পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী
৯৯

মন্ত্র লাভ করিয়াছিল, তার পর ভূমিষ্ঠ হইয়া, জ্ঞানোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সে সেই মন্ত্রসাধনের উপায় বা পন্থা খুঁজিয়াছে, স্বপ্নে জাগরণে এক মুহূর্ত্ত স্থির থাকিতে পারে নাই; নিমজ্জমান ব্যক্তি যেমন আকুলভাবে জলের উপরকার বায়ুমণ্ডলে নিঃশ্বাস লইবার চেষ্টা করে, সে তেমনই করিয়া মুক্তিলাভের চেষ্টা করিয়াছে। সে নিজের মধ্যে যে মুক্তিকে অপরোক্ষ করিয়াছে, বাহিরেও সেই মুক্তিকে সত্য করিয়া তুলিতে না পারলে সে বাঁচিবে কেমন করিয়া? তাহার মূর্ত্তিও যেমন, তাহার সেই বাণীও তেমনই উর্জ্জস্বল। তাই এই বৃহৎ কারাগারে বন্ধনই যাহাদের জন্মগত সংস্কার, তাহারা মুক্তিদূতেব সেই অদ্ভুত বাণী ও অদ্ভুত আচরণে বিস্ময-বোধ করিল, কিন্তু শ্রদ্ধা করিল না; যাহারা সেই বন্ধন দশায় কোলাহল শুরু করিয়াছে তাহারা মুগ্ধ হইল, কিন্তু বিশ্বাস করিল না, এবং যাহারা মুক্তিকে বিশ্বাস করে না, যাহাদের মুক্তির ধারণাই অন্যরূপ—অতিশয় ভিন্নপথে মানুষগুলাকে চালনা করিতে পারিয়া যাহারা দলপতিত্বের অভিমানে অন্ধ হইয়াছিল, বণিকের মত অতি-সাবধানী হিসাব-বুদ্ধিই যাহাদের কর্ম্মবুদ্ধি, এবং ভিক্ষাই যাহাদেব ধর্ম্ম—তাহারা এই নব গাণ্ডীবীর গাণ্ডীবে মুক্তি-মন্ত্রের টঙ্কার শুনিয়া প্রমাদ গণিল, নিজেদের নেতৃত্বনাশ-ভয়ে ভীত হইয়া তাহারা ঐ মুক্তিদূতকে ছলে বলে কৌশলে দেশ হইতে বিতাড়িত করিবার কত চেষ্টাই না করিল! কিন্তু পারিল না। ক্ষুদ্র যেমন মহৎকে পারে না, মিথ্যা যেমন সত্যকে পারে না, মেঘ যেমন সূর্য্যকে পারে না, তেমনই পারিল