পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গান্ধীজী ও নেতাজী
৯৫

দেখিয়াছি, তাহা জগতে কচিৎ কখনো দেখা যায়; ভারতবর্ষের ইতিহাসে মনুষ্যভাগের একটি অতিকঠিন সঙ্কট উপস্থিত হইয়াছে বলিয়াই, এবং তাহা হইতে এই বিশাল মানবগোষ্ঠীর পরিত্রাণের আর কোন উপায় নাই বলিয়াই, আজ এ ঘটনা ঘটিয়াছে;— সমগ্র জাতির ভ্রান্তি ও দুর্ব্বলতা, ভয় ও নিরাশা, ঐ এক পুরুষের অসীম প্রেম ও অনন্ত বিশ্বাসের তাড়িতশক্তি বলে তিরোহিত হইতে চলিয়াছে, নেতাজীর সেই বিরাট বিশাল হৃদয়-মুকুরে ভারতবর্ষ আজ তাহার আত্মার প্রতিবিম্ব দেখিয়া উঠিয়া বসিয়াছে— তাহার নবজন্ম হইয়াছে।

 এই প্রবন্ধে, আমি কেবল গান্ধীজী ও নেতাজী—দুইজনের দুই মন্ত্র আমার সাধ্যমত বুঝাইবার চেষ্টা করিয়াছি; দেশের বর্ত্তমান অবস্থায় কোন্ মন্ত্র অধিকতর উপযোগী, এবং সেই মন্ত্রে পরিত্রাণের উপায়ই বা কি, সে বিচার আমি করি নাই। উপায় যেমনই হৌক, তাহার মূলে একটা সত্য-নীতি থাকা চাই, এবং সত্য এক বই দুই নয়—তাহাতে মাত্রাগত প্রভেদও নাই; উপায় যদি সেই সত্য হইতে ভ্রষ্ট হয়, তবে অনন্তকালেও সিদ্ধিলাভ ঘটিবে না। আমি কেবল সেই সত্যটিকে ধরিবার চেষ্টা করিয়াছি। আমি যাহা বলিয়াছি, তাহাতে আমার মত ব্যক্তির পক্ষে অতিরিক্ত দুঃসাহস আছে; অধিকাংশ পাঠকের তাহা শ্রুতিরোচক হইবে না। কারণ, আমি ইহা স্পষ্টই বলিয়াছি যে, গান্ধীজী নিজে সত্যনিষ্ঠ, সত্যাগ্রহী ও আত্মবিশ্বাসী হইলেও তাঁহার ঐ নীতি অতিশয় ভ্রান্ত-নীতি; সেই