পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭-তিত্তির-জাতক । s aaras a তখন শান্ত বলিলেন, “ভিক্ষুগণ, ব্ৰাহ্মণাদি উচ্চকুলে জন্ম, বিনয়, সুত্র ও অভিধৰ্ম্মে পারদর্শিতা, প্ৰথমাদি। ধ্যানাফল প্ৰাপ্তি, স্রোতা পত্তি প্রভৃতি মাৰ্গলাভ ইহার কোনটাই মৎপ্ৰবৰ্ত্তিত শাসনে অগ্ৰাসনাদি পাইবার কারণ নহে। যাহারা বয়োবৃদ্ধ তাহারাই পুজনীয়। র্তাহাদিগকে দেখিয়া অভিবাদন করিতে হইবে, প্ৰত্যুত্থান করিতে হইবে, কৃতাঞ্জলিপুটে নমস্কার করিতে হইবে, সর্বতোভাবে তাহদের সম্বৰ্দ্ধনা করিতে হইবে। যাহারা বয়োবৃদ্ধ তাহারাই অগ্রাসন, অগ্ৰোদক ও অগ্ৰভক্ষ্য পাইবার অধিকারী। ইহাই আমার নিয়ম এবং এই নিয়মানুসারে সর্বাগ্রে বৃদ্ধভিক্ষুদিগের সুবিধা দেখিতে হইবে। কিন্তু যিনি অনুধৰ্ম্মচক্রের * প্ৰবৰ্ত্তক, আমার পরেই যিনি আসনাদি পাইবার উপযুক্ত, আমার সর্বপ্রধান শিষ্য সেই সারীপুত্র নিরাশ্রয়ে বৃক্ষমূলে সমস্ত রাত্রি কাটাইয়াছেন। যদি তোমরা এখনই এমন লঘুগুরুজ্ঞানহীন হও, তাহা হইলে শেষে না জানি কতই দুরাচার হইবে। দেখা প্রাচীনকালে ইতর জঞ্জরা পৰ্যন্ত স্থির করিয়াছিল যে পরস্পরের মৰ্য্যাদা রক্ষা না করিয়া বাস করা অবিধেয় । এইজন্য তাহারা আপনাদের মধ্যে কে প্রাচীন তাহ নিৰ্দ্ধারণ করিয়া DBDDDDD DDD DDBDDB BDDD BDB BDBBBDB S BB KBD DB DBDD BDBDS BBBBDS SDBBB করিয়াছিল ।” অনন্তর শাস্তা সেই অতীত কথা আরম্ভ করিলেন :-] পুরাকালে হিমালয়ের পার্শ্বে এক প্ৰকাণ্ড ন্যসংগ্ৰাধ বৃক্ষের নিকটে এক তিত্তির, এক মৰ্কট ও এক হস্তী বন্ধুভাবে বাস করিত। কিন্তু তাহদের মধ্যে কোন লঘুগুরু পৰ্য্যায় না থাকায় পরস্পরের প্রতি কে কিরূপ মৰ্য্যাদা প্ৰদৰ্শন করিবে তাহা অবধারিত ছিল না । তাহারা বুঝিতে পারিল, এরূপ ভাবে বিচরণ করা অন্যায়। তখন তাহারা আপনাদের মধ্যে কে সৰ্ব্বাপেক্ষা ধয়োবৃদ্ধ তাহা স্থির করিয়া তাহার প্রতি অভিবাদনাদি সন্মানচিহ্ন প্ৰদৰ্শন করিবার সংকল্প করিল। আপনাদের মধ্যে কে বয়সে বড় ইহ, ভাবিতে ভাবিতে একদিন তাহারা ইহা নির্ণয় করিবার এক উপায় বাহির করিল। তাহারা নাগ্রোধ তরুর মুলে উপবেশন করিয়া আছে, এমন সময় তিত্তির ওপেৰ্কট হস্তীকে জিজ্ঞাসা করিল, “ভাই হস্তী, এই নাগ্রোধ বৃক্ষ যখন তুমি প্ৰথম দেখিয়াছ মনে হয়, তখন ইহা কত বড় ছিল ? হস্তী বলিল, “আমার শৈশব সময়ে এই গাছ এত ছোট ছিল যে আমি ইহার উপর দিয়া চলিয়া যাইতাম, ইহাকে পেটের নীচে রাখিয়া দাড়াইলে ইহার অগ্রশাখা আমার নাভিদেশ স্পর্শ করিত।” ইহার পর বর্তক ও হস্তী মার্কটিকে ঐ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিল। সে কহিল, “আমি ছেলে বেলা মাটিতে বসিয়া গলা বাড়াইয়া ইহার আগডালের কচি পাতা খাইয়াছি বলিয়া মনে হয়।” সব শেষে কৰ্কট ও হস্তী তিত্তিরকেও ঐ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিল। তিত্তির বলিল, “পুর্বে অমুক স্থানে একটা প্ৰকাণ্ড ন্যগ্রোধ বৃক্ষ ছিল। আমি তাহার ফল খাইয়া এই স্থানে মলত্যাগ করিয়াছিলাম ; তাহা হইতে এই বৃক্ষ জন্মিয়াছে। কাজেই ইহার জন্মিবার পূর্ব হইতেই আমি ইহাকে জানিয়াছি একথা বলিলেও দোষ হয় না । অতএব আমি বয়সে তোমাদের অনেক বড় ।” তখন মকট ও হস্তী সেই প্ৰবীণ তিত্তিরকে বলিল, “আপনি আমাদের অপেক্ষা বয়সে বড়। বয়োবৃদ্ধের প্রতি যেরূপ সৎকার, সন্মান ইত্যাদি প্রদর্শন করিতে হয় এখন হইতে আপনার প্রতি আমরা সেইরূপ দেখাইব । আমরা আপনাকে অভিবাদনাদি করিব এবং আপনার উপদেশানুসারে চলিব। আপনিও দয়া করিয়া আমাদিগকে প্রয়োজনমত সদুপদেশ দিবেন।” তদবধি তিত্তির তাহাদিগকে উপদেশ দিতে আরম্ভ করিল। সে তাহাদিগকে শীলাব্রত শিক্ষা দিল, নিজেও শীলাব্রত পালন করিতে লাগিল। এইরূপে পঞ্চশীল সম্পন্ন হইয়া সেই প্ৰাণিত্ৰয় পরস্পরের মৰ্য্যাদা রক্ষাপূর্বক যথোচিত-রূপে জীপনযাপন করিয়া দেহান্তে দেবলোকবাসের উপযুক্ত হইল। [এই প্ৰাণিত্রয়ের কাৰ্য্য। “তিত্তির ব্ৰহ্মচৰ্য্য” নামে বিদিত। ইহারা যখন লঘুগুরু-ভেদ

  • ধূতাঙ্গ প্রভৃতি অপেক্ষাকৃত সহজধৰ্ম্ম অনুধৰ্ম্ম বলিয়া পরিগণিত। এই গুলি অভ্যাস করিলে শেষে লোকোত্তর ধৰ্ম্মে অধিকার জন্মে। বুদ্ধ লোকোত্তরধৰ্ম্মচক্রেরা প্ৰবৰ্ত্তক।