পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম সিপাঠ

  • NAMANMANN

MMNNNNMMMNMNN TarunnoBot (আলাপ) ১২:০৩, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ (ইউটিসি)యి বারাণসীরাজ ব্ৰহ্মদত্তের সময় বোধিসত্ত্ব পাণিককুলে * জন্মগ্রহণপূর্বক বয়ঃপ্ৰাপ্তির পর “কুন্দালপণ্ডিত” নামে অভিহিত হইয়াছিলেন। তিনি কুদালদ্বারা একখণ্ড ভূমি পরিষ্কৃত করিয়া তাহাতে শাক, লাউ, কুমড়া, শশা প্ৰভৃতি উৎপাদনা করিতেন এবং সেই সমস্ত বিক্রয় করিয়া অতিকষ্টে জীবিকা নির্বাহ করিতেন। সংসারে সেই একখানি কোদালি ভিন্ন তাহার অন্য কোন সম্বল ছিল না । একদিন তিনি চিন্তা করিতে লাগিলেন, “গৃহে থাকিয়া আমার কি সুখ ? আমি সংসার ত্যাগ করিয়া সন্ন্যাসী হইব।” এই সঙ্কল্প করিয়া তিনি কোদালিখানি লুকাইয়া রাখিয়া ঋষিপ্ৰব্ৰজ্য গ্ৰহণ করিলেন। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই বোধিসত্ত্বেয় মনে সেই ভোতা কোদালির লোভ প্ৰবল হইয়া উঠিল ; তিনি পুনরায় সংসারে আসিলেন। এইরূপ পুনঃ পুনঃ ঘটতে লাগিল,-তিনি ছয়বার কোদালি লুকাইয়া রাখিয়া প্ৰব্ৰাজক হইলেন এবং ছয়বারই গৃহে ফিরিয়া আসিলেন। অনন্তর সপ্তমবারে তিনি এইরূপ চিন্তা করিতে লাগিলেন :-“আমি এই কুণ্ঠ কুন্দালের মায়াতেই পুনঃ পুনঃ গৃহে আসিতেছি ; এবার ইহা মহানদীর মধ্যে নিক্ষেপ করিয়া প্ৰব্ৰজ্যা লইব ।” তখন তিনি নদীতীরে গিয়া, পাছে কুদ্দালের পতনস্থান দৃষ্টিগোচর হইলে প্ৰত্যাবৰ্ত্তনপূর্বক উহা উদ্ধার করিবার ইচ্ছা হয় এই আশঙ্কায়, চক্ষুদ্বয় নিমীলন করিলেন, বাট ধরিয়া হস্তিসমন্বলে মস্তকোপরি তিনবার ঘুরাইয়া কুদ্দালখানি নদীর মধ্যভাগে নিক্ষেপ করিলেন এবং “আমি জিতিয়াছি! আমি জিতিয়াছি।” বলিয়া তিনবার সিংহনাদ করিলেন । ইতঃপূর্বে বারাণসীরাজ্যের প্রত্যন্তবাসী প্ৰজারা বিদ্রোহী হইয়াছিল ! তাহাদিগকে দমন করিয়া বারাণসীপতি রাজধানীতে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিতেছিলেন। দৈবগত্যা ঐ সময়ে তিনি সেই নদীতেই অবগাহন পূর্বক সৰ্ব্বালঙ্কারভূষিত এবং গজস্কন্ধারূঢ় হইয়া গমন করিতেছিলেন, এমন সময়ে বোধিসত্ত্বের জয়ধ্বনি তাহার কর্ণগোচর হইল। তিনি বলিলেন, “এ লোকটা ‘জিতিয়াছি জিতিয়াছি।’ বলিতেছে! কাহাকে জিতিল ? উহাকে আমার নিকট আনয়ন কর তাঁ।” বোধিসত্ত্ব উপস্থিত হইলে রাজা জিজ্ঞাসিলেন, “ভদ্র, আমি সংগ্রামে বিজয়ী হইয়া রাজধানীতে ফিরিতেছি। তুমি কিসে বিজয়ী হইলে ?” বোধিসত্ত্ব বলিলেন, “মহারাজ, যদি চিত্তনিষ্ঠিত রিপুগণকে জয় করিতে না পারা যায়, তাহা হইলে সহস্ৰ সহস্ৰ, লক্ষ লক্ষ সংগ্রামে । জয়লাভ করাও বৃথা। আমি অন্য লোভদমনপূর্বক রিপুজয়ী হইয়াছি।” ইহা বলিতে বলিতে তিনি মহানদী অবলোকন করিতে লাগিলেন, এবং জলকৃৎম ধ্যান করিয়া তত্ত্বদেশী হইলেন। তখন তঁহার লোকাতীত ক্ষমতা জন্মিল, তিনি আকাশে আসীন হইয়া রাজাকে নিম্নলিখিত গাথায় ধৰ্ম্মশিক্ষা দিলেন :- ? • সে জয়ে কি ফল, পশ্চাতে যাহার অাছে পরাজয়ভয় ? যে জয়ের কভু নাই পরাজয়, সেই সে প্রকৃত জয় । ধৰ্ম্মোপদেশ শুনিতে শুনিতে রাজার মোহান্ধকার দূর এবং রিপুনিচয় প্রশমিত হইল । তাহার রাজ্যাভিলাষ দূরে গেল, প্ৰব্ৰজ্যালাভের বাসনা জন্মিল। তিনি বোধিসত্ত্বকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি এখন কোথায় যাইবেন ? বোধিসত্ত্ব বলিলেন, “মহারাজ, আমি এখন হিমাচলে গিয়া তপস্বিভাবে বাস করিব।” “তবে আমিও প্ৰব্ৰাজক হইব” বলিয়া রাজাও বোধিসত্বের সঙ্গে যাত্ৰা করিলেন । তদর্শনে রাজার সমস্ত সৈন্য এবং সমভিব্যাহারী ব্ৰাহ্মণাদি অপর সকলেও তাহার অনুগামী হইলেন । বারাণসীবাসীরা যখন শুনিল কুদালপিণ্ডিতের উপদেশবলে রাজা প্ৰব্ৰজ্যাভিমুখী হইয়াছেন এবং সসৈন্যে র্তাহার অনুগমন করিতেছেন, তখন তাহারা ভাবিল, “আমরা ঘরে থাকিয়া কি Sq DDD DDDDD DBDBD DDD DD DDDB DDD uDDD BtDB DDBD DiDBBD DDBD S বঙ্গদেশে পুণ্ডরীক নামক জাতিরও এই ব্যবসায়। পুওরীকেরা সাধারণতঃ পুড়া নামে পরিচিত।