পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪৭ - পুস্পরিক্ত-জাতক । R\96 সমবেত হইল এবং ব্যাপার কি জিজ্ঞাসা করিল। সে বলিল, “আমার ভাৰ্য্যা বেলান্তে বসিয়া । ब्रांन कब्रियांद्र नभश्म निश्ड श्वांछन।” उांश् ७निग्रा जभरठ কাকই একরবে। রোদিন আরম্ভ । করিল। অনন্তর তাহারা স্থির করিল, সমুদ্র তাহদের নিকট অতি তুচ্ছ ; তাহারা জল সেচন করিয়া সমুদ্রকে শুষ্ক করিয়া ফেলিবে এবং এইরূপে সেই কাকীর উদ্ধার সাধন করিবে। তদনুসারে তাহারা মুখ পুরিয়া জল তুলিতে প্ৰবৃত্ত হইল। লবণোদকে যখন তাহদের কণ্ঠ শুষ্ক হইত। তখন তাহারা স্থলে বিশ্রাম করিত। এইরূপ বহুদিন লবণজল মুখে বহন করিয়া তাহাদের কণ্ঠে অসহ্য যন্ত্রণা হইল, চক্ষু রক্তবর্ণ হইল। তাহারা তন্দ্রবেশে পড়ে তা মরে এই দশা প্ৰাপ্ত হইল। তখন তাহারা হতাশ হইয়া পরস্পরকে সম্বোধনপূর্বক বলিল, “দেখ, আমরা সমুদ্র হইতে জল তুলিয়া বাহিরে ফেলিতেছি বটে, কিন্তু এক জল তুলিতে না তুলিতেই অন্য জল আসিয়া তাহার স্থান পূরণ করিতেছে। অতএব আমরা সমুদ্র জলহীন করিতে পারিব না ।” অনন্তর তাহারা নিম্নলিখিত গাথা বলিল ঃ লোণাজিলে মুখ পুড়িল, কণ্ঠ শুকাইল, नां शब्र किरठ याश्। छिल ऊश्श् िद्रश्लि। তখন সমস্ত কাক মৃত কাকীর রূপ বৰ্ণনা করিয়া বিলাপ করিতে লাগিল। তাহারা বলিল, “তঁহার পুচ্ছ কি সুন্দর ছিল। তঁহার চক্ষু, তাহার দেহ, তাহার মধুর কণ্ঠস্বর, সমস্তই মনোহর ছিল ! এই সমস্ত গুণ দেখিয়াই চোর সমুদ্র তঁহাকে অপহরণ করিয়াছে।” কাকেরা এইরূপে বিলাপ প্ৰলাপ করিতেছে শুনিয়া সমুদ্র-দেবতা ভৈরবরূপ ধারণ করিয়া তাহদের সম্মুখে আবিভূতি হইলেন। •তদর্শনে তাহারা পলাইয়া গেল এবং তাহাতেই তাহদের জীবনরক্ষা হইল ( নচেৎ তাহারাও তরঙ্গাঘাতে জলমগ্ন হইত ) ৷ সমবধান-তখন এই বৃদ্ধ ভিক্ষুর স্ত্রী ছিল সেই কাকী ; এই বৃদ্ধ ভিক্ষু ছিল সেই কাক ; অপর বৃদ্ধ ভিক্ষুগণ ছিল অপর সমস্ত কাক এবং আমি ছিলাম সমুদ্রদেবতা। ] ১৪৭-পুভপৰিৱত্তজি-জাতক । [ শাস্তা জেতবনে জনৈক উৎকণ্ঠিত ভিক্ষুসম্বন্ধে এই কথা বলিয়াছিলেন । শাস্তা জিজ্ঞাসিলেন, “কি হে ভিক্ষু, তুমি নাকি বড় উৎকণ্ঠিত হইয়াছ ?” ভিক্ষু উত্তর দিলেন, “হঁ। ভগবান” । “কে তোমার উৎকণ্ঠার কারণ ?” “পুর্বে যিনি আমার ভাৰ্য্যা ছিলেন। তিনি এমনই মধুর হস্তরসিক যে আমি তঁাতাকে ছাড়িয়া কিছুতেই থাকিতে পারিতেছি না।” “এই রমণী তোমার অনৰ্থকারিণী ; পূর্বেও তুমি ইহারই জন্য শূলে চড়িয়াছিলে এবং মৃত্যুকালে ইহার জন্য পরিদেবনা করিয়া নিরায়গামী হইয়াছিলে । এখন আবার ইহাকে পাইবার জন্য এত উৎকণ্ঠিত হইলে কেন ?” ইহা বলিয়া শাস্তা সেই অতীত বৃত্তান্ত বলিতে আরম্ভ করিলেন :- ] পুরাকালে বারাণসীরাজ ব্ৰহ্মদত্তের সময় বোধিসত্ত্ব আকাশদেবতা হইয়াছিলেন। একবার বারাণসীতে কাৰ্ত্তিক রাত্রির উৎসবোপলক্ষে সমস্ত নগরী সুসজ্জিত হইয়া দেবনগরীর ন্যায় শোভাধারণ করিয়াছিল এবং সমগ্ৰ অধিবাসী আমোদ প্ৰমোদে মত্ত হইয়াছিল। ঐ সময়ে এক দুঃস্থ ব্যক্তির দুইখানি মাত্র মোটা কাপড় ছিল। সে বস্ত্র দুইখানি সুন্দরীরূপে ধোওয়াইয়া শত সহস্ৰ ভাজে চোনাট করাইয়া আনিল । অনন্তর তাহার। ভাৰ্য্যা বলিল, “স্বামিন, আমার ইচ্ছা হইতেছে যে কুসুম্ভরঞ্জিত * একখানি বস্ত্ৰ পরিধান করিয়া এবং অন্য একখানি গায়ে দিয়া, তোমার গলা ধরিয়া, কাৰ্ত্তিকোৎসব দেখিতে যাই।” - সে বলিল, “ভদ্রে, আমাদের ন্যায় দরিদ্রলোকে কুসুম্ভফুল কোথায় পাইবে ? ss - -- alatess কুমত-“কুসুম' यूण (saflower) N98