পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
জয়তু নেতাজী

 আমি এই পুরুষ-যজ্ঞকেই―যাহা অনন্তকালে অনুষ্ঠিত হইতেছে―তাহাকেই, একালে আমাদের চক্ষের সম্মুখে অনুষ্ঠিত হইতে দেখিতেছি; আমাদের কালের আমাদের ভাষায় তাহার ব্যাখ্যাও অন্যরূপ, কিন্তু ভিতরের ঘটনা একই। অতএব উপরের নামকরণ দেখিয়া আপনারা বিস্মিত হইবেন না। একালের ঋষি-কবিও সেই যজ্ঞের পুরুষ-সূক্ত রচনা করিয়াছেন, সেইরূপ দুইটি সূক্তই আমাকে এই প্রবন্ধরচনা-রূপ ‘চাপলায়-প্রণোদিতঃ’ করিয়াছে। আমি সেই সূক্ত দুইটি উদ্ধৃত করিয়া আধুনিক ভাবে ও আধুনিক ভাষায় তাহার কিছু ভাষ্য রচনা করিব, আপনারা পাঠ করিয়া পুণ্য সঞ্চয় করুন, আমার ভাগও আপনারাই গ্রহণ করুন। প্রথমে একটু ভূমিকা করি।

 মানুষের ব্যক্তিগত জীবনেও যেমন, তেমনই এক একটা জাতির জীবনে এমন ঘটনা ঘটে, যাহা অতিশয় অপ্রত্যাশিত ও চমকপ্রদ, ব্যক্তির জীবনে ঘটিলে তাহার সংবাদ কেহ রাখে না, তাহা একটি ক্ষুদ্র গণ্ডির মধ্যেই শেষ হইয়া থাকে। নাটকে উপন্যাসে এইরূপ ঘটনাকেই আশ্রয় করিয়া কবি-কল্পনা কিঞ্চিৎ স্ফূর্ত্তি পায়, আমরা তেমন ঘটনাকে মানিয়া লই; তেমন ঘটনা নিত্য না ঘটিলেও অসম্ভব বলিয়া মনে হয় না, একটা গভীরতর অর্থে তাহাকে বাস্তব বলিয়া স্বীকার করি, এবং কবির কল্পনা বা অন্তর্দৃষ্টির প্রশংসা করি। কিন্তু সময়ে সময়ে ঐ কবিচিত্তকেই অপর একটি চেতনা আবিষ্ট করে―ব্যক্তি-জীবনের পরিবর্ত্তে বৃহত্তর জীবন, জাতির বা মনুষ্য-সাধারণের নিয়তি―