পাতা:জাগরণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলে কোথায় ডাব দিলে, সারাক্ষণ দেখা পেলাম না! ভাল না লাগলে বাবার সঙ্গে না নয়। বাড়িতেই রয়ে যেতে । ইন্স, ঠোঁট টিপিয়া হাসিয়া বলিল-তোমাদের পাশাপাশি কাছাকাছি না থাকতে পারার জন্য আমি আন্তরিক দুঃখিত। কিন্তু ভাল লাগছে না। যদি মনেই করতুম তবে ত তোমাদের সঙ্গদানই করতুম। আসলে গ্রামের হাট সম্পবন্ধে কোন ধারণাই ছিল না। এখানে পা দিয়েই কেমন যেন চাgল্য, কেমন যেন এক অন্যাসবাদিত আনন্দের মধ্যে পড়ে গেলাম। উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে হাটের এ-প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত পর্যন্ত বার কয়েক ছটোছটি করে বেড়ালম । তোমরা হয়ত ঐদিকটায় যাওনি দাদা ? গিয়ে একবারটি দেখে এসো, কত কাঁচা সব্জী জড়ো হয়েছে। চাষীরা গরীর গাড়ী, মোষের গাড়ী বোঝাই করে করে ইয়া বড় বড় কুচকুচে কালো বেগন, এই এত্তো বড় বড় কুমড়ো, লাউ- আরও কত রকম সবজীর পাহাড় কমলকিরণ তাহকে থামাইয়া দিতে গিয়া বলিল-স্থােক, আর বলতে হবে না। আমি দেখতে চাইনে । তোর যদি ইচ্ছে হয়, আব্ব এক চক্কর মেরে আসতে পারিস । আদেখিলা কোথাকার । ইন্দু বঝিল ওষধে কাজ হইয়াছে। আলেখ্য বা তাহার দাদা কেহই তাহার দুরভিসন্ধিটকু ধরিতে পারে নাই। অতএব প্রবণ্টনার জন্য আর মিথ্যার আশ্রয় লাইবার প্রয়োজন নাই। ভবিষ্যতে যদি প্রয়োজন হয় পরিস্থিতি অনযায়ী তখন বিবেচনা করা যাইবে । আলেখ্য আরও কিছুটা অগ্রসর হইয়া হাটের এক প্রান্তে একটি ঝাঁকড়া নিমগাছের নীচে দাঁড়াইল। কিছু সময় বিশ্রামও লওয়া হইবে, তারাপদবাবার সহিত প্ররোজনীয় কথাবাতাও সারিয়া লওয়া সম্ভব হইবে । তারাপদবাবা বত মান পরিস্থিতি সম্বন্ধে জমিদারিকন্যাকে সামনে সক্ষপণটি একটি ছবি তুলিয়া ধরিলেন-মা-জননী, এই অমরপর হাট জমিদারের কাছে কামধেনতুল্য ছিল। জমিদারি আয়ের সিংহভাগ পরিণ করত। হাটের আয়। কিন্তু কি যে ছাই অসহযোগের জোয়ার এল, সবকিছা একেবারে লন্ড-ভ"ড করে দিল । শোনলাম, ম্যানেজারবাব সবিদেশী পা^ডাদের গন্ডামির উল্লেখ করে পর পর কয়েকটা চিঠিও দিয়েছিলেন। আপনারা এখানে পৌঁছেছেন তা-ও প্রায় সাতদিন গত হয়ে গেছে। জমিদার পক্ষের এই ঔদাসিন্য কিন্তু পরোক্ষভাবে আন্দোলনকারীদের দিয়েছে, অস্বীকার করার উপায় নেই। গন্ডাদের আফ্লোশের শিকার বহু দোকানি । লক্ষ DBDB DDD DDD DBBL BuB DD BDS DuOu BDuuB DDDBB LD বিলেতি প্রসাধন সামগ্রী ভেঙেচরে তছনছ করে দিলে ! জমিদারি আয় কমার একটা বড় কারণ এটা । শািন্ধ কি তাই ? হাটের প্রায় সব বিক্রেতাই জমিদারকে খাজনা না দিয়ে সেই অর্থ সর্বদেশী ফান্ডে জমা দিচ্ছে। সর্বদেশী গন্ডারা ঘন ঘন হুমকী দিতেও ছাড়ছে না। ধর্মঘটের ডাক দেবে। তহবিল শণ্য হতে হতে আজ চরম পর্যায়ে ܬܬ