পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬-মহিলামুখ-জাতক । ”. (R সমর্থ হইবে না। যে চোর, সে শীলাচারসম্পন্ন হইলে চলিবে না ; তাহাকে নির্দয়, নিষ্ঠুর ও অত্যাচারী হইতে হইবে।” চোরের পরস্পরকে এইরূপ উপদেশ দিয়া সে রাত্রির মত প্ৰস্থান করিল। পররাত্ৰিতেও তাহারা তথায় আসিয়া ঐ রূপ পরামর্শ করিল এবং তাহার পর ক্ৰমাগত আরও কয়েক রাত্রি যাতায়াত করিল। " প্রতি রজনীতে তাহাদের এই পরামর্শ শুনিয়া হস্তী স্থির করিল, “ইহারা আমাকেই উপদেশ দিতেছে ; অতএব আমাকেই নিৰ্দয়, নিষ্ঠুর ও অত্যাচারী হইতে হইবে।” তখন সে ঐ রূপ প্রকৃতিই অবলম্বন করিল এবং পর দিন প্ৰাতঃকালে মাহুত আসিবামাত্র তাহাকে শুণ্ডদ্বারা উত্তোলনপূর্বক ভূতলে আঘাত করিয়া মারিয়া ফেলিল। এইরূপে এক একটী করিয়া ৰে তাহার নিকটে আসিল, সে তাহারই প্ৰাণসংহার করিল। ক্রমে রাজার কর্ণগোচর হইল যে মহিলামুখ উন্মত্ত হইয়া যাহাকে দেখিতেছে নিহত করিতেছে। তখন তিনি বোধিসত্ত্বকে বলিলেন, “পণ্ডিতবর, আপনি গিয়া দেখুন। সে কি কারণে এরূপে দুষ্ট হইয়াছে।” বোধিসত্ত্ব গিয়া দেখিলেন হাতীর শরীরে কোন রোগ নাই। অথচ কেন তাহার এরূপ প্রকৃতিপরিবর্তন ঘটিল। ইহা চিন্তা করিতে করিতে র্তাহার মনে হইল, “নিশ্চয় দুষ্ট লোকে ইহার নিকটে কথাবাৰ্ত্তা বলিয়াছে ; তাহা শুনিয়া এ ভাবিয়াছে ইহারা আমাকেই উপদেশ দিয়াছে; কাজেই ইহার এইরূপ বিকার ঘটিয়াছে।” অনন্তর তিনি একজন হস্তিপালককে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ইতিপূর্বে কেহ হস্তিশালার সমীপে কোন কথাবাৰ্ত্তা বলিয়াছে কি ?” সে বলিল, “ই প্ৰভু, কয়েকজন চোর আসিয়া কথাবার্তা বলিয়াছিল বটে।” তখন বোধিসত্ত্ব রাজার নিকট গিয়া বলিলেন, “মহারাজ, হস্তীর শরীরের কোন বিকার হয় নাই ; চোরদিগের কথা শুনিয়া তাহার মতিচ্ছন্ন ঘটিয়াছে।” “যদি তাহা হইয়া থাকে, তবে এখন কৰ্ত্তব্য কি ?” “শীলবান ও জ্ঞানী ব্ৰাহ্মণ আনাইয়া হস্তিশালায় বসাইয়া দিন এবং তঁহাদিগকে শীল,ব্ৰতের মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করিতে বলুন।” রাজা বলিলেন, “আপনি তাহার ব্যবস্থা করুন।” বোধিসত্ত্ব তাহাই করিলেন। তিনি শীলবান শ্রমণ ও ব্রাহ্মণ আনয়নপূর্বক হস্তিশালায় বসাইলেন এবং বলিলেন “আপনার শীলাকথা বলুন।” তখন তঁহার হস্তীর নিকট বসিয়া “কাহারও পীড়ন করিও না, শীলাচার সম্পন্ন হও, ক্ষান্তি, মৈত্রী প্ৰভৃতি গুণোপেত হও” এইরূপ সদুপদেশ দিতে লাগিলেন। তাহা শুনিয়া হস্তী ভাবিল, “ইহারা আমাকেই উপদেশ দিতেছে, অতএব এখন হইতে আমাকে শীলবান হইয়া চলিতে হইবে।” অনন্তর সে পুনর্বার শীলবান হইল। রাজা বোধিসত্ত্বকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “হস্তীটা পুনৰ্বার শীলবান হইয়াছে কি ?” বোধিসত্ত্ব বলিলেন, “ই মহারাজ, এই সকল মহাত্মাদিগের মুখে সদুপদেশ শুনিয়া দুষ্ট হস্তী পুনৰ্বার পুর্ববৎ প্ৰকৃতিস্থ হইয়াছে।” ইহা বলিয়া বোধিসত্ত্ব নিম্নলিখিত গাথা পাঠ করিলেন ৪ শুনি নিত্য চোর-বাণী মহিলা মুখের প্ৰবৃত্তি জন্সিয়াছিল। পরপীড়নের। किद्ध °Cन्न ख्लनिवाएका कद्धि कर्यान দুখপ্ৰবৃত্তি যত সব হ’ল অন্তৰ্দ্ধান। ইহা শুনিয়া রাজা ভাবিলেন, “কি আশ্চৰ্য্য ! ইনি, দেখিতেছি, ইতরপ্রাণীদিগেরও মনোভাব বুঝিবে পারেন। তখন তিনি বোধিসত্ত্বের বহু সম্মান করিলেন। অনন্তর আয়ুষ্কাল পূর্ণ হইলে তিনি ও বোধিসত্ত্ব উভয়েই কৰ্ম্মানুরূপ ফলভোগের জন্য লোকান্তর গমন করিলেন । BDDDYqiDB BD BDDBDDBBD DDB DD BDBBDS DDD DDD DDB DB BB BDDD S BDD DDB তাহার অমাত্য। ]