পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
স্বামীজী ও নেতাজী
৩৭

তাঁহারা হয় ত’ ইহাও বলিবেন যে, নেতাজীর জীবনে স্বামীজীর প্রভাব অতি অল্প বয়সেই পড়িয়াছিল। এই প্রভাবের কথা আমি মানি, ইহাতে আশ্চর্য্য হইবার কিছুই নাই। স্বামীজী বলিতেন, তিনি বুদ্ধের দ্বারা বড় বেশি আকৃষ্ট ও প্রভাবিত হইয়াছিলেন। ইহা সত্য হইলে বুঝিতে হইবে, দুই-জনই এক বংশীয়, অর্থাৎ একই জাতের আত্মা। তাই প্রভাব বলিতে শুধুই শিষ্যত্ব বুঝায় না, সমগোত্রতাও বুঝায়। আধার যদি একই শক্তি বা সমান আয়তনের না হয়, তবে মন্ত্র এক হইবে কেমন করিয়া? স্বামীজীর ধর্ম্মের মূলমন্ত্র ছিল―“Believe first in yourself then in God”, সেই অদম্য আত্মবিশ্বাস নেতাজীর জীবনে যেন প্রত্যক্ষ-গোচর হইয়া উঠিয়াছে! আবার স্বামীজীর সেই বাণী―“Fight always, fight and fight on, though always in defeat―that's the ideal! (কেবল যুদ্ধ, অবিরাম যুদ্ধ! প্রতিবার পরাজয় হইবে জানিয়াও যে যুদ্ধ―তাহাই ত শ্রেষ্ঠ বীর-ধর্ম্ম!―ইহাও কে এমন করিয়া অন্তরে বরণ করিয়া লইতে পারিয়াছে?[১] স্বামীজীর সম্বন্ধে

  1. বিবেকানন্দের আরেকটি বাণীও নেতাজীর চরিত্র ও জীবনে প্রতক্ষ্য সত্য হইয়া উঠিয়াছে। কথিত আছে, নেতাজী মৃত্যুভয়কে সম্পূর্ণ জয় করিয়াছিলেন, শত্রু যখন আকাশ হইতে গুলিবর্ষণ (বোমা) করিতেছে তখন তিনি তাহারই তলে দাঁড়াইয়া বলিয়াছিলেন, আমাকে মারিবে এমন বোমা এখনও তৈয়ারী হয় নাই।; ইহাকেই বলে আত্মার অকুতোভয়, ইহাও স্বামীজীর একটা বড় মন্ত্র―
     “Your country requires heroes. Be heroes! There must be no fear. The true devotees of the Mother are as hard as adamant and as fearless as lions. They are not least upset if the whole universe suddenly crumbles into dust at their feet”.