পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v-tivateve » RGt SLeLeLeeLLLLLLeLLLLLLeeSLeLeSLeLLLLSLLALLALeLeeL LL LLLLLLLLS LMLMLLLLLL LLLLLLLAMeLeLeeLeeee eqLLLLALSLMLLLLLL LeeeLLeLMLMLMeMeLeeLLLLL LLLLLLLATSAiSLSSLMSSMi BBBBDBKKDK ELL SDD DD S KBBDDBDD D DBBBDB BDDBDBD DDBS BDBBD DBB কক্ষশিলায় গমনপূর্বক তত্ৰত্য সুবিখ্যাত আচাৰ্য্যের নিকট বিদ্যাশিক্ষা করিয়া সংসারধৰ্ম্ম পালন করা।” ব্ৰাহ্মণকুমার বলিল, “আমি বনে গিয়া অগ্নিপূজা করিতে অশক্ত ; অতএব সংসারধৰ্ম্মই পালন করিব।” অনন্তর সে মাতাপিতার চরণ বন্দনা করিয়া এবং গুরুদক্ষিণার জন্য সহস্র মুদ্রা লইয়া তক্ষশিলায় গমন করিল এবং কিয়াৎকালের মধ্যে সর্ববিদ্যায় পারদর্শী হইয়া গৃহে ফিরিয়া আসিল। কিন্তু তাহার মাতাপিতার ইচ্ছা ছিল না যে সে এই অনৰ্থজনক সংসারে প্রবিষ্ট হয়। সে বনে গিয়া অগ্নির উপাসনা করিবে তঁহাদের মনে এই বাসনাই বলবতী হইল। মাতা স্থির করিলেন, “স্ত্রীচরিত্রের দোষ প্ৰদৰ্শন দ্বারা ইহার মনে বৈরাগ্য উৎপাদিত করিতে হইবে।” তিনি ভাবিলেন, “ইহার আচাৰ্য্য প্ৰসিদ্ধ পণ্ডিত ; তিনি নিশ্চয় ইহাকে নারীজাতির হীনচরিত্ৰতা বুঝাইতে পরিবেন।” এই সিদ্ধান্ত করিয়া ঐ রমণী পুত্ৰকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বৎস, তুমি কি সমস্ত বিদ্যাই আয়ত্ত করিয়াছ ?” ব্ৰাহ্মণকুমার উত্তর দিল, “হা, মা, তোমার আশীৰ্ব্বাদে সমস্ত বিদ্যাই শিক্ষা করিয়াছি।” “তাহা হইলে তুমি অশান্তমন্ত্র শিখিয়াছ সন্দেহ নাই।” “না, মা, সে মন্ত্রত শিখি নাই।” “তবে তোমার শিক্ষা সমাপ্ত হইল কি রূপে ? তুমি তক্ষশিলায় ফিরিয়া যাও এবং অশান্তমন্ত্র শিখিয়া আইসি।” পুত্ৰ “যে আজ্ঞা” বলিয়া পুনর্বার তক্ষশিলায় গেল। e তক্ষশিলার সেই আচাৰ্য্যের ( বোধিসত্ত্বের ) জননী তখনও জীবিত ছিলেন। তঁহার বয়স হইয়াছিল এক শ বিশ বৎসর। আচাৰ্য্য অতি যত্নসহকারে এই জরতীর শুশ্ৰষা করিতেন। তিনি তঁহাকে স্বহস্তে স্নান করাইতেন ; স্বহস্তে পান ও ভোজন করাইতেন । * কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে বৃদ্ধা জননীর এইরূপে সেবা শুশ্ৰষা করিতেন বলিয়া প্ৰতিবেশীরা তঁহাকে বড় ঘূণা করিত। সেই কারণে তিনি শেষে সঙ্কল্প করিলেন, “বনে গিয়া সেখানে জননীর সেবা শুশ্ৰষা করিব।” যেখানে জলের সুবিধা আছে বনমধ্যে এমন একটা নিভৃত ও মনোরম স্থান দেখিয়া তিনি সেখানে পৰ্ণশালা নিৰ্ম্মাণ করিলেন, তথায় ঘূত, তণ্ডুল প্ৰভৃতি উপকরণ সংগ্ৰহ করিয়া রাখিলেন এবং মাতাকে লইয়া ঐ কুটীরে গিয়া তাহার পরিচর্য্যা করিতে লাগিলেন। বারাণসীর ব্ৰাহ্মণকুমার আচাৰ্য্যকে তক্ষশিলায় দেখিতে না পাইয়া অনুসন্ধান করিতে করিতে সেই বনে উপস্থিত হইল এবং তঁহাকে প্ৰণাম করিল। বোধিসত্ত্ব • জিজ্ঞাসা করিলেন, “বৎস, তুমি এত শীঘ্ৰ ফিরিয়া আসিলে কেন ?” ব্ৰাহ্মণকুমার বলিল, “আমি আপনার নিকট অশান্তমন্ত্র গ্ৰহণ করি নাই ; এখন তাহা শিখিতে আসিয়াছি।” “কে তোমাকে অশান্তমন্ত্র শিখিবার কথা বলিয়াছেন ?” “মা বলিয়াছেন।” বোধিসত্ত্ব ভাবিলেন, SKEDBDD DBDDD D BD DDD DDS BDDB DBDBDDB BB D DBB BBB BBB DBtBB দোষ-বুঝাইয়া দেওয়া হয়। তিনি ব্ৰাহ্মণকুমারকে বলিলেন, “বেশ, তোমাকে অশান্তমন্ত্র শিখাইব। তুমি অন্ত হইতে আমার স্থান গ্ৰহণ করিয়া আমার জননীর সেবাশুশ্ৰষায় প্ৰবৃত্ত হও ; তেঁাহাকে স্বহস্তে স্নান করাইবে, স্বহস্তে পান ও ভোজন করাইবে, এবং তঁাহার হাত পা, মাথা ও পিট টিপিয়া দিবার সময় বলিবে, ‘আৰ্য্যে, জরাগ্ৰস্ত হইয়াও আপনার কি অপরূপ দেহকান্তি; না জানি যৌবনকালে আপনি কী দৃশী রূপলাবণ্যসম্পন্না ছিলেন।” যখন তাহার হস্ত ও পাদ প্ৰক্ষালন করিবে তখনও তাহার হস্ত ও পাদের সৌন্দৰ্য্য কীৰ্ত্তন করিবে । আমার মাতা তোমাকে যাহা বলিবেন, তাহা আমাকে জানাইবে ; কিছুই গোপন করিও না বা বলিতে লজা করিও না। এইরূপ করিলে তুমি অশান্তমন্ত্র লাভ করিবে ; নচেৎ উহা শিখিতে পরিবে না।” ব্ৰাহ্মণকুমার আচাৰ্য্যের উপদেশানুসারে পুনঃ পুনঃ বৃদ্ধার রূপ কীৰ্ত্তন করিতে লাগিল। তাহা শুনিয়া বৃদ্ধিার মনে হইল, “আমি দেখিতেছি এই যুবকের প্রণয়ভাজন হইয়াছি।”