পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৪
জয়তু নেতাজী

অভিসন্ধিকে নানাভাবে ও নানা ভঙ্গিতে প্রশ্রয় দেওয়ার কোন বাধা আর রহিল না; শেষে ভারত-ভাগ ও পাকিস্তান পর্য্যন্ত মানিয়া লওয়া আপদ্ধর্ম-নামে কর্ত্তব্য হইয়া উঠিল―অর্থাৎ ভারতের স্বাধীনতাকে অতল জলে ডুবাইয়া সেই স্বাধীনতা-সংগ্রামের সমাধি করা হইল। এইরূপে গান্ধী তাঁহার সেই এক অভিপ্রায় ও একনিষ্ঠ নীতিকে―তাঁহারই সংকল্পিত ভারত-ভাগ্যের একটি অপরূপ সমাধানকে জয়যুক্ত করিলেন! সে অভিপ্রায় কি, তাহা এখনও বোধ হয় পাঠকগণের ৰোধগম্য হয় নাই―না হইয়া থাকিলে আর একটু অপেক্ষা করিতে হইবে। অভিপ্রায়টি অঙ্কুরে যাহা ছিল তাহাই শেষে পূর্ণবিকাশ ও পূর্ণসিদ্ধি লাভ করিয়াছে, কেবল মধ্যে অবস্থাচক্রে একটু ভিন্নমুখী হইয়াছিল। পরে তাহা দেখাইব। গান্ধীর এই জয়লাভের প্রত্যক্ষ ফলভাগী হইয়াছেন সেই অন্তরঙ্গ কয়েকজন―যাঁহারা সেই অভিপ্রায়ের গোপন তত্ত্ব অবগত হইয়া, বাহিরের ঠাট বজায় রাখিতে প্রাণপণ করিয়াছিলেন; তাঁহারাই এখন রাজা হইয়াছেন, একজন তো মন্ত্রণাদক্ষতার পুরস্কার-স্বরূপ শালগ্রাম-শিলা হইয়া স্বর্ণ-সিংহাসনে বসিয়াছেন। আর সুভাষচন্দ্র? তিনি এই গ্রন্থে সব কথাই লিখিয়াছেন, কেবল গান্ধীর সেই মূল অভিপ্রায় বা গুঢ় উদ্দেশ্যের কথা কোথাও স্পষ্ট করিয়া বলেন নাই; কিন্তু তাহা যে হৃদয়ে অনুভব করিতেছিলেন তাহাতে সন্দেহ নাই। তাই হয়তো আজিও তিনি কোথায় কোন্ পর্ব্বতে-প্রান্তরে দিশাহীন মরু-ঝটিকার মত ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন। ইহাকেই বলে কর্ম্মফল। এখন দেশে কাহারও অণর কোল ভাবনা নাই; গান্ধী বলিয়াছেন, ইহাই স্বাধীনতা; আরও বলিয়াছেন, ইংরেজ বড় ভালো; তাঁহার তপস্যায় তাহাদের সুবুদ্ধি হইয়াছে―মাউণ্টব্যাটন, অ্যাট্লী, এমন কি চার্চ্চিল পর্য্যস্ত বৈষ্ণব হইয়া জীবে দয়া করিয়াছে। ভারতবাসী