পাতা:জয় পরাজয় - পাঁচকড়ি দে.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জয় পরাজয় S o6 আমার বয়স তখন পচিশ বৎসরের অধিক নহে, তাহার বয়সও পঞ্চদশের বেশি নহে, দুইটি প্ৰাণ স্বাভাবিক নিয়মে দুইটি ক্ষুদ্র স্রোতস্বতীর ন্যায় একত্রে মিলিত হইয়াছিল, এ বেগের প্রতিরোধ করিবার ক্ষমতা কাহাঁর ? তাহার পর আমরা কতক্ষণ কি ভাবে কাটাইলাম জানি না-হয় ত কুঞ্জ সংজ্ঞাহীন হইয়াছিল, অথবা সে নিবিষ্টমনে কি ভাবিতেছিল। আমার স্কন্ধে তাহার মস্তক বিলুষ্ঠিত হইতেছিল, তাহার দেহলতা অবসন্নভাবে আমার বক্ষোলগ্ন ছিল । তাহাকে তিলমাত্র বিরক্ত করিতে আমার সাহস হয় নাই, আমি এক অনির্বচনীয় স্বৰ্গীয়-আনন্দে বিভোর হইয়া বসিয়া ছিলাম। কতক্ষণ এই-- রূপ বসিয়া ছিলাম, জানি না-সহসা সে মুখখানি মান করিয়া চকিতভাবে নিজেকে মুক্ত করিয়া আমার নিকট হইতে সরিয়া বসিল-নীরবে বসিয়া রহিল। তখন তাহার সর্বাঙ্গে স্বেদ শ্রাত হইতেছিল, ঘন ঘন নিঃশ্বাস বহিতেছিল, এবং তাহার স্নান মুখখানি বড় গম্ভীর দেখাইতেছিল । আমি ভীত হইয়া বলিলাম, “কুঞ্জ, তুমি রাগ করিলে ?” কুঞ্জ কথা কহিল না, বসিয়া বসিয়া ঘামিতে লাগিল । (তখন আমি আবার উঠিয়া গিয়া কুঞ্জকে বুকে টানিয়া লইয়া বলিলাম, 为” बलि डूमि রাগ করিয়া থাক, তুমি আমায় ক্ষমা কর।” কুঞ্জ কি বলিতে যাইতেছিল, বলা হইল না । বৃক্ষান্তরাল হইতে কে খল খল করিয়া কঠোর হাস্ত করিয়া উঠিল । আমি তখনই কুঞ্জকে 'ছাড়িয়া দিলাম। কুঞ্জ চমকিত হইয়া মাথা তুলিল ; ব্যাকুলভাবে চারিদিকে চাহিল, পরীক্ষণে কি ভাবিয়া ক্ষিপ্ৰবেগে উঠিয়া দাড়াইল । সে আর একবার চারিদিকে চাহিল, চাহিয়া আমার মুখের দিকে চাহিল-কোন কথা