পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী
১১১

লাগিলেন—ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের সঙ্গে রফা করার বিরুদ্ধে উদ্যোগ আয়োজন করিতে লাগিলেন। ঐ হরিপুরা-কংগ্রেসে তাঁহার প্রণীত, ইংরেজ সরকারের সহিত সংগ্রাম-মূলক একটি প্রস্তাব তিনি পাস করাইয়া লইয়াছিলেন—গান্ধী-চক্র সেজন্য বড়ই অসন্তুষ্ট হইয়াছিল। এক্ষণে সুভাষচন্দ্র পরবর্ত্তী অধিবেশনে ঐ ‘ফেডারেশনে’র বিরুদ্ধে কংগ্রেসকে বাঁধিয়া ফেলিবার জন্য সর্ব্বত্র যে প্রচার-কর্ম্ম করিতেছিলেন তাহাতে সেই গান্ধী-অধিষ্ঠিত নেতা-কোম্পানী অতিশয় চঞ্চল হইয়া উঠিল জনার্দ্দন তাহাদের পক্ষে—পক্ষেই বা কেন, জনার্দ্দনই ত সব করিবেন ও করাইতেছেন; সেই জনার্দ্দনের নামে ধার্ম্মিকও ধর্ম্মত্যাগ করিবে, সত্যবাদীরা নীরব থাকিবে, এমন কি বামপন্থীরাও প্রকাশ্যে বিরুদ্ধাচরণ করিতে সাহস পাইবে না। এদিকে সুভাষচন্দ্র দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রপতি হইবার জন্য দেশবাসীর সম্মতি চাহিয়াছেন, হইলে রক্ষা নাই—ফেডারেশনের গয়া প্রাপ্তি হইবে। গান্ধীজী ভিতরে ভিতরে এমন একটি ব্যক্তিকে মনোনীত করিয়াছেন যাহার মত বীর-ভক্ত আর নাই,—সেই সীতারামায়াকেই রাষ্ট্রপতিরূপে খাড়া করিয়া তাহাদ্বারা অনায়াসে কার্য্যসিদ্ধ হইবে। সুভাষচন্দ্রের নিজে রাষ্ট্রপতি হইবার কোন আকাঙ্ক্ষাই ছিল না; তিনি ভারতের স্বাধীনতা-সংগ্রামকে সেই গুরুতর লগ্নে (দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ তখন আসন্ন) বিপথে নষ্ট হইতে দিবেন না; শীঘ্রই যে সমস্যা এবং যে সুযোগ উপস্থিত হইবে তাহার পক্ষে ঐ গান্ধী-নীতি যে কিরূপ ভয়াবহ তাহাই চিন্তা করিয়া তিনি