পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 দেশের দুর্গতিমোচনের প্রয়াস যে উপায়েই হোক, সেই দুর্গতির নিদান সম্বন্ধে অভ্রান্ত দৃষ্টিই সর্ব্বাগ্রে প্রয়োজন। অভাবটা মূলে কোথায়, কি চাই, ইহাই যদি স্থির করিতে না পারি, তবে উপায় যত বড় উপায় হৌক, যত সাধু বা সত্য উপায় হৌক—তাহার অর্থ কি? মূল্যই বা কি? লক্ষ্য সম্বন্ধে যদি সত্য-জ্ঞান ও বিশ্বাস না থাকে, তবে একদিন উপায়টাই পরমার্থ হইয়া উঠিতে পারে, উপলক্ষ্যটা লক্ষ্যকে ছাড়াইয়া যাইতে পারে। গান্ধী-নীতি ও সুভাষ-নীতির মধ্যে কেবল একটা উপায়গত ভেদই আছে মূলে দুইয়েরই লক্ষ্য এক, কেবল উপায়ের প্রভেদ মাত্র—একটি অহিংসার ও অপরটি হিংসার পথ, এই যে ধারণা, হহাব মত ভুল আর নাই। গান্ধীজী নেতাজীর লক্ষ্য এক নয়, একজন চান—যতদূর সম্ভব—দেশের জনগণের দুর্গতি-লাঘব, আর একজন চান—মুক্তি। একজন অন্তরের অন্তরে ব্রহ্মবাক্যের মত বিশ্বাস করিয়াছেন যে, এ ব্যাধির যে নিদান তাহাতে ঐ মুক্তি ছাডা আরোগ্যের আর কোন উপায় নাই, এজন্য মুক্তি আগে—পরে আর সব, আরেকজন তাহা বিশ্বাস করেন না, তাঁহার নিকট মুক্তির চিন্তা আগে নয়, দুর্গতিমোচনটাই আগে; সেই দুর্গতিমোচনের জন্য মুক্তির প্রয়োজন থাকিলেও তাহা সর্ব্বাগ্রে সম্ভবও নয়, আবশ্যকও নয়