পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&do প্ৰথম নিপাঠ

  • VorWNY

বোধিসত্ত্বের মৃত্যু হয়; কাজেই তাহার পত্নী ও কন্যাত্ৰিয় প্রতিবেশীদিগের গৃহে কাজকৰ্ম্ম করিয়া জীবন ধারণ করিতে লাগিলেন । মানবদেহ ত্যাগ করিয়া বোধিসত্ত্ব সুবর্ণহংস রূপে জন্মগ্রহণ করিলেন এবং জাতিস্মর হইলেন। বয়ঃপ্ৰাপ্তির পর একদিন তিনি নিজের সুবৰ্ণপক্ষাবৃত পরামটি রমণীয় বিশালদেহ দেখিয়া ভাবিতে লাগিলেন, “আমি পুৰ্ব্বজুন্মে কি ছিলাম ?’ আমনি তাহার স্মরণ হইল তিনি পুৰ্ব্বজন্মে মনুষ্য ছিলেন। তখন, তাহার ব্রাহ্মণী ও কন্যারা কি উপায়ে জীবিকা নিৰ্বাহ করিতেছে ইহা চিন্তা করিয়া তিনি জানিতে পারিলেন তাহারা পরগৃহে দাসীবৃত্তি দ্বারা অতিকষ্টে কাল কাটাইতেছেন। তিনি ভাবিলেন, “আমার পালকগুলি কুট্টিত সুবর্ণের* ন্যায় ; আমি স্ত্রী ও কন্যাদিগকে এক একটী পালক দিব ; তাহারা ইহা বিক্রয় করিয়া সুখে স্বচ্ছন্দে থাকিতে পরিবে।” এই সঙ্কল্প করিয়া বোধিসত্ত্ব উড়িয়া গিয়া তাহদের কুড়ে ঘরের মাঝের আড়ার এক পাশে গিয়া বসিলেন । * তাহারা জিজ্ঞাসা করিলেন, “প্ৰভু, আপনি কোথা হইতে আসিলেন ?” বোধিসত্ত্ব বলিলেন, “আমি তোমাদের পিতা ; মৃত্যুর পর সুবর্ণহংস হইয়া জন্মলাভ করিয়াছি। আমি তোমাদিগকে দেখিতে আসিয়াছি ; এখন হইতে তোমাদিগকে আর পরিগৃহে দাসীবৃত্তি করিয়া দিনপাত করিতে হইবে না ; আমি এক একটী পালক দিব ; তাহা বিক্রয় করিয়া সুখে স্বচ্ছন্দে থাকিতে পরিবে।” ইহা বলিয়া তিনি তঁহাদিগকে একটী পালক দিয়া চলিয়া গেলেন । তদবধি বোধিসত্ত্ব মধ্যে মধ্যে ফিরিয়া আসিতেন এবং তাহাদিগকে এক একটী পালক দিয়া যাইতেন। তাহাতে ব্ৰাহ্মণীর প্রচুর অর্থলাভ হইত এবং তিনি পরমসুখে জীবিকানিৰ্বাহ করিতেন। কিন্তু একদিন ব্ৰাহ্মণী কন্যাদিগকে বলিলেন, “ইত্যর প্রাণীদিগের চরিত্র বুঝা ভার ; তোদের পিতা যে কখনও আসা বন্ধ করিবে না। তাহা কে বলিতে পারে ? তাই বলি, সে এবার যখন আসিবে, তখন আমরা তাহার সবগুলি পালক ছিড়িয়া লইব ।” কিন্তু পিতার যন্ত্রণা হইবে ভাবিয়া কন্যারা এ জঘন্য প্ৰস্তাবে সন্মতি দিলেন না। ব্ৰাহ্মণী, কিন্তু কিছুতেই নিজের দুরাকাজক্ষা দমন করিতে পারিল না। অতঃপর একদিন বোধিসত্ত্ব তাহদের কুটীরে উপস্থিত হইলে তিনি বলিলেন, “আৰ্য্যপুত্ৰ, একবার আমার কাছে আসুন।” বোধিসত্ত্ব র্তাহার নিকটে গেলেন ; তিনি তঁহাকে দুই হাতে ধরিয়া সমস্ত পালক উপাড়িয়া লইলেন। কিন্তু বোধিসত্ত্বের ইচ্ছার বিরুদ্ধে লইল বলিয়া কোন পালকই হিরন্ময় রহিল না, তৎক্ষণাৎ বেকের পালকের नJांश् छ्छे।। ८ ।। ইহার পর বোধিসত্ত্ব চলিয়া যাইবার জন্য পক্ষ বিস্তার করিলেন ; কিন্তু উড়িতে পারিলেন না । তখন ব্ৰাহ্মণী তঁহাকে একটা বড় জালার মধ্যে ফেলিয়া দিয়া খাবার দিতে লাগিলেন। কিয়দিন পরে বোধিসত্ত্বের নূতন পালক উঠিল, কিন্তু সেগুলি সমস্ত শাদা হইল। অনন্তর তিনি উড়িয়া স্বস্থানে চলিয়া গেলেন, আর কখনও পত্নী ও কন্যাদিগকে দেখিতে আসিলেন না । [ কথান্তে শান্ত বলিলেন, “ভিক্ষুগণ, তোমরা দেখিতে পাইলে যে স্কুলনন্দ এজন্মের ন্যায় পুর্বেও দুরাকাঙ্ক্ষাপরায়ণা ছিল । সেই দুরাকাঙ্ক্ষাবশতঃ পুৰ্ব্বজন্মে। সে সুবৰ্ণ হইতে বঞ্চিত হইয়াছিল, এজন্মেও রাজন হইতে বঞ্চিত হইবে। কেবল তাহাঁই নহে, তাহার লোভাতিশয়ে সমস্ত ভিক্ষুণী-সম্প্রদায়ের ভাগ্যেই আর রসুনপ্রাপ্তি ঘটবে না। ইহা দেখিয়া তোমরা লোভ সংযত করিতে শিখ, ভিক্ষালব্ধ দ্রব্য যতই অল্প হউক না কেন, তাহাতেই সন্তুষ্ট হইতে অভ্যাস কর ।” অনস্তর তিনি এই গাথা বলিলেন, ঃ- बांदा °it७ ऊांशपडदे लूछे ब्रtथ मन ; Pittstics sew vafscuit ea ـــــــــــــــــــــــــــــــ ag coiSi qatt * মুলে ‘পিটুঠবংসকোট” এই পদ আছে।