পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭২
জয়তু নেতাজী

অফুরন্ত রূপকথা শুনিয়া ভক্তিবিস্ময়ে বিহ্বল হইতেছিল। সেই রূপকথার মধ্যে সে এক নৃতন রাজপুরী ও রাজকন্যার সন্ধান পাইল,―জীবন ও মৃত্যু, প্রেম ও পৌরুষের, ক্রন্দন ও উৎসবের ―এক নূতন রস ও নূতন তত্ত্ব সে হৃদয়-গােচর করিল; ইংরেজের দ্বারা বাঙালী যেমন মুগ্ধ হইয়াছিল এমন আর কোন ভারতীয় জাতি হয় নাই। তাহার সেই ছলনা সে কেমন করিয়া বুঝিবে? ইংরেজ-জাতির চরিত্রে যে পরস্পরবিরােধী দুইটা দিক আছে, যাহার জন্য সে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বণিক ও শ্রেষ্ঠ কবি, এবং যে কারণে সে চিরদিন “Perfidious Albion” নামে পরিচিত হইয়াও সকলের শ্রদ্ধা আকর্ষণ কয়ািছে― তাহার সেই অপার ছলনা এই সুরল ভাবপ্রবণ জাতি বুঝিবে কেমন করিয়া? তাহার চরিত্রের একটা দিকই সে সেই প্রথম-পরিচয়ের যুগে কিছু বেশি করিয়াই দেখিয়াছিল, তাহার কারণও ছিল; য়ুরোপে তখন একটা নূতন হাওয়া বহিতেছিল, সেই হাওয়া ইংরেজের গায়েও লাগিয়াছিল। তথাপি ইংরেজ-চরিত্রের সেই রহস্যভেদ করিতে অনেক দিন লাগিয়াছিল, এবং ভেদ করতে পারিলেও সেই ভক্তি তাহার অন্তর হইতে কিছুতেই সে দূর করিতে পারে নাই, ইংরেজ তাহার আত্মার উপরে চাপিয়া বসিয়াছিল। ইহার প্রমাণ―ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষেও রবীন্দ্রনাথের মত কবি-মনীষী বলিতেছেন―

 “ইংরেজের যাহা কিছু শ্রেষ্ঠ, ইংরেজ তাহা যে সম্পূর্ণভাবে ভারতবর্ষে প্রকাশ করিতে পারিতেছে না, সে জন্যও আমরা দায়ী আছি। আমাদের