পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১-কুলায়ক-জাতক vsS ঃপর বোধিসত্ত্ব সপ্তবিধ ব্ৰত পালন করিতে লাগিলেন । তিনি মাতা পিতার সেবা করিতেন, কুলাজ্যেষ্ঠদিগের সম্মান করিতেন, সত্যকথা কহিতেন, কদাচ রূঢ়বাক্য প্রয়োগ করিতেন না, পর-পরীবাদ করিতেন না ও মাৎসৰ্য্য দেখাইতেন না । p জনক জননী সদা সেবে কায়মনে, ভক্তি শ্ৰদ্ধা করে যত কুলাজ্যেষ্ঠ জনে, সত্যভাষী, মিষ্টভাষী, জিতক্ৰোধ আর, পর-পরীবাদে রত রসনা না যার ;- এ হেন নিৰ্ম্মলচেতা সাধু সদাশয় ত্ৰিদশনন্দন, ইহা জানিবে নিশ্চয় । এইরূপে সকলের প্রশংসাভাজন হইয়া বোধিসত্ত্ব যথাকালে দেহত্যাগ পূর্বক ত্ৰিদশালয়ে জন্মগ্রহণ করিয়া ইন্দ্ৰত্ব প্ৰাপ্ত হইলেন। তঁহার অনুচরগণও ইহলোক ত্যাগ করিয়া দেবজন্ম লাভ করিলেন । তখন ত্ৰিদশালয়ে অসুরের বাস করিত। একদিন দেবরাজ ভাবিলেন, যে রাজ্য অনন্যশাসন নহে তাহ বিফল। অনন্তর তিনি অসুরদিগকে দেবাসুরা পান করাইলেন এবং যখন তাহারা প্ৰমত্ত হইল। তখন এক এক জনের পা ধরিয়া সুমেরুপর্বতের পাদদেশে নিক্ষেপ করিলেন। তাহারা অসুর লোকে গিয়া পড়িল । উহা সুমেরুর নিম্নতম অংশে অবস্থিত এবং আয়তনে ত্ৰিদশালয়ের তুল্য। দেবলোকে যেমন পারিজাত বৃক্ষ, * অসুরলোকে সেইরূপ কল্পস্থায়ী চিত্ৰপাটলি বৃক্ষ আছে। অসুরেরা চিত্ৰপাটলির পুষ্প দেখিয়া বুঝিল তাহারা দেবলোকে নাই, কারণ দেবলোকে পারিজাত প্ৰস্ফুটিত হয়। তখন তাহারা চীৎকার করিয়া উঠিল, “বৃদ্ধ ইন্দ্ৰ আমাদিগকে মাতাল করিয়া, রসাতলে ফেলিয়া দিয়াছে, আর নিজে দেবলোক অধিকার করিয়াছে। চল, আমরা তাহার সঙ্গে যুদ্ধ করিয়া আবার দেবনগর অধিকার করিয়া লই ।” অনন্তর পিপীলিকা যেমন স্তম্ভে আরোহণ করে, অসুরগণ সেইরূপ সুমেরুপর্বতে আরোহণ করিতে লাগিল । অসুরেরা দেবনগর আক্রমণ করিতে স্পনসিতেছে শুনিয়া ইন্দ্র রসাতলেই শিক্ষা, অন্তঃস্থদের সহিত যুদ্ধ করিলেন ; কিন্তু পরাজিত হইয়া পৃষ্ঠভঙ্গ দিলেন। র্তাহার সাৰ্দ্ধশতযোজন দীর্ঘ বৈজয়ন্তরথ দক্ষিণ সমুদ্রের তরঙ্গসমূহের মস্তকোপরি প্রবলবেগে ছুটতে লাগিল। এইরূপে সমুদ্র-পৃষ্ঠের উপর চলিতে চলিতে শেষে দেবতারা শান্মলিবন দেখিতে পাইলেন। শান্মলি তরুগুলি রথবেগে উন্মুলিত হইয়া সমুদ্রগর্ভে পড়িতে লাগিল, সুপর্ণাশারকেরা সমুদ্রে পড়িয়া মহা কোলাহল আরম্ভ করিল। তাহ শুনিয়া ইন্দ্ৰ জিজ্ঞাসিলেন “সখে মাতলে । ও কিসের শব্দ। উহা যে অতিকরুণ বোধ হইতেছে!” মাতলি কহিলেন, “দেবরাজ, আপনার রথবেগে শান্মলি বৃক্ষগুলি উন্মলিত হইতেছে ; সেই জন্য সুপর্ণপােতকের প্রাণভয়ে আৰ্ত্তনাদ করিতেছে।” ইহা শুনিয়া মহাসত্ত্ব ইন্দ্ৰ বলিলেন, “মাতিলে, ঐশ্বৰ্য্যপ্ৰাপ্তির জন্য এই সকল প্ৰাণীকে কষ্ট দেওয়া কৰ্ত্তব্য নহে ; আমাকে যেন ঐশ্বৰ্য্যের লোভে জীবহিংসা করিতে না হয়। ইহাদের জন্য অসুরহস্তে আমার জীবননাশ হয়, সেও ভাল। তুমি রথ ফিরাও।” ইহা বলিয়া দেবরাজ নিম্নলিখিত গাথা পাঠ করিলেন :- যাহাতে শান্মলি-বাসী সুপর্ণ-পোতকগুলি, না পলায় রাখবেগে কর তাহা হে মাতলি ! অসুরের হাতে যদি যায় আজ এ জীবন, তবু যেন নাহি করি ইহাদের উৎপীড়ন। • মূলে “পরিচ্ছত্ৰক” শব্দ আছে। “Childer সাহেৰ ইহার “প্রবাল বৃক্ষ।” এই নামান্তর দিয়াছেন। किजु **ब्रिद्धांख्" नामई cसाथ हम गभौीन।