পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫-তীর্থ জাতিক এই সময়ে শাস্তা সেখানে উপস্থিত হইয়া আসন গ্ৰহণ করিলেন এবং ऊँशिएशन अप्लांbाभान विश्न खनिष्ठ পারিয়া কহিলেন, ‘ভিক্ষুগণ ! আমি বুদ্ধত্ব লাভ করিয়া যে এই ব্যক্তির প্রকৃতি বুঝিতে পারিয়াছি, ইহা আশ্চৰ্য্যের বিষয় নহে; পূর্বকালেও ইহা বুঝিতে পারিয়াছিলাম।” অনন্তর তিনি সেই অতীত কথা আরম্ভ করিলেন :- ] পুরাকালে বারাণসীরাজ ব্ৰহ্মদত্তের সময়ে বোধিসত্ত্ব র্তাহার অমাত্য ছিলেন। তিনি রাজাকে ধৰ্ম্ম ও অর্থ সম্বন্ধে মন্ত্রণা দিতেন । একদিন রাজার অশ্বপালকের মঙ্গলাশ্বের স্নান করিবার ঘাটে একটা সামান্য অশ্বকে স্নান করাইয়াছিল। তাহার পর যখন মঙ্গলার্শ্বপালক নিজের ঘোটককে সেই জলের নিকট লইয়া গেল, তখন সে নিতান্ত ঘূণার চিহ্ন দেখাইয়া কিছুতেই অবতরণ করিল না। তখন অশ্বপালক রাজার নিকট গিয়া বলিল, “মহারাজ, আপনার মঙ্গলাশ্ব স্নান করিতে চাহিতেছে না।” রাজা বোধিসত্ত্বকে অনুরোধ করিলেন, “পণ্ডিতবর, আপনি গিয়া দেখুন ত, কেন ইহার চেষ্টা করিয়াও মঙ্গলাশ্বকে জলে নামাইতে পারিতেছে না । বোধিসত্ত্ব “যে আজ্ঞা, মহারাজ” বলিয়া নদীতীরে গমন করিলেন এবং যখন পরীক্ষা করিয়া দেখিলেন। মঙ্গলাশ্বের কোন পীড়া হয় নাই, তখন কেন সে জলে অবতরণ করিতেছে না, তাহার কারণ “চিন্তা করিতে লাগিলেন। অনন্তর তিনি স্থির করিলেন, ‘নিশ্চিত লোকে অন্য কোন অশ্বকে এই ঘাটে স্নান করাইয়াছে এবং সেই নিমিত্তই মঙ্গলীশ্ব ঘূণাপরবশ হইয়া জলে অবতরণ কুরিতে চাহিতেছে না।” ইহা ভাবিয়া তিনি অশ্বপালদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমরা ইহার পূর্বে অন্য কোন অশ্বকে এই ঘাটে স্নান করাইয়াছ কি ?” তাহারা বলিল, “ই মহাশয়, একটা সামান্য ঘোটককে স্নান করাইয়াছি।” ইহা শুনিয়া বােধিসত্ত্ব ভাবিলেন, “ইহার আত্মাভিমানে আঘাত লাগিয়াছে বলিয়াই এত ঘূণার বশ হইয়া এখানে স্নান করিতে চাহিতেছে না । ইহাকে অন্য কোন ঘাটে স্নান করাইলেই ভাল হয়।” এইরূপে মঙ্গলাশ্বের অভিপ্ৰায় বুঝিয়া তিনি অশ্বপালদিগকে বলিলেন, “দেখ ঘূত, মধু, গুড় প্রভৃতিমিশ্রিত পায়সও প্রতিদিন ভক্ষণ করিলে অরুচি জন্মে। এই অশ্ব বহুবার এ ঘাটে স্নান করিয়াছে । আজ তোমরা ইহাকে অন্য ঘাটে লইয়া স্নান করাও ও জল খাওয়াও ” ইহা বলিয়া তিনি নিম্নলিখিত গাথা পাঠ করিলেন :- নিত্য নব তীর্থে এরে করাইবে জলপান ; তা' হলে স্ফৰ্ত্তিতে সদা থাকিবে ইহার প্রাণ। মধুর পায়স অন্ন, তাও খেলে বার বার বৈচিত্র্য-বিহনে ক্লেশ হয় শুধু রসনার। অশ্বপালের এই উপদেশানুসারে মঙ্গলাশ্বকে অন্য ঘাটে লইয়া গেল এবং সেখানে তাহাকে স্নান ও পান করাইল। জলপানান্তে যখন তাহারা অশ্বের গাত্ৰ ধৌত করিতে আরম্ভ করিল, তখন বোধিসত্ত্ব রাজার নিকট ফিরিয়া গেলেন। রাজা জিজ্ঞাসিলেন, “মঙ্গলাশ্ব মান ও জলপান করিয়াছে ত ?” “ই মহারাজ !” “সে প্ৰথমে অনিচ্ছা দেখাইয়াছিল কেন ?” বোধিসত্ত্ব রাজাকে তাহার অনিচ্ছায় কারণ বুঝাইয়া দিলেন। রাজা ভাবিলেন, ‘আহো, ইহার কি পাণ্ডিত্য ! ইনি ইত্যর প্রাণীদিগের পর্য্যন্ত মনোবৃত্তি বুঝিতে পারেন।” অনন্তর তিনি বোধিসত্ত্বের বহু সম্মান করিলেন । * ইহার পর রাজা ও বোধিসত্ত্ব উভয়েই স্ব স্ব কৰ্ম্মফল ভোগ করিবার জন্য লোকান্তর গমন করিলেন । t ऑब-उथन এই डियू ছিল সেই মঙ্গলাখ ; সারীপুত্র ছিল রাজা এবং আমি ছিলাম তাহার, ৰিচক্ষণ অমাত্য Ο