জয় পরাজয় ܬ ܢ ܠܹ ম্যাজিষ্ট্রেট বলিলেন, “তুমি স্ব-ইচ্ছায় ডাকাতি করিতে-তুমি স্ত্রীলোক-তোমার রূপ আছে, তুমি বড় বাইজী । আমি শুনিয়াছি, নাচিয়া অনেক টাকা উপাৰ্জন করিতে, তবে এই রকম ডাকাতি করিতে 6कनँ ?” মনিয়া বিষন্ন-হাসি হাসিয়া বলিল, “সাহেব, তুমি বুঝিবে নাকৰ্ম্মফল-ভাগ্য ।” তাহার পর নিজ কপালে হাত দিয়া বলিল, “সবই এই ৷” সাহেব বলিলেন, “তাহার পর কি বলিতে চাও, বল ?” মনিয়া বলিল, “আমি কে জানি না, আমার বাপ-মা কে, তাঙ্গাণ্ড আমি জানি না ; ;োচনের স্ত্রী বাসমণি-সে। আমার দাঈ এর বোন, আমাকে ছেলেবেলায় চুরি করে আনে। লোচন আমাকে ফয়জাবাদের এক হিন্দুস্থানীর কাছে বেচিয়াছিল। এই চিন্দুিস্তানীই আমাকে নাচগান শিখাইয়া বাইজা করিধ্যাছিলেন । এই সময়ে আমি একজনকে ভালবাসি ; কিন্তু এই ঠিন্দুস্তানী তাহাতে আমাদের উভয়ের উপরে রাগত চন, আমি যাহাকে ভালবাসি।তাম, একদিন তিনি গোপনে আমার সঙ্গে দেখা করিতে আসেন ; সেই সময়ে হিন্দুস্তানী তাঙ্গাকে দেখিয়া লাঠী মারেন —উভয়ে মারামারি হয়—হিন্দুস্তানী মরিয়া যান, ইহা কেবল ভিকরাজ বলিয়া হিন্দুস্তান'র একটা বন্ধু জানিতে পারে। সেই পৰ্য্যন্ত ভিকরাজ আমাদের দুইজনকেই খুনের জন্য ধরাইয়া দিবার ভয় দেখাইতে গাকে । আমি নাচ-গান করিয়া যাহা পাইতাম, সে সবই লইত ; তবুও সন্তুষ্ট হ'ষ্ট"ত না, সর্বদাই ধরাইয়া দিবার ভয় দেখাহঁত ||” মনিয়া ক্লান্ত হইয়া নীরব হইল ; তৎপরে ধীরে ধীরে বলিল, “সেই Mরাত্মার জন্য এতদিন কত যন্ত্রণা পাইয়াছি, তাহা ভগবান জানেন ! আমি যত টাকা রোজগার করিয়াছি, সবই তাহাকে দিয়াছি, তবুও সে
