পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী
১২৯

করিয়া রাখা, এবং জন-মনের উপরে সেই প্রভাবটাকেই প্রতি পক্ষের আশঙ্কাজনক করিয়া তোলা—ইহার বেশি কিছু সে করিয়াছে? সেই আশঙ্কাবৃদ্ধি ছাড়া সে আর কিছুই করে নাই, করিবার সামর্থ্যও তাহার নাই। প্রতিপক্ষও তাহা জানে, এবং তাহার সেই নিস্ক্রিয়তার সুযোগে সে সর্ব্ববিধ সাবধানতা অবলম্বন করিয়াছে,—এমন করিয়া আট-ঘাট বাঁধিয়া লইয়াছে যে, সেই আশঙ্কাও সে আর করে না, অতিশয় বর্ত্তমানে সেই সত্য আরও প্রকট হইয়া উঠিয়াছে। আজ গান্ধী-কংগ্রেস যে জয়লাভের গর্ব্ব করিতেছে তাহার মত মিথ্যা, শোকাবহ ও লজ্জাকর কিছু আছে? নেতৃত্বের প্রমাণ কেবল ক্রমাগত কতকগুলা পরীক্ষামূলক কর্ম্মপদ্ধতি-প্রণয়ন করাতেও নয়, অথবা সর্ব্বপ্রকার সংঘর্ষ এড়াইয়া, গা বাঁচাইয়া, কেবল আপোষ-নিষ্পত্তির আশায় বসিয়া থাকা, কিম্বা অভিমান বা বীরত্ব করিয়া জেলে যাওয়াতেও নয়। এ যেন নিথর নিষ্কম্প জলে টোপের পর টোপ ফেলিয়া ছিপ হাতে বসিয়া থাকা; শেষ পর্যন্ত একটি পুঁটিমাছ ধরিতে পারিলেও তাহাতেই ধন্য বোধ করা। পাছে সেইরূপ বসিয়া-থাকাকে এবং ঐরূপ পুঁটিমৎস্যকে কেহ শ্রদ্ধার চক্ষে না দেখে, সেজন্য ক্রমাগত শ্রীমদ্‌ভাগবত-পাঠ এবং নানাবিধ ধর্ম্মোপদেশ ও ভজনগানের দ্বারা জনগণকে সম্মোহিত করাই নেতৃত্বের অপর একটি গুরুতর কর্ম্ম, স্বাধীনতার নামে একটি মাকাল-ফল মূল্যবান্ হইয়া উঠিয়াছে, তাহাই লাভ করিয়া কৃতার্থ হইতে হইবে। ঐরূপ স্বাধীনতা লাভে দেহ ও আত্মাকে প্রস্তুত করিবার