পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 --বেণুক-জাতক “RA করিলেন এবং ধ্যানবলে * পঞ্চ অভিজ্ঞ ও অষ্ট সমাপত্তি + প্ৰাপ্ত হইলেন। তিনি ধ্যানসুখে থাকিতেন বলিয়া ক্ৰমে পঞ্চশত তপস্বী তাহার শিষ্য হইলেন। তিনি এই সকল শিষ্যপরিবৃত श्नां ऊँोंश्ांशिक भिक्ष हिडन । একদিন এক বিষধর সর্প-শাবক স্বধৰ্ম্মানুসারে বিচরণ করিতে করিতে ইহঁদের জনৈক তপস্বীর আশ্রমে উপস্থিত হইল। ঐ সর্পশাবকে উক্ত তপস্বীর পুত্ৰস্নেহ সঞ্জাত হইল ; তিনি উহাকে একটী বেণুপর্বের মধ্যে রাখিয়া দিয়া উহার রক্ষণাবেক্ষণ করিতে লাগিলেন। বেণুপৰ্ব্বে শুইয়া থাকিত বলিয়া লোকে ঐ সর্পকে “বেণুক” এবং উহাকে পুত্ৰবৎ পালন করিতেন বলিয়া ঐ তপস্বীকে “বেণুক-পিতা” বলিত। তপস্বীদিগের মধ্যে একজন সাপ পোষণ করিতেছেন শুনিয়া বোধিসত্ত্ব তাহাকে ডাকাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি সৰ্প পুষিতেছ। একথা সত্য কি ?” তপস্বী বলিলেন, “হঁ গুরুদেব।” “সর্পকে বিশ্বাস করিতে নাই। তুমি উহাকে আর রাখিও না।” “শিষ্য যেমন আচাৰ্য্যের, এই সৰ্পও সেইরূপ আমার স্নেহভাজন। আমি তাহাকে ছাড়িয়া থাকিতে পারিব না।” “তবে দেখিতেছি। এই সৰ্পেরই দংশনে তোমার জীবনান্ত হইবে।” তপস্বী। কিন্তু বোধিসত্ত্বের কথায় কৰ্ণপাত করিলেন না, সৰ্পটাকেও ছাড়িয়া দিতে পারিলেন না। ইহার কিয়দিন পরে সেই আশ্রমবাসী সমস্ত তপস্বী বন্যফল আহরণার্থ যাত্ৰা করিলেন এবং এক স্থানে প্রচুর ফল পাওয়া যায়ু দেখিয়া সেখানে দুই তিন দিন অবস্থান করিলেন। বেণুকের পিতাও বেণুককে বেণুপৰ্বে আবদ্ধ রাখিয়া অন্যান্য তপস্বীদিগের সঙ্গে গিয়াছিলেন। দুই তিন দিন পরে আশ্রমে ফিরিয়া তিনি বেণুককে খাওয়াইতে গেলেন। কিন্তু যেমন পর্বের মুখ খুলিয়া “এস, বৎস, তোমার বড় ক্ষুধা পাইয়াছে” বলিয়া হাত বাড়াইয়া দিলেন, অমনি উপবাসক্রুদ্ধ আশীবিষ উহাতে দংশন করিল এবং তৎক্ষণাৎ তাহার প্রাণসংহারপূর্বক অরণ্যে প্ৰস্থান করিল। 曼 বেণুক-পিতাকে বিগত প্ৰাণ দেখিয়া তপস্বীরা বোধিসত্ত্বকে সংবাদ দিলেন। তিনি শবদাহ করিবার আদেশ দিলেন এবং দাহান্তে ঋষিগণপরিবৃত হইয়া আসন গ্ৰহণ-পুরঃসর তঁহাদের উপদেশার্থ এই গাথা বলিলেন ঃ 酸 शिठ्°ब्रांप्र१ वकूव्र बष्न স্বেচ্ছাচারী যেই না করে শ্রবণ, खनिcव ऊश्क्ष निक्षन निभ5झ : বেণুকের পিতা তার সাক্ষী হয়। বোধিসত্ত্ব ঋষিগণকে এইরূপ উপদেশ দিলেন। ক্রমে তিনি ব্রহ্মবিহার ৪ লাভ করিলেন এবং আয়ুঃশেষে ব্ৰহ্মলোকে গমন করিলেন।

  • মুলে ‘কালীণ পরিকল্মিং কত্ব।” এইরূপ আছে। কৃৎস্ন বলিলে ধ্যানাভ্যাস করিবার উপায়বিশেষ বুঝায়। বৌদ্ধগ্রন্থে দশবিধ কৃৎশ্নের উল্লেখ দেখা যায়—ক্ষিতি বৃৎস্ন, তেজ: কৃৎস্ন, পরিচ্ছি স্নাকাশ বৃৎস্ন इंड] ि। ধ্যানশিক্ষার্থ ক্ষিতি, অপ, তেজঃ, মরুৎ, নীল, পীত, লোহিত, শ্বেত, আলোক ও পরিচ্ছিন্নকাশ। ইহার যে কোন একটী পদার্থ লইয়া একাগ্ৰচিত্তে তাহার পরিদর্শন ও প্ৰকৃতি চিন্তা করিবেন। ক্ষিতিকৃৎস্ন পরিকৰ্ম্মে একটীি স্বাদগোল সম্মুখে রাখিয়া ক্ষিতিরূপ ভূতের প্রবৃতি ভাবিতে হইবে, ইহার ভিন্ন ভিন্ন নাম আবৃত্তি করিতে হইবে, ইহা যে নিজের দেহের একটী প্ৰধান উপাদান তাহা চিন্তা করিতে হইবে। এইরূপ চিন্তার ফলে শেষে "নিমিত্ত”। জন্মিবে, অর্থাৎ তখন বস্তু নয়নগোচর না করিলেও তাহার স্বরূপ মানস-পটে সুস্পষ্ট প্রতিফলিত হইবে। পরিচ্ছিন্নাকাশ কৃৎপ্লে কুটীরের কোন ছিদ্ৰ দিয়া আকাশখণ্ড অবলোকন করিতে হইবে। এইরূপ অঙ্গাঙ্গ কৃৎমেও এক একটী নিয়মানুসারে ধ্যানাভ্যাস করিবার ব্যবস্থা আছে।
  • অভিজ্ঞ-অলৌকিক জ্ঞান বা ক্ষমতা ; বিভূতি। পঞ্চ অভিজ্ঞ যথা ঋদ্ধি (আকাশমার্গে বিচরণাদি ঐন্দ্ৰজালিক ক্ষমতা ), দিব্যশ্রোত্র, পরিচিত্তজ্ঞান, জাতিস্মরত্ব, দিব্যচক্ষু ।

সমাপত্তি সম্বন্ধে ৩০শ পৃষ্ঠের টীকা দ্রষ্টব্য।

  • ०म श्रृंपर्छब्र गैका अल्लेवा ।