পাতা:জয় পরাজয় - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জয় পরাজয় > シ> পাঠাইয়া দিলাম। ঐ গ্রামে অমূল্যের এক আত্মীয় বাস করিতেন। তাহার একখানা ভাল বড় পান্ধী ছিল । তখনকার অনেকেরই নিজের পান্ধী থাকিত । ‘অমূল্য তাহার নিকট হইতে পাল্কীখানা একদিনের জন্য bश्वि। काश्ठ । আমরা পান্ধীবাহকদের বলিয়া দিলাম যে, আমরা হুগলীর মাঠের তরে একস্থানে থাকিব ; তাৎপরে দুইজনে পান্ধীতে উঠিয়া হুগলীর দিকে আসিব । আমাদের-অন্ততঃ আমার দৃঢ়বিশ্বাস ছিল ষে, যখন ডাকাত ঘোড়া লইয়া গিয়াছে, তখন এ ডাকাতি নিশ্চয়ই কারণে নিশ্চয়ই সে এ জমিদারের আগমনবাৰ্ত্তা শুনিয়াছে । নিকটে কোনখানে ডাকাতি করিবার ইচ্ছা না থাকিলে, লোচন কখনই চন্দননগরের নিকটে থাকিত না-অন্যত্ৰ পলাইয়া যাইত ; সে বেশ জানে, চন্দননগর তাহার পক্ষে এখন নিরাপদ নহে, ধরা পড়িবার ভয় আছে । রাসমণি যদিও সে কথায় বিশ্বাস করে, নাই, তবুও তাহার ভাবভঙ্গিতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস হইয়াছে যে, লোচন দুরে যায় নাই । আমরা দুইটি ভাল রিভলবার কিনিয়া, গুলি পূরিয়া সঙ্গে লইলাম, তৎপরে অতি গোপনে একজন অতি বিশ্বাসী মাঝির নৌকায় আমরা দুই বন্ধুতে গভীর রাত্ৰিতে কলিকাতা হইতে হুগলী রওনা হইলাম । রাত্রিশেষে নৌকা হুগলী পৌছিল । আমরা এ আ-ঘানায় নৌকা লাগাহাঁয়া দুইজনে পদব্রজে হুগলীর মাঠের দিকে চলিলাম , যাহাতে কেহ আমাদের দেখিতে না পায়, সেইজন্য প্ৰকাশ্য পথ ছাৰ্বি ৬ষ্ঠ মাঠের মধ্য দিয়া চলিলাম । এখন যেখানে হুগলীর ষ্টেশন হইয়াছে, ঐ স্থান হইতে পশ্চিমে প্ৰায় পাঁচ-ছয় ক্রোশ ব্যাপিয়া এক বিস্তুত মাঠ ছিল । এই পাঁচ-ছয় ক্রোশের মধ্যে কোন লোকের বাস ছিল না। মাঠের মধ্য দিয়া পথ