পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গান্ধীজী ও নেতাজী
৮১

রূপে সাক্ষাৎ-দর্শন করিয়াছে, রক্তমাংসের শরীরে তাহার আবির্ভাব দেখিয়াছে। সে এমন দেখা যে, তাহার পর আর কিছু বুঝিতে বা শুনিতে হয় না, তাহারা সকল শোনা ও সকল দেখার— ‘শ্রুতি’ ও ‘শ্রোতব্যে’র-পারে গিয়াছে; কারণ তাহারা যে ‘দেখিয়াছে’! তেমন দেখা কি আর কেহ দেখাইতে পারিয়াছে? যাহারা হিংসা-অহিংসার কথা বলে তাহারা কি ইহাও বুঝে না যে, যুদ্ধ সুভাষচন্দ্রের বৃত্তি বা পেশা নয়—যুদ্ধবিদ্যাই তাঁহার নিকটে পরাবিদ্যা নয়; যিনি কুরুক্ষেত্রে অর্জ্জুনের সারথি হইয়াছিলেন, এবার তিনিই নিজে রথী ও সারথি হইয়া সুভাষচন্দ্রের হৃদ্‌দেশে আসন লইয়াছেন। অথবা, নেতজীর ঐ যুদ্ধযাত্রা, উহা যেন বুদ্ধের সেই মহাভিনিষ্ক্রমণ―[১]

  1. ইহা যে কত সত্য তাহা বুদ্ধের সম্বন্ধে স্বামী বিবেকানন্দের এই বাক্যগুলি পাঠ করিলেই নিঃসংশয় হওয়া যায়, ইহার প্রাকটি কথায় নেতাজীর সমগ্র জীবন ও অন্তরতম চরিত্রের পরিচয় অভ্রান্ত হইয়া উঠিয়াছে―
     “That boldness, that fearlessness, who that tremendous love. He was born for the good of men. Others may seek God, others may seek truth for himself, he sought truth because people were in misery. How to help them that was his only concern. Throughout his life he never had a thought for himself."
     যাঁহারা আধ্যাত্মিক ধর্ম্ম সাধনার উচ্চাভিমানে এমন চরিত্রের কু-ব্যাখ্যা করেন (শ্রীদিলীপকুমারের ইংরাজী পুস্তক দ্রষ্টব্য) তাঁহাদের সম্বন্ধেও স্বামীজী যথার্থই বলিয়াছেন―
     “How can we, ignorant, selfish, narrow-minded human beings ever understand the greatness of this man?”