পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশিষ্ট
২৩৩

তাহাতে সন্দেহ কি? অপর দিকে ইহাও সত্য যে, ব্রিটিশ রাজশক্তি ভারতকে ঐ স্বাধীনতা কখনই দিত না, যদি তাহারা না বুঝিত যে, ভারতের জনগণের সহিত উহার কোন সম্পর্ক নাই―মাত্র কয়েক জন ব্যক্তিকে উপযুক্ত মনে করিয়া তাহাদের হস্তেই তাহারা কর্তৃত্বভার অর্পণ করিতেছে। ভারতের জনশক্তি যে রাজনৈতিক অধিকার-চেতনায় কতখানি উদ্বুদ্ধ―ভারত যে কেমন একজাতিতে পরিণত হইয়াছে তাহা ব্রিটিশ শাসকবর্গের মত আর কে জানে? গান্ধী এই জনগণকে রাজনীতি হইতে সম্পূর্ণ নিষ্কলঙ্ক রাথিয়া তাহাদিগকে যে মন্ত্রে দীক্ষিত করিয়াছেন তাহাতে ব্রিটিশের মহোপকার সাধন হইয়াছে। ঐ স্বাধীনতাদানের দ্বারা ভারতের শাসন নীতি যে কিছুমাত্র পরিবর্ত্তিত হইবে না, ইহার মত নির্ভাবনার বিষয় কি হইতে পারে? তারপর, যুদ্ধোত্তর ভারতের যে অবস্থা অনিবার্য্য, এবং সেই অবস্থায় ঐ কংগ্রেসী নেতাগণের আধিপত্য, এবং তাহার ফলে শাসন-বিভ্রাট যে কিরূপ হইবে, তাহা বুঝিয়া তাহারা আরও নিশ্চিন্ত হইল। কেবল তাহাদের শাসন-নীতিই নয়, তাহাদেরই সেই সৈন্য ও পুলিশ এবং সেই শাসনবিভাগই ভারত রাজ্যে কায়েম হইয়া থাকিবে, ইহাও তাহারা জানিত। তারপর পাকিস্তান রহিল; তারও পরে জগৎব্যাপী অব্যবস্থা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে এতবড় একটা দেশরক্ষার উপযােগী কোন শক্তিই উহার নাই,―ব্রিটিশ এ সকলই উত্তমরূপে বিবেচনা করিয়া ঐ স্বাধীনতাদানের সংকল্প করিয়াছিল। কিন্তু এসকলও বড় কথা নয়, আসল কথা, ভারতের জন-সাধারণ স্বাধীন হইবে না―গান্ধী তাহাদিগকে বশীভূত ও সম্মোহিত করিয়া কয়েকজন নেতার হস্তে সমর্পণ করিয়া রাখিয়াছেন; ঐ কংগ্রেস জনসাধারণের প্রতিনিধি নয়―গান্ধীই কংগ্রেস; অতএব বিপদের কোন আশঙ্কাই নাই। এইদিক দিয়া দেখিলে গান্ধী-