পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७०-यूनिक-अॉडक । 96. কালক্ৰমে বৃদ্ধ ও বোধিসত্ব উভয়েই আয়ুঃশেষে স্ব স্ব কৰ্ম্মানুরূপ ফলভোগার্থ লোকান্তরে প্ৰস্থান করিলেন । 甲 [ শাস্তা বলিলেন, “অতএব তোমরা দেখিলে তথাগত কেবল এ জন্মে নহে, অতীত কালেও ধুব্রহ্মরদিগের অগ্ৰণী ছিলেন। অনন্তর তিনি অভিসম্বুদ্ধ হইয়া এই গাথা পাঠ করিলেন :- যুতিবে কালুরো সদা গুরুভার করিতে বহন অতি অসমান পথে, গৰ্ত্ত যাহে আছে অগণন । কালু নিজ বীৰ্য্যবলে * অবহেলে নদী পার করি C하-비 রাখি দিবে। তাঁটের উপরি । [। সমবধান-তখন উৎপলবৰ্ণ * ছিলেন সেই বৃদ্ধ এবং আমি ছিলাম আৰ্য্যকা-কালক ] । \੦੦--ਫਣs [এক স্কুলাঙ্গী কুমারীর প্রণয়াসক্ত ভিক্ষুর সম্বন্ধে শাস্তা জেতবনে এই কথা বলেন। তৎসম্বন্ধে সবিস্তর বিবরণ ত্ৰয়োদশ নিপাঠে চুল্পনারদ কাশ্যপ-জাতকে ( ৪৭৭ ) প্রদত্ত হইবে। শাস্তা সেই ভিক্ষুকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কি সত্য সত্যই প্রণয়াসক্ত ও উৎকণ্ঠিত হইয়াছ ?” ভিক্ষু বলিলেন, “হঁ। প্ৰভু, একথা মিথ্যা নহে।” “কাহার প্ৰণয়ে পড়িলে ?” “প্ৰভু, অমুক স্কুলাঙ্গী কুমারীর প্রণয়ে।” “দেখ, সে তোমার বড় অনিষ্টকারিণী। ” সে অতীত জন্মেও তোমার সর্বনাশের কারণ হইয়াছিল, কারণ তাঁহারই বিবাহের সময় নিমন্বিত ব্যক্তিদিগের উদরপূৰ্ত্তির জন্য লোকে তোমার প্রাণবধ করিয়াছিল।” অনন্তর তিনি সেই অতীত কথা বলিতে আরম্ভ করিলেন। ] পুরাকালে বারাণসীরাজ ব্ৰহ্মদত্তের সময় বোধিসত্ত্ব গোঁজন্ম ধারণপূর্বক এক গ্ৰাম্যভূস্বামীর গৃহে অবস্থিতি করিতেছিলেন ; তখন র্তাহার নাম ছিল মহালোহিত। ঐ গৃহে তাহার কনিষ্ঠ সহােদর চুল্ললোহিতও বাস করিত। উক্ত ভূস্বামীর এক কুমারী কন্যা ছিল। নগরবাসী এক ভদ্রলোক নিজের পুত্রের সহিত তাহার বিবাহ-সম্বন্ধ স্থির করিলেন । বরযাত্রী ও কন্যাযাত্রীদিগের আহারের আয়োজনে কোন ত্রুটি না হয় এই জন্য কন্যার মাতা মুণিক নামক এক শূকরকে ভাত খাওয়াইয়া পুষ্ট করিতে লাগিলেন। ইহা দেখিয়া চুল্ললোহিত তাহার অগ্রজকে বলিল, “দেখ দাদা, আমরা উভয়ে এই গৃহস্থের সমস্ত বোঝা বহিয়া মারি ; কিন্তু এত কষ্ট করিয়াও সামান্য ঘাস, বিচালি । মাত্ৰ খাইতে পাই ; আর এই শূকরের জন্য ভাতের ব্যবস্থা ! ইহাকে এমন উৎকৃষ্ট খাদ্য দিবার কারণ কি, দাদা ?” বোধিসত্ত্ব বলিলেন, “ভাই, এই শূকরের খাদ্য দেখিয়া ঈর্ষ্যা করিও না, কারণ এ এখন মরণ-খাদ্য খাইতেছে। গৃহস্বামীর কন্যার বিবাহে যে সকল লোক নিমন্ত্রিত হইবে, তাহাদিগের রসনেন্দ্ৰিয় পরিতৃপ্ত করিবার উদ্দেশ্যেই ইহাকে এত যত্নসহকারে আহার দিবার ব্যবস্থা হইয়াছে। দুই চারি দিন অপেক্ষা কর, দেখিতে পাইবে, যখন নিমন্ত্রিত ব্যক্তিরা আসিতে আরম্ভ করিবে, তখন গৃহস্থের লোকজন ইহার চারি পা ধরিয়া টানিতে টানিতে মঞ্চের নিম্নভাগ ৷ হইতে লইয়া যাইবে, এবং ইহাকে কাটিয়া কুটিয়া সুপ-ব্যঞ্জনে পরিণত করিবে। অতএব হতভাগ্য মুণিকের আশু সুখ দেখিয়া ঈর্ষ্যান্বিত হইও না ।” অনন্তর তিনি এই গাথা পাঠ করিলেন - মুণিকের সুখ দেখি করিও না ঈৰ্য্যা মনে, আতুরান্ন সেবা সেই করিতেছে এইক্ষণে। ভূসিক যাহা পাও তুমি খাও তাই তৃপ্ত হয়ে ; আয়ুবৃদ্ধিকর ইহা বলিলাম নিঃসংশয়ে।

  • শ্রাবস্তী নগরের কোন সম্রাস্তবংশীয় রমণী। ইনি ভিক্ষুণী হইয়া অৰ্হত্ত্ব লাভ করিয়াছিলেন। সবিস্তুর

विबद्ध ब्रिभिड़े पछेया । + মুলে “হেথামঞ্চাতো': এই পদ আছে। ইহার অর্থ মঞ্চের অধোদেশ হইতে।” শূকর পালকেরা সচরাচর মাচা বান্ধিয়া নিজেরা তাহার উপরে শোয় ; শূকরগুলি মঞ্চের নীচে থাকে।

  • মুলে “ভুস” এই পদ আছে; ইহা সংস্কৃত ‘বুস' শব্দজাত ।

s