পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SaSህ” q প্ৰথম নিপীঠ জিজ্ঞাসা করিলেন। বুদ্ধগণ উত্তর দিলেন, “রাজকুমার, তুমি এ নগরে রাজত্ব লাভ করিতে পরিবে না। এখান হইতে দ্বিসহস্ৰ যোজন দূরে গান্ধার দেশে তক্ষশিলা নামে এক নগর আছে। যদি সেখানে যাইতে সমর্থ হও, তবে অদ্য হইতে সপ্তম দিবসে রাজ্যলাভ করিবে । EEE DB BDDi DDDBBB DBBDBD B DDDDB BBDD DD DBDBK BDBBDB DBBBSS S BD DDD gBBBDB BD DBBD EK DBDB DB BBDiD BDD BBDD BsBLDDO DDBSDBD DBBB DDD ভিতর দিয়া ঋজুভাবে গেলে পঞ্চাশ যোজন মাত্ৰ চলিতে হয়। কিন্তু উহা যক্ষদিগের বাসস্থান। যক্ষিণীরা মায়াবলে পথপার্থে গ্রাম ও পান্থশালা সৃষ্টি করে, তাহারা সুবৰ্ণতারকা-খচিত চন্দ্ৰাতপের নিয়ে বিচিত্ৰবৰ্ণরঞ্জিত পট্টশাণ-পরিবৃত মহাহঁ শয্যা প্ৰস্তুত করিয়া রাখে এবং স্ব স্ব দেহ দিব্যালঙ্কারে সুশোভিত করিয়া গৃহদ্বার হইতে পথিকদিগকে মধুর বচনে প্রলোভন দেখাইতে থাকে। তাহারা বলে, “পান্থ, তুমি বোধ হয় নিতান্ত ক্লান্ত হইয়াছ ; এস, এখানে উপবেশন কর; সুশীতল জল পান করিয়া পুনর্বার পথ চুলিবে ।” তাহারা পথিকদিগকে এইরূপে ভুলাইয়া গৃহাভ্যন্তরে লইয়া যায়, বসিবার আসন দেয় ; এবং আপনাদের অলৌকিকরূপ ও হাবভাব দ্বারা মুগ্ধ করিয়া ফেলে। অনন্তর হতভাগ্যেরা ইন্দ্ৰিয়াপরবশ হইয়া যেমন পাপাচারে প্রবৃত্ত হয়, অমনি যক্ষিণীগণ তাহাদিগকে নিহত করিয়া, তাহদের দেহ হইতে নিঃশেষে রক্ত নিঃস্থত হইয়া যাইবার পুর্বেই, উদারস্থ করিয়া ফেলে। যক্ষিণীরা লোকের সমস্ত ইন্দ্ৰিয়ই মুগ্ধ করিতে পারে। তাহারা যে রূপপ্রিয়, তাহাকে রূপের ছটায়, যে শব্দমাধুৰ্য্যপ্রিয় তাহাকে গীতবাদ্যে, যে সৌরভপ্রিয় তাহাকে দিব্যগন্ধে, যে সুরসপ্রিয় তাহাকে অমৃতোপম ভোজ্যে, যে স্পর্শমুখপ্রিয় তাহাকে দুগ্ধফেননি ভ দেবদুর্লভ রক্তাস্তরণযুক্ত উপধান দ্বারা পরিতৃপ্ত করিয়া থাকে। তবে যদি তুমি ইন্দ্ৰিয়দমনে সমর্থ হও এবং কিছুতেই ইহাদের মুখাবলোকন করিব না, এই • সঙ্কল্পপূর্বক মনকে সংযত রাখিয়া যাইতে পাের, তাহা হইলে DBB BDBDB LDB DDD DD DBBB S বোধিসত্ত্ব বলিলেন, “যাহাই হউক না কেন, আপনাদের এই উপদেশ শুনিবার পর কি তাহাদের দিকে দৃষ্টিপাত করিতে পারি ?” অনন্তর তিনি প্রত্যেকবুদ্ধদিগের নিকট প্রার্থনা করিলেন, “আপনারা আমায় এমন কোন মন্ত্রপুতি দ্রব্য দিন, যাহার প্রভাবে পথে আমার কোন বিপদ ঘটিবে না।” প্ৰত্যেক বুদ্ধগণ তঁহাকে মন্ত্রপুত সুত্র ও বালুক দিলেন; তিনি উহা গ্ৰহণ করিয়া তাহাদিগকে এবং জনক জননীকে প্ৰণিপাতপূর্বক নিজের বাসভবনে গেলেন। সেখানে তিনি অনুচরদিগকে সম্বোধনপূর্বক বলিলেন, “দেখ, আমি রাজ্যলাভার্থ তক্ষশিলায় যাইতেছি ; তোমরা এখানেই অবস্থিতি কর।” কিন্তু তাহদের মধ্যে পাঁচজন বলিল, “আমরাও যাইব ।” বোধিসত্ত্ব বলিলেন, “তোমরা আমার সঙ্গে যাইতে পারিবে না ; পথে নাকি অনেক ব্যক্ষিণী আছে ; তাহারা রূপাদি প্ৰলোভন দ্বারা মনুষ্যদিগের ইন্দ্ৰিয়সমূহ মুগ্ধ করিয়া ফেলে এবং যাহারা প্ৰলুব্ধ হয় তাহাদিগকে নিহত করে। এ বড় ভয়ের কথা । আমি আত্মনির্ভর করিয়াই যাইব স্থির করিয়াছি।” “যদি আপনার সঙ্গে যাই, তাহা হইলে আমরাই কি আত্মপ্রীতির জন্য তাহদের রূপাদি। অবলোকন করিব ? আপনি যাহাই বলুন, আমরাও তক্ষশিলায় যাইব ।” “চল, তবে সাবধান যেন কোনরূপ প্ৰমাদ না ঘটে।” ইহা বলিয়া বোধিসত্ত্ব সেই পঞ্চ ব্যক্তিকে সঙ্গে লইয়া যাত্ৰা করিলেন। । ব্যক্ষিণীরা পথে গ্ৰাম” নিৰ্ম্মাণ করিয়া অবস্থিতি করিতেছিল। বোধিসত্ত্বের অনুচরদিগের মধ্যে একজন রূপপ্রিয় ছিল ; সে ব্যক্ষিণী:দিগকে অবলোকন করিয়া মুগ্ধ হইল এবং সঙ্গীদিগের একটু পশ্চাতে পড়িল। বোধিসত্ত্ব জিজ্ঞাসা করিলেন, “কিহে, তুমি পিছনে পড়িলে কেন ?” সে বলিল, “দেব, পায়ে বড় ব্যথা হইয়াছে ; এই পান্থশালায় একটু বিশ্রাম করিয়া, আসিতেছি।” বোধিসত্ত্ব বলিলেন, “দেখ বাপু, উহারা যক্ষিণী ; উহাদের ফাঁদে পা দিও না।”