পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৯-ভেরীবাদ-জাতক > RINO চয়ন করিলেন কেন ?” বোধিসত্ত্ব বলিলেন, “বাবা আমাকে আজ রাজপদ দিবেন, সেই জন্য S uuuK BDBD S SDBDBDBD DBDB DBDBB KB BDB BDBDBD DDD DDDDB DDS BDBK দেখাইবে না , আমি বহন করিয়া লইয়া যাইতেছি।” এই বলিয়া রাক্ষস সমস্ত ফুল কুড়াইয়া লইয়া বোধিসত্ত্বের পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিল। দূর হইতে এই দৃশ্য দেখিয়া দেবদত্ত বুঝিতে পারিল তাহার চক্রান্ত ব্যর্থ হইয়াছে। সে ভাবিল, “আমি ছেলেকে পাঠাইলাম রাক্ষসকর্তৃক ভক্ষিত হইবে বলিয়া ; কিন্তু এখন দেখিতেছি। রাক্ষসই বিনীতভাবে ইহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ পুষ্প বহন করিয়া আনিতেছে। আহে । এতদিনে আমার সর্বনাশ হইল!” এইরূপ ভাবিতে ভাবিতে তাহার হৃৎপিণ্ড শতধা ছিন্ন ভিন্ন হইয়া গেল এবং সে তৎক্ষণাৎ পঞ্চােত্ব প্ৰাপ্ত হইল। অনন্তর অপর সমস্ত বানর সমবেত হইয়া বোধিসত্ত্বকে রাজপদে বরণ করিল। SMLSSLLSLSLLSLSS S S qqSqTTLS LSLLLSLTLLLLS LSLLLLLLSS LSLSLLLLLSSkTLL T qSS S LSSSSYLSSSS LYYLSL SLSLSLSSSMSSSLSSS SSSSLS SSSSSSAS LLLL SCSSLSLSL TS SqqSLLSLLSLLLSLSLS [। সমবধান-তখন দেবদত্ত ছিল সেই বানররাজ এবং আমি ছিলাম তাহার পুত্র। C-ਲ-ਕਠs [ শাস্তা জেতবনে অবস্থিতিকালে কোন অবাধ্য ভিক্ষুসম্বন্ধে এই কথা বলিয়াছিলেন। শাস্তা জিজ্ঞান্সিলেন "ওহে ভিক্ষু, লোকে বলে তুমি বড় অবাধ্য ; ইহা সত্য কি ?” ভিক্ষু বলিল, “হঁ। ভগবন, সত্য।” শান্ত বলিলেন, “তুমি যে কেবল এ জন্মেই অবাধ্য হইয়ােছ তাঁহা নহে; পূৰ্ব্বজন্মেও তোমার এই দোষ ছিল।” অনন্তর তিনি সেই অতীত কথা বলিতে লাগিলেন :- ] বারাণসীরাজ ব্ৰহ্মদত্তের সময় বোধিসত্ত্ব কোন ভেরীবাদকের কুলে জন্মগ্রহণ করিয়া এক গ্রামে বাস করিতেন। একদা তিনি শুনিতে পাইলেন বারাণসী নগরে কোন যোগ উপলক্ষে মহাসমারোহ হইবে । সমাগত লোকের নিকট ভেরী বাজাইলে বিলক্ষণ অর্থপ্ৰাপ্তির সম্ভাবনা আছে ভাবিয়া তিনি নিজের পুত্রসহ সেখানে গমন করিলেন। ভেরী বাজাইয়া বোধিসত্ত্ব বহু ধন লাভ করিলেন এবং পর্বশেষ হইলে গৃহাভিমুখে যাত্রা করিলেন। পথে একটা বন ছিল ; সেখানে দাসু্যরা উপদ্রব করিত। বোধিসত্ত্বের পুত্ৰ পথ চলিবার সময় অবিরত ভেরী বাজাইতেছিল ; তিনি তাহাকে নিরস্ত করিবার অভিপ্ৰায়ে বলিলেন, “বৎস, নিরন্তর বাজাইও না ; বড় লোকের পথ চলিবার সময় যেরূপ মধ্যে মধ্যে ভেরী বাজে, সেইরূপ বাজাও।” কিন্তু পিতার নিষেধ সত্ত্বেও সেই বালক ক্ষান্ত হইল না, সে ভাবিল ভেরীর শব্দ শুনিয়া দসু্যরা পলায়ন করিবে। প্ৰথমে ভেরীর বাদ্য শুনিয়া দসু্যরা বাস্তবিকই পলায়ন করিল, কারণ তাহারা ভাবিল কোন বড় লোক হয়ত বিস্তর অনুচর সঙ্গে লইয়া যাইতেছেন। কিন্তু যখন নিরন্তর ভেরীর ধ্বনি হইতে লাগিল, তখন তাহারা নিজেদের ভ্ৰম বুঝিতে পারিল এবং ফিরিয়া দেখিল দুইটী মাত্র লোক যাইতেছে। অনন্তর তাহারা বোধিসত্ত্ব ও তঁহার পুত্রকে প্ৰহার করিয়া সমস্ত ধন কাড়িয়া লইল । তখন বোধিসত্ত্ব বলিলেন, “হায়, এত কষ্টে যাহা উপার্জন করিলাম, ক্রমাগত ভেরী বাজাইয়া তুমি তাহা সমস্তই বিনষ্ট করিলে ।” অনন্তর তিনি এই গাথা পাঠ করিলেন :- কিছুতেই বাড়াবাড়ি করো না কখন ; শিখিবে “অত্যন্ত সৰ্ব্ব’ করিতে বৰ্জন । cडईौ बांखां ईग्रा धन, করেছিনু উপাৰ্জন ; কিন্তু পুনঃপুনঃ করি ভেরীর বাদন দ্যহন্তে করে মুঢ় সব বিসর্জন। [সমবধান-তথম এই অবাধ্য ভিক্ষু ছিল সেই ভেরীবাদকের পুত্র এবং আমি ছিলাম তাহার পিতা। ]