পাতা:জয় পরাজয় - পাঁচকড়ি দে.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জয় পরাজয় । পারে নাই । আমি কিন্তু মনে মনে একটা প্ৰতিজ্ঞা করিলাম-বোধ হয়, পুলিসের উপর রাগ করিয়া প্ৰতিজ্ঞা করিয়া ফেলিলাম । তখন আমার উষ্ণ রক্ত, হৃদয়ে অসীম উৎসাহ, আমি প্ৰতিজ্ঞা করিলাম, যেমন করিয়া হউক, এই ডাকাতটাকে ধরিব এই শেষ ডাকাতিতে মুর্শিদাবাদ আরও আলোড়িত হইয়া উঠিল— মহরমের আমোদ প্ৰায় ভাঙ্গিয়া যায়। রাত্ৰিতে সাহস করিয়া” কেত পথ চলে না ; যে সকল বড় লোকের আসিবার কথা ছিল, তাহারা মুর্শিদাবাদে আসা বন্ধ করিলেন। অনেকে কিরূপে দেশে ফিরিবেন, তাহাঙ্ক ভাবিয়া ব্যাকুল হইয়া উঠিলেন । এই অশ্বারোহী ডাকাতের ভয়ে মুর্শিদাবাদ অঞ্চলের লোকের কায়মনোবাক্যে নিদারুণ উদ্বেগের সঞ্চার হইল । তখন নবাব নাজিম সহ বিচলিত হইয়া একজন সুদক্ষ গোয়েনদার জন্য কলিকাতায় লিখিলেন । তথা হইতে সুবিখ্যাত গোয়েন্দা ফতে আলি প্রেরিত হইলেন। তিনি যথাসময়ে মুর্শিদাবাদে উপস্থিত হইয়া তদন্ত আরম্ভ করিয়া দিলেন । তাহার গোয়েন্দাগিরিতে যে বিশেষ দক্ষতা ছিল, তাহ বালিয়া বোধ হয় না ; তবে ভাগ্যবলে তিনি কয়েকটা বড় মামলার কিনারা করিয়াছিলেন , ইহাতেই তাহার এত নাম হইয়াছিল এবং নামের সঙ্গে অহঙ্কার ও ষোল আনা দেখা দিয়াছিল। আমি বুঝিয়াছিলাম, ইহঁর দ্বারা বিশেষ কোন কাজ হইবে না। আমি এ ডাকাত ধরিব, প্ৰতিজ্ঞা করিয়াছিলাম। সুতরাং অনেক চেষ্টা করিয়া ইহঁর সহিত আলাপ করিলাম । ইনি কতদূর কি সন্ধান পাইয়াছেন, তাহাই অবগত হওয়া আমার প্রধান উদ্দেশ্য -- আর ইনি যদি আমাকে সঙ্গে লয়েন, তবে আরও ভাল ।