পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RNOR প্ৰথম নিপাঠ। NarewareFromMYNYNevs SeiBLLeLeLSLSLSi MLMSLLMLeMMeLLLLL LL LLLLL LL eeSLLLLSSeLqLeSeSeL eSLLLeSSASLSLeAAS শিষ্যের মধ্যে একজন অতি জড়িমতি ছিল। সে ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ পাঠ করিত ; কিন্তু বুদ্ধির জড়তাDBBEBD DDD tgB BBBDB DS BB BDDDD BDBDB DD BgBDD DDDBS কারণ সে নিয়ত দাসবৎ তাহার পরিচর্য্যা করিত। একদিন বোধিসত্ত্ব সায়মাশ নিৰ্বাহ করিয়া শয়ন করিলেন। ঐ শিষ্য তাহার হস্তপাদ পৃষ্ঠাদি টিপিয়া বাহিরে যাইতেছে এমন সময় বোধিসত্ত্ব বলিলেন, “বৎস, আমার খাটের পায়াগুলি ঠিক করিয়া দিয়া যাও।” শিষ্য একদিকের পায় ঠিক করিয়া দেখে, অন্যদিকের পায়া নাই ; তখন সে নিজের উরুর উপর সেই দিক স্থাপিত করিয়া সমস্ত রাত্ৰি বসিয়া কাটাইল । বোধিসত্ত্ব প্ৰত্যুষে নিদ্রাত্যাগ করিয়া তাহাকে তদাবস্থায় দেখিতে পাইলেন এবং জিজ্ঞাসা করিলেন, “বৎস, তুমি এভাবে বসিয়া আছ কেন ?” শিষ্য বলিল, “গুরুদেব, খাটের এদিকে পায়া নাই বলিয়া উরুতে রাখিয়া বসিয়া আছি।” এই কথায় বোধিসত্ত্বের অন্তঃকরণ বিচলিত হইল । তিনি ভাবিতে লাগিলেন, “এই শিষ্য আমার অতীব উপকারী ; কিন্তু দুঃখের বিষয়, এত শিষ্যের মধ্যে ইহারই বুদ্ধি জড় ; সেই কারণে এ বিদ্যা শিক্ষা করিতে পারিতেছে না। ইহাকে পণ্ডিত করিবার কি কোন উপায় নাই ?” অনন্তর তাহার মনে হইল, “এক উপায় আছে। এ যখন কাষ্ঠ ও পত্র সংগ্ৰহ করিয়া ফিরিবে, তখন ইহাকে জিজ্ঞাসা করিব, তুমি কি দেখিয়াছ ও কি করিয়াছ। এ উত্তর দিবে, এই দেখিয়াছি এবং এই করিয়াছি ; তাহা হইলে আমি আবার জিজ্ঞাসা করিব, যাহা দেখিলে বা যাহা করিলে তাহা কিসের মত । এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হইলেই ই তাকে উপমা প্রয়োগ করিতে হইবে কাৰ্য্য কারণসম্বন্ধ ও ভাবিতে হইবে। এই রূপে নূতন নূতন উপমা প্রয়োগ ও কাৰ্য্য কারণনির্ণয় করাইয়া ইহার পণ্ডিত্য জন্মাইতে পারিব।” মনে মনে এই যুক্তি করিয়া বোধিসত্ত্ব সেই শিষ্যকে ডাকিয়া বলিলেন, “বৎস, এখন হইতে তুমি যখন কাষ্ঠ ও পত্র সংগ্রহের জন্য বনে যাইবে, তখন যাহা দেখিবে, খাইৰে বা পান করিবে, আমায় আসিয়া জানাইবে।” সে “যে আজ্ঞা” বলিয়া তাহার আদেশ গ্ৰহণ করিল । অনন্তর একদিন সে সতীর্থগণের সহিত কাষ্ঠ আহরণ করিবার জন্য বনে গিয়া একটা সৰ্প দেখিতে পাইল এবং চতুষ্পাঠীতে ফিরিয়া বোধিসত্ত্বকে বলিল, “আৰ্য, আমি একটা সাপ দেখিয়াছি।” বোধিসত্ত্ব জিজ্ঞাসা করিলেন “সৰ্প কী দৃশ ?” শিষ্য উত্তর দিল “ঠিক যেন লাঙ্গলের ঈষ ।” বোধিসত্ত্ব ভাবিলেন, “উপমাট সুন্দর হইয়াছে ; সর্প দেখিতে অনেক অংশে লাঙ্গলের ঈষার ন্যায়ই বটে। বোধ হইতেছে ইহাকে ক্রমে পণ্ডিত করিয়া তুলিতে পারিব।” অপর একদিন ঐ শিষ্য বনমধ্যে হস্তী দেখিতে পাইয়া বোধিসত্ত্বের নিকট সেই কথা জানাইল। বোধিসত্ত্ব জিজ্ঞাসিলেন, “হস্তী কী দৃশ্য ?” শিষ্য উত্তর দিল “ঠিক যেন লাঙ্গলের ঈষতা।” বোধিসত্ত্ব ভাবিলেন, হস্তীর শুণ্ড লাঙ্গলেষার ন্যায় বটে ; দন্ত দুইটীও তৎসদৃশ ; এ বুদ্ধির জড়তাবশতঃ হস্তীর সমস্ত অঙ্গ প্ৰত্যঙ্গ পৃথক পৃথক বর্ণনা করিতে পারিতেছে না, কেবল শুণ্ডটাকেই লক্ষ্য করিয়া উত্তর দিতেছে।” এই সিদ্ধান্ত করিয়া বোধিসত্ত্ব ভালমন্দ কিছুই दजिgबन नां । আর একদিন ঐ শিষ্য নিমন্ত্রণে ইক্ষু খাইতে পাইয়া বোধিসত্বকে বলিল, “আচাৰ্য্য, আমি আজ আখি খাইয়াছি।” বোধিসত্ত্ব জিজ্ঞাসা করিলেন, “ইক্ষু কী দৃশ ?” শিষ্য উত্তর দিল “ঠিক যেন লাঙ্গলের ঈষা” বোধিসত্ত্ব দেখিলেন, উপমাটীতে সাদৃশ্যের বড় অভাব ; তথাপি তিনি সেদিন কোন কথা বলিলেন না । পরিশেষে একদিন শিষ্যেরা নিমন্ত্রণে গিয়া দধি ও দুগ্ধের সহিত গুড় খাইল । জড়মতি শিষ্য আসিয়া বোধিসত্বকে বলিল, “গুরুদেব, আজ আমি দধি ও দুগ্ধের সহিত গুড় খাইয়াছি।” আচাৰ্য্য জিজ্ঞাসা করিলেন, “দধি, দুগ্ধ কীদৃশ বলত।” শিষ্য উত্তর দিল, “ঠিক যেন লাঙ্গলের ঈষতা।” ইহা শুনিয়া বোধিয়ত্ব ভাবিতে লাগিলেন, “তাই তা ; এ যখন সৰ্প লাঙ্গলের সদৃশ