পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গান্ধীজী ও নেতাজী
৭৩

দৈন্য ঘুচিলে তবে তাহাদের কৃপণতাও ঘুচিবে” [ইহাকেই আমি ঊনবিংশ শতাব্দীর মনোভাব বলিয়াছি―মহাত্মা গান্ধীর এই মনোভাব এখনও পুরামাত্রায় আছে।]

 “ভারতবর্ষ অত্যন্ত অধিক পরিমাণে ইংরেজের লাভকে, ঔদ্ধত্যকে, ইংরেজের কাপুরুষতা ও নিষ্ঠুরতাকেই উদ্বোধিত করিয়া তুলিতেছে, একথা যদি সত্য হয়, তবে সেজন্য ইংরেজকে দোষ দিলে চলিবে না, এ অপরাধের প্রধান অংশ আমাদিগকে গ্রহণ করিতে হইবে।”

 “নিজের দেশকে যখন আমরা নিজের চেষ্টা নিজের ত্যাগের দ্বারা নিজের করিয়া লইব,―তখন ভারতবর্ষে আমরা ইংরেজদের সহযোগী হইব, তখন ইংরেজকে আমাদের সঙ্গে আপোষ করিয়া চলিতে হইবে।” [স্বাধীনতা-লাভের কোন চিন্তাই ইহাতে নাই।]

 এইরূপ মনোভাবের একটা কারণ, ইংরেজের দেশে যাহারা ইংরেজকে দেখিয়াছে, তাহারা, ভারতবর্ষে যাহাদিগকে দেখে তাহাদিগকে সেই জাতি বলিয়াই মনে করে, না করিয়া পারে না; সেই জাতি নিজ দেশে এমন ধর্ম্মনিষ্ঠ, সত্যনিষ্ঠ, ও চরিত্রবান হইয়া, ভারতবর্ষে আসিয়া এমন মূর্ত্তি ধারণ করে কেন—ইহা বুঝিয়াও কেহ বুঝিতে চাহেন নাই, অথচ ঐ রবীন্দ্রনাথই একথাও বলিয়াছেন যে―

 “যে সকল জাতি মনুষ্যে মনুষ্যে ব্যবহারে সত্যের মর্য্যাদা রাখে, ন্যায়াচরণকে শ্রেয়োজ্ঞান করে•••রাষ্ট্রতন্ত্রে তাহাদেরও ধর্ম্মবোধ অসাড় হইয়া পড়ে।”

 আশ্চর্য্য নয় কি? এত জানিয়া, এত বুঝিয়াও ইংরেজভক্তির মোহ কিছুতেই ঘোচে না। ইহার পর, “ছোট ও বড়”