পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৪০
জয়তু নেতাজী

গৌণ করিয়া যে সাক্ষাৎ-মুক্তি স্বামীজীর অন্তরে একটি প্রবল শক্তিরূপে বিরাজ করিত, নেতাজীও সেই মুক্তিকে অন্তরে লাভ করিয়াছিলেন―দুইজনের প্রেমও সেই মুক্ত-প্রাণের পরার্থ-প্রীতি। স্বামীজীর যে-হৃদয়―সঙ্কুচিত নয়―আপনাকে দমন করিয়া, যে-কামনাকে চরিতার্থ করিতে চায় নাই, সেই বিশাল হৃদয়ের নিপীড়িত কামনাই নেতাজীর মধ্যে অকুণ্ঠিত আত্মপ্রকাশ করিয়াছে। স্বামীজী যদি গেরুয়া ত্যাগ করিতেন তবে সে আর কিছুর জন্য নয়―ঐ আজাদ্-হিন্দ ফৌজের ‘নেতাজী’ হইবার জন্য। সেই প্রেম তাঁহারও ছিল, কেবল সেজন্য জ্ঞানের তপস্যাকে সংবরণ করিয়া কিছুকাল প্রেমের সমাধিতে সংজ্ঞাহারা হইতে হইত। অতএব স্বামীজীর মধ্যে আমরা যেমন নেতাজীর ঐ প্রেমের মূল দেখিতে পাই, তেমনই নেতাজীর মধ্যে স্বামীজীর সেই বাণীকেই মূর্ত্তিমান হইতে দেখি ―সেই এক মন্ত্র―“Believe that you are free, and you will be”।

 সর্ব্বশেষে, আমি এই প্রবন্ধের শিরোদেশে স্বামীজীর যে উক্তিটি উদ্ধৃত করিয়াছি, তাহাও স্মরণ করিতে বলি, দেশের সম্বন্ধে স্বামীজীর ইহাই শেষ উক্তি―মহানির্ব্বাণে প্রবেশ করিবার কয়েক ঘণ্টা পূর্ব্বে এই কয়টি কথা তাঁহাকে আপন মনে অনুচ্চ স্বরে বলিতে শোনা গিয়াছিল। “বিবেকানন্দ কি করিয়া গেল তাহা বুঝিবার জন্য আর একজন বিবেকানন্দ চাই―তেমন অনেক বিবেকানন্দ সময় হইলেই আসিবে।”―ইহা যে কত সত্য তাহা আজ আমরা নেতাজীকে দেখিয়া বুঝিয়াছি। এতদিন