পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১॥৹

প্রেম ও সত্যের, বীর্য্য ও ত্যাগের সেই জ্বলন্ত, জীবন্ত বিগ্রহকে আমি এক পুণ্যক্ষণে আমার অন্তরের আলোকে দেখিয়াছিলাম, দেশ ও জাতির নিপীড়িত আত্মার যতকিছু আর্ত্তি―তাহার মৃত্যুর কারণ ও পুনর্জ্জীবনের আশা―আমি সেই পুরুষের আত্মাহুতির যজ্ঞানলশিখায় পাঠ করিয়াছিলাম; তজ্জন্য রাজনীতি শিখিতে হয় নাই―কোনও বিশেষ বিদ্যা আয়ত্ত করিতে হয় নাই। সেই মহা-জীবনের সেই একটি মন্ত্রে সকল দুয়ার খুলিয়া গিয়াছে―যে দিকে চাই, সেই জীবনের সত্য আমাকে সকল মিথ্যা হইতে রক্ষা করিয়াছে। আজাদ-হিন্দ সেনা ও তাহার নেতাজী-রূপে সুভাষচন্দ্রের সেই আবির্ভাবই আর সকলের মত আমাকেও চমকিত ও অণুপ্রাণিত করিয়াছিল বটে কিন্তু পরে, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে ত্রিপুরী যুদ্ধের সেই পরাজয় ভারত ভাগ্যের যে কত বড় অভিশাপ―তাহা যতই চিন্তা করিয়াছি, ততই সুভাষচন্দ্রের ঐ নেতাজী-মূর্ত্তির অন্তরালে এক সম্যক প্রবুদ্ধ, জ্ঞান-প্রেম ও কার্ম্মের দিব্য প্রেরণাময়―দেশাত্মবোধের সেই অবতারপুরুষকে দেখিতে পাইয়াছি। ঐ ত্রিপুরী-তত্ত্ব যাহারা জানে না, বা জানিয়াও তাহা চাপিয়া রাখিতে চায় তাহারা কখনও সুভাষচন্দ্রকে বুঝিবে না―তাহারাই ভারতের সর্ব্বনাশকে সর্ব্বপ্রাপ্তি বলিয়া বিশ্বাস করিতে বাধ্য হইবে, কাহারা কি জন্য হইবে তাহাও আজ আর কাহারও বুঝিতে বাকি নাই। ঐ ত্রিপুরী-যুদ্ধে মহাত্মার অন্তরালে অবস্থান, তাহার পূর্ব্বে ও পরে তাঁহার আচরণ, এবং শেষে ব্রিটিশের দানস্বরূপ ঐ স্বাধীনতালাভের জয়গান―যাহারা ধীরচিত্তে, সত্যনিষ্ঠা সহকারে বিচার করিয়া দেখিবে, তাহারা আজ একজন অতি-দম্ভী প্রভূত্বপরায়ণ মানুষের দ্বারা সমগ্র ভারতের এই দাসত্ব-বন্ধনের জন্য উহাদিগকেই দায়ী করিবে না, গান্ধীজীকেই করিবে। ব্রিটিশের সহিত রফা তিনিই