পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

= * s s AV নমো স্তস্টস’ভগবতো অরহতো সম্মাসম্বুদ্ধস্স। ( সেই ভক্তিভাজন ভগবান সম্যকৃসম্বুদ্ধকে নমস্কার ) এক নিপাঠ

  • 1 sܒܗ5ܝܘܠs=ss-2sfܦܐܬܡܠ-ܠ

[ ভগবান শ্রাবস্তী নগরের নিকটবৰ্ত্তী জেতবনস্থ , মহাবিহারে অবস্থান করিবার সময় ধ্রুবসত্য-শিক্ষাদানার্থ নিমলিখিত কথা বলিয়াছিলেন । যে উপলক্ষ্যে ইহার অবতারণা হইয়াছিল। তাহা এই :- শ্ৰেষ্ঠ অনাথাপিণ্ডদের + পঞ্চশত বন্ধু বৌদ্ধশাসন গ্ৰহণ না করিয়া অন্যান্য গুরুর শিষ্য হইয়াছিলেন। ১ এক দিন অনাথাপিণ্ডদ ইহাদিগকে সঙ্গে লইয়া জেতবনে গমন করিয়াছিলেন। তাহার সঙ্গে প্রচুর মাল্য, গন্ধ, বিলোপন এবং তৈল, মধু, গুড়, বস্ত্ৰ, আচ্ছাদন প্রভৃতি দ্রব্যসস্তার ছিল। তিনি মাল্যাদি দ্বারা ভগবানের অৰ্চনা করিলেন, ভিক্ষুসজঘকে বস্ত্ৰ-ভৈষজ্যাদি | উপহার দিলেন এবং অতি শিষ্টভাবে ৭া একান্তে উপবেশন করিলেন। তাহার বন্ধুগণও তথ্যাগতের $ চরণ বন্দনা করিয়া তদীয় পার্থে উপবিষ্ট হইলেন এবং বিস্ময়বিস্ফারিতনেত্ৰে ভগবানের লোকাতীত বিভূতি-পূর্ণচন্দ্ৰনিভ মুখমণ্ডল, বুদ্ধত্বব্যঞ্জক সৰ্ব্বসুলক্ষণ-মণ্ডিত ও ব্যামপ্ৰমাণ-প্ৰভাপরিবৃত ব্ৰহ্মকলেবর ** এবং তান্নিঃসন্ত, স্তরে স্তরে বিন্যস্ত, পূর্ণপ্রজ্ঞাজাত রশ্মিমালা অবলোকন করিতে লাগিলেন ।

  • অপশ্লিাক-ধ্রুব সত্য । + শ্রাবস্তীর নিকটবৰ্ত্তী একটী বিখ্যাত উদ্যান । সবিস্তর বিবরণ পরিশিষ্টে দ্রষ্টব্য ।

অনাথাপিণ্ডদ ( পালিভাষায় ‘অনাখপিণ্ডিক” ) একজন প্ৰসিদ্ধ বৌদ্ধ উপাসক। সবিস্তর বিবরণ পরিশিষ্টে দ্রষ্টব্য। এই অনুবাদে ইহার নাম কোথাও ‘অনাখপিণ্ডদ,” কোথাও বা ‘অনাখপিণ্ডিক’ লেখা হইয়াছে। $ মূলে “অঞঞতিখিয়সাবকে’ এই পদ আছে। ‘শ্রাবক’-যে (উপদেশ ) শ্রবণ করে, অর্থাৎ শিষ্য। ‘তীৰ্থ” শব্দের অন্যতম অর্থ ‘উপদেষ্টা।” বা ‘গুরু” । র্যাহারা ধৰ্ম্মসম্প্রদায় স্থাপন করিতেন, তাহারা তীৰ্থক, তৈর্থ্যি, তীর্থিক, তৈর্থিক বা তীর্থঙ্কর নামে অভিহিত হইতেন। গৌতমের সময় এইরূপ, পরস্পরবিরোধী অনেকগুলি ধৰ্ম্মসম্প্রদায় ছিল । বৌদ্ধ গ্রস্থে পূরণকাশ্যপ, নিগ্ৰস্থজ্ঞাতিপুত্র প্রভৃতি ছয়জন বৌদ্ধশাসনকিরোধী তীর্থকের নাম দেখা যায়। বৌদ্ধের ইহাদিগকে নীচকুলজ ও ভণ্ড বলিয়া বৰ্ণনা করিয়াছেন । র্তাহারা বলেন যে বৌদ্ধ সাধুপুরুষগণ ঋদ্ধিবলে আকাশমার্গে ভ্ৰমণ প্রভৃতি নানাবিধ অলৌকিক কাৰ্য্য সম্পাদন করিতে পারিতেন ; কিন্তু তীর্থকদিগের এরূপ ক্ষমতা ছিল না । এই নিমিত্ত র্তাহারা পরিণামে জনসাধারণের হাস্যাস্পদ হইয়াছিলেন । | ভেসজ্জ ( ভৈষজ্য) বলিলে পালিভাষায় ঘূত, নবনীত, তৈল, মধু ও গুড় এই পঞ্চ দ্রব্যও বুঝায় ; এখানে এই অর্থই লইতে হইবে । 7া মুলে “নিসজ-দোসে বজেত্বা” (অর্থাৎ উপবেশন-সংক্রান্ত ষড়বিধ দোষ পরিহার করিয়া ) এইরূপ আছে । অতি দূরে, সন্নিকটে, সম্মুখে, পশ্চাতে, উচ্চস্থানে ও বায়ুপ্রতিরোধ করিয়া উপবেশন নিষিদ্ধ। $ ভগবান, শান্ত (উপদেষ্ট ), দশাবল, সুগত, বুদ্ধ, সম্যকসম্বুদ্ধ, তথাগত ইত্যাদি গৌতমের উপাধি । পিটকে দেখা যায় গৌতম আপনাকে অনেক সময়ে ‘তথাগত" নামেই অভিহিত করিতেন। বুদ্ধঘোষ এই শব্দটীর বহুবিধ ব্যাখ্যা করিয়াছেন। তন্মধ্যে, “যিনি অতীত বুদ্ধগণ-প্ৰদৰ্শিত পথে গমন করিয়াছেন।” এই অর্থই বোধ হয় সমীচীন। “যিনি তত্ৰাগত ( ‘তথা’ শব্দ ‘তত্র’ শব্দের অপভ্রংশ), অর্থাৎ যিনি অমুত্ৰ বা নির্বাণে উপনীত হইয়াছেন,” কিংবা “যিনি অপর মানুষের ন্যায় আসিয়াছেন বা চলিয়া গিয়াছেন”। এরূপ ব্যাখ্যাও অসঙ্গত নহে। শেষোক্ত ব্যাখ্যায় “তথাগত” শব্দ সকল মনুষ্যসম্বন্ধে প্রযোজ্য হইলেও বুদ্ধবাচক হইয়াছে। খ্ৰীষ্টানেরাও যীশুখ্ৰীষ্টকে মনুষ্য-পুত্ৰ বলিয়া থাকেন।

    • বৌদ্ধসাহিত্যে গৌতমের দেহ লোকাতীত-সৌন্দৰ্য্যবিভুষিত ছিল বলিয়া বর্ণিত আছে। আকৃতি, কণ্ঠস্বর, দেহপ্রভা প্রভৃতি সমস্ত বিষয়েই তিনি ব্ৰহ্মার সদৃশ ছিলেন।