পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
নব পুরুষ-সূক্ত

কাহার কণ্ঠস্বর। সেই পুরুষ-দেবতাই তাহাদিগকে সম্বোধন করিয়া বলিতেছেন―

“সেই মাতা কহিছেন―কণ্ঠে মোর―তোমা সবে, কর্ণে―মর্ম্মমূলে
আজি এ বারতা―
কোরো না বিশ্বাস কেহ অভিজাত-জনে কভু, কিম্বা রাজকুলে―
রাজাদের কথা।


ইহাই কি প্রথম হইতে শেষ পয্যন্ত তাঁহার একমাত্র সতর্ক-বাণী নয়? আজ এখনও সেই সতর্কবাণীর আবশ্যকতা সমান রহিয়াছে―এমনই আমাদের মূঢ়তা! ইহার পর, কবি সেই পুরুষের কণ্ঠে মৃত্যু-জয়ের মহামন্ত্র উচ্চারণ করাইয়াছেন―


“নিজ কর্ম্ম-ফল-ভুক্ পুরুষ নিজেই পাতে নিজ সিংহাসন
ধরণীর ’পর,
বিশ্বতরে আত্মপ্রাণ যে বা করে পরিহার, জেনো সেইজন
মরিয়া অমর।

“মিটায়ে দিয়েছে সে যে মৃত্যুর সকল দাবী, আছে তার কি
শমন-শাসনে?
দু’দিনের বিনিময়ে বরিয়া লয়েছে বীর অন্তহীন দিবা,
অমর্ত্ত্য-আসনে!”

ইহাও বেদের সেই পুরুষ-সূক্ত―সেই যজ্ঞ ও যজ্ঞের আহুতিমন্ত্র। এই মৃত্যুই অমৃতের সোপান, সেই আত্মাহুতি কখনও