পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৪
জয়তু নেতাজী

হয়, যদি সেই মহাবীর্য্যবান, মহাপ্রেমিক, মহাপ্রাণ পুরুষ-বীরের আত্মোৎসর্গ আমাদিগকে মুক্তির পথে অগ্রসর না করিয়া থাকে, তবে আমাদের মুক্তির আর কোন আশা নাই। নেতাজীর পন্থাকে যাহারা কেবল হিংসা বা যুদ্ধের পন্থা বলিয়াই মনে করে তাহারা এখনও তাঁহার জীবনের মূলমন্ত্র বুঝিতে পারে নাই,—“স্বাধীনতা আগে, পরে আর সব।” সেই স্বাধীনতার ঐকান্তিক আকাঙক্ষা, এবং তাহার জন্য সেই প্রেম ও সেই প্রাণ—একটা অতি প্রবল ইচ্ছাশক্তির প্রয়োগ,—বিবেকানন্দের মন্ত্রশিষ্য নেতাজী তাহাকেই একমাত্র উপায় বলিয়া জানেন। গান্ধীজীর প্রেরণা সম্পূর্ণ moral - নেতাজীর প্রেরণা একান্তভাবে spiritual; একটিতে আছে সংকল্প-বিকল্পাত্মক মনের উপরে ধর্ম্মাধর্ম্মবোধের কঠিন শাসন, আর একটিতে আছে “বুদ্ধেঃ পরতস্তু” যে, সেই আত্মার সর্ব্ববন্ধন-মুক্তি—অকুণ্ঠিত প্রসার, অসীম স্ফূর্ত্তি। গান্ধীজী ধমক দেন, ভর্ৎসনা কুরেন, নেতাজী বুকে জড়াইয়া ধরেন। গান্ধীজী বলেন, তোমরা দুর্ব্বল, পাপচিত্ত—আমি করিব কি? নেতাজী বলেন, কোন ভয় নাই, তোমাদের ভিতরে অনন্ত শক্তি আছে; বিশ্বাস কর— আমাকে দেখ, তোমাদের পক্ষেও কিছু অসাধ্য নয়। গান্ধীজী নিয়মিত ভজনের দ্বারা, আত্মশুদ্ধি বা পাপমোচনের উপদেশ দেন, নেতাজী ভগবানের নাম করেন না, মানুষের নামই করেন তাঁহার ধর্ম্ম—ভগবানকে ভক্তি নয়, মানুষকে প্রেম; সেই প্রেমে পাপের চিন্তামাত্র নাই। নেতাজীর মধ্যে যে-শক্তির স্ফুরণ আমরা