মুদি-খানা কোথায় ভাসিয়া গেল ! তিনি একান্ত চেষ্টা করিয়াও সংসার-ধৰ্ম্মে মনোনিবেশ করিতে পারিলেন না । তিনি সংসারে থাকিয়াও উদাসীর ন্যায় জীবন-যাপন করিতেন, এবং দিবসের অধিকাংশ সময়ই বালা ও মর্দানার সহিত নির্জনে ভগবৎ-প্রসঙ্গে কাল কাটাইতেন।