পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশিষ্ট
২৪১

দিল―সেই বৈশ্যনীতিই জয়ী হইল। সেই মুনাফা―ভারতীয় নেতাগণের পক্ষে―বিশেষ করিয়া ধনিক ব্যবসায়ীদের পক্ষে (Capitalists)―ইন্দ্রত্বলাভের মত। ভারত ইহার প্রতিবাদ করিতে পারিল না,―করিবে কে? হরিজন, চরকা ও প্রার্থনা-সভা―এই তিনের দ্বারা গান্ধী জনগণের সকল ভাবনা হরণ করিয়াছিলেন,―ভারতের রাষ্ট্রনৈতিক ভাবনা তাহারা গান্ধীর হাতে ছাড়িয়া দিয়া পরম শান্তির নিঃশ্বাস ফেলিতেছে। তাই ব্রিটিশের বড় সুবিধা হইল; জাগ্রত জনমতকেই তাহারা ভয় করে; যখন কোন এক-জাতি স্বাধীনতা-লাভের জন্য জাতিগতভাবে শক্তি ও বুদ্ধি প্রয়োগ করে তখনই সমুহ বিপদ; কিন্তু এখানে জাতিগত চেষ্টা বা জনমত বলিয়া কিছুই নাই―সবই একজনের চিন্তা, বহুকে সে চিন্তা করিতেই দেয় নাই; প্রজাতন্ত্র বা ডিমোক্রেসির গন্ধমাত্র তাহাতে নাই; স্বাধীনতার প্রাণময় কামনাও নির্ব্বাপিত হইয়াছে। অতএব প্রজাশক্তিকে সম্পূর্ণ দমন করিয়া, তাহাদের রাজনৈতিক চেতনা পর্য্যন্ত লুপ্ত করিয়া যাহারা সেই প্রজাগণকে এমন বশীভুত করিয়াছে, তাহাদের স্বাধীন-শাসনতন্ত্র যে কি বস্তু, তাহার শক্তি কিরূপ শক্তি―সে রাষ্ট্র যে শীঘ্রই ভাঙ্গিয়া পড়িবে, এবং ভাঙ্গিয়া পড়ার ভয়ে তাহার যে ঐ ব্রিটিশের জানুই আরও বেশি করিয়া আঁকড়াইয়া ধরিতে বাধ্য হইবে, এবং তদ্বারা সেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্য নীতিই জয়যুক্ত হইবে―সে বিষয়ে তাহারা নিঃসংশয় হইল। তাহাই হইয়াছে। ব্রিটিশ বোধ হয় ইহাও তখন দিব্যচক্ষে দেখিতে পাইয়াছিল যে, ঐ ভারত-বিভাগের ফলে, ভারতে যুদ্ধোত্তর অবস্থার সঙ্কট দারুণতর হইয়া উঠিবে; সেই অরাজক অবস্থায় ভারতের প্রজাগণ ঐ কংগ্রেসের প্রতিই ঘোরতর বিম্বিষ্ট হইয়া উঠিবে। কিন্তু গান্ধী ও তাঁহার কংগ্রেস ইহার জন্য কিছুমাত্র উদ্বিগ্ন হয় নাই―ব্রিটিশের

 ১৬