পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশিষ্ট
১৯৭

তাকে―সর্ব্বাগ্রে অর্জ্জনীয় বলিয়া স্থির করিয়াছিলেন; ব্রিটিশের শাসনপাশ হইতে মুক্ত হওয়াই ছিল তাঁহাদের একমাত্র সাধনা। সেই শাসন-পাশ হইতে সম্পূর্ণ যুক্ত হইতে না পারিলে―এতটুকুও অবশিষ্ট থাকিলে—ভারত যে বাঁচিবে না, এবং স্বাধীনতা-বস্তুটি কখনো খণ্ড আকারে বা মাত্রাহিসাবে অর্জ্জন করা যায় না, ইহাই তখন শিক্ষিত ভারতের হৃদয় ও মন উপলব্ধি করিয়াছে; আমি স্বাধীনতা-যজ্ঞের পুরোধাদের কথা বলিতেছি। কিন্তু প্রথম মহাযুদ্ধের শেষে―ঐ যুদ্ধকালে ও তাহার সদ্য-পরিণাম-অবস্থায়―পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত ভারতেও একটা শ্মশান-নৈরাশ্য ও নিশ্চেষ্টতা নামিয়াছিল, বিশ্বাস ও উৎসাহ নিবিয়া আসিয়াছিল। এই লগ্নে গান্ধী সেই সংগ্রামের নেতৃত্ব গ্রহণ করিলেন ও ‘মাভৈঃ’ উচ্চারণ করিয়া বলিলেন,―ম্বাধীনতা-লাভের একটা অব্যর্থ উপায় আমি আবিষ্কার করিয়াছি, সেই সত্যকার স্বাধীনতাই তোমরা লাভ করিবে, যুদ্ধও করিবে, কিন্তু অস্ত্র পরিবর্ত্তন করিতে হইবে। এই আশ্বাসে আশ্বস্ত হইয়া, পূর্ব্ব-যোদ্ধা ও নেতৃগণ―প্রথমে প্রতিবাদ করিলেও―পরে তাঁহার বশ্যতা ও নেতৃত্ব স্বীকার করিল, তিনিও তাহাদিগকে নূতন যুদ্ধবিদ্যা ও যুদ্ধ-সজ্জায় প্রস্তুত করিতে লাগিলেন। পবে সহসা একদিন ঘোষণা করিলেন―এক বৎসরের মধ্যেই তোমরা স্বাধীনতালাভ করিবে; এ যেন সেই ‘চেতাবনী’র ভবিষ্যৎ-বাণী;―এমন দুঃসাহসিক প্রতিশ্রুতি যিনি দান করিতে পারেন, তিনি হয় একজন ভাবান্ধ উন্মাদ, নয় জন-মনের মনস্তত্ব অন্তর্যামীর মত আয়ত্ত করিয়াছেন―যাদুকরের মত সেই মনকে লইয়া খেলা সুরু করিয়াছেন। পরে যখন সেই ভবিষ্যৎ-বাণী ব্যর্থ হইল―তাহাতে কোন ক্ষতিই হইল না; একবার যাদুশক্তির অধীন হইলে আর কিছুতেই সেই মোহ ভাঙ্গে না;―তখন তাহার অতি