পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২১৪
জয়তু নেতাজী

 হায়, জনগণ কি বুঝিবে? গান্ধীর রণ-নীতি যে ক্রমেই অধিকতর আধ্যাত্মিক হইয়া উঠিতেছিল কেন, তাহা বুঝিতে হইলে গান্ধীর সেই প্রাণের কথাটি বুঝিতে হয়,―সেই যে-কথাটি তিনি সুভাষচন্দ্রের সহিত প্রথম সাক্ষাৎকালে খুলিয়া বলিতে পারেন নাই। কিন্তু এই অদ্ভুত রণনীতিও ক্রমে এমন দুঃসহ হইয়া উঠিল যে, গান্ধী নিজের মুখরক্ষা করিবার জন্য অবশেষে আর কোন উপায় পাইলেন না; শেষে আদেশ করিলেন, ঐ যুদ্ধ ব্যক্তিগতভাবে করিতে হইবে―গণ-যুদ্ধ আর চলিবে না; অতঃপর এককভাবে ব্রিটিশের সহিত লড়িতে হইবে―উহার নাম “Individual Civil Disobedience”। ভারতের জনগন হতভম্ব হইয়া গেল, কিন্তু গান্ধী তখন ঈশ্বর-জানিত মহাপুরুষ―তাঁহার অভিপ্রায় ভেদ করিবে কে? কিন্তু ইহাতেও ফাঁড়া কাটিল না। ঐরূপ একক যুদ্ধ করিতে গিয়া মহাত্মা কারারুদ্ধ হইলেন, শাপে বর হই, মহাত্মা ছুটি পাইলেন। কিন্তু বিধি বাদী, তাই গবর্নমেণ্ট শীঘ্রই তাঁহাকে ছাড়িয়া দিল। তখন কি করিবেন? ঐ যুদ্ধ করা যেমন বৃথা, তেমনই হাস্যকর; তাই―

 On coming out from prison the Mahatma announced that since he had been sentenced to one year's imprisonment in August, 1933, and since he had been released by the Government before the expiry of his term, he would consider himself as a prisoner till August 1934, and would not offer Cıvıl-Disobedience during that period.” (P. 365).

 ―কি সুক্ষ্ম ধর্ম্ম-জ্ঞান! ব্রিটিশ তাঁহাকে ছাড়িয়া দিয়াছে―তাহারা তাহাদের সত্য-ভঙ্গ করিয়াছে; কিন্তু তিনি তাহা হইতে দিবেন না; ছাড়িয়া দিলেও তিনি সেই পূর্ব্বের দণ্ডকালএক বৎসরনিজেকে বন্দী বলিয়াই মনে করিবেন; বন্দীর কি কোন কাজ স্বাধীনভাবে