পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܐ9[eܚܕܐà*j8 শান্ত বলিলেন, “উপাসকগণ, সর্বনিয়ে অবীচি হইতে সর্বোপরি ভবাগ্রি * পৰ্যন্ত নিখিল বিশ্বে এমন কেহই নাই যিনি শিলাদিগুণে বুদ্ধের তুল্যকক্ষ হইতে পারেন; তাহা হইতে উচ্চকক্ষ হওয়া ত সুদূরপরাহত।” অনস্তর তিনি ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ হইতে সুত্ৰ আবৃত্তিপূর্বক রত্নত্রয়ের গুণব্যাখ্যা করিলেন এবং বলিতে লাগিলেন, “যে উপাসক বা উপাসিক এবংবিধ উত্তমগুণসম্পন্ন ক্রিরিত্বের শরণা লয়, তাহাকে কখনও নরকাদিতে জন্মিতে হয় না ; সে ক্লেশকর পুনর্জন্ম হইতে অব্যাহতি পাইয়া দেবলোকে গমন করে এবং সেখানে অতুল সুখের অধিকারী হয়। অতএব তোমরা এ শরণ পরিহার এবং শরণাস্তর গ্ৰহণ করিয়া বিপথগামী হইয়াছ ।” ( যাহারা মোক্ষকামনায় এবং সর্বোৎকৃষ্ট ফলপ্ৰাপ্তির আশায় ত্রিীরত্বের শরণাগত হয়, তাহারা কখনও ক্লেশকর জন্ম ভোগ করে না, ইহা বিশদ করিবার জন্য নিম্নলিখিত গাথাগুলি শুনাইতে হয় :- बूरकब्र अंब्रींशऊ नब्ररक न थांश ; নরলোক পরিহরি দেবলোক পায় । ধৰ্ম্মের শরণাগত নরকে না যায় ; নরলোক পরিহরি দেবলোক পায় । म७दद्ध भद्रitड नब्रक नां शांश : নরলোক পরিহরি দেবালোক পায় । ভুধর, কন্দর কিংবা জনহীন বন, শান্তি-হেতু লয় লোক সহস্র শরণ। sa مصاد 米 米 ত্রিরত্ন-শরণ কিন্তু সর্বদুঃখহর ; লভিতে ইহারে সদা হও অগ্রসর। শাস্ত কেবল এই উপদেশ দিয়াই নিরস্ত হইলেন না ; তিনি পুনর্বার বলিতে লাগিলেন :-“উপাসকগণ, বুদ্ধানুস্মৃতি, ধৰ্ম্মানুস্মৃতি ও সঙ্ঘানুস্মৃতি এই ত্ৰিবিধ কৰ্ম্মস্থান + দ্বারা লোকে স্রোতা পত্তিমাৰ্গ, স্রোতা পত্তিফল, সকুদাগামিমাৰ্গ, সকুদাগামিফল, অনাগামিমাৰ্গ, অনাগামিফল, অৰ্হত্বমাৰ্গ ও অৰ্হত্ত্বফল ঐ লাভ করে।” উপাসকদিগকে এবংবিধ নানা উপদেশ দিয়া শাস্তা বলিলেন, “তোমরা ঈদৃশ শরণ পরিত্যাগ করিয়া অতি নিৰ্ব্ববুদ্ধিতার পরিচয় দিয়ােছ।” (বুদ্ধানুস্মৃতি প্রভৃতি কৰ্ম্মস্থান হইতে স্রোতা পত্তিমাৰ্গ প্রভৃতি লাভ করা যাইতে পারে, ইহা নিম্নলিখিত শাস্ত্রবচনাদি দ্বারা সুস্পষ্টরূপে বুঝাইতে হইবে :-"ভিক্ষুগণ, জগতে একটিমাত্ৰ ধৰ্ম্ম আছে, যাহার অনুষ্ঠান ও সম্প্রসারণ দ্বারা মানুষ একান্ত নির্বেদ, $ বৈরাগ্য, শান্তি, অভিজ্ঞ, সম্মুদ্ধি ও নির্বাণ প্রাপ্ত হইতে পারে। সেই একমাত্ৰ ধৰ্ম্ম কি ? তাহা বুদ্ধানুস্মৃতি” ইত্যাদি । ) ভগবান নানা প্রকারে উপাসকদিগকে এই সমস্ত উপদেশ দিয়া বলিলেন, “উপাসকগণ, পূর্বকালেও লোকে • * অবীচি - বৌদ্ধমতে অষ্টনরকের অন্যতম। ভবা গ্ৰ— অৰীচির বিপরীত, সর্বশ্রেষ্ঠ স্বলোক নৈব সংজ্ঞানসংজ্ঞায়িতন । অৰীচির অধিবাসীরা সৃষ্টিপৰ্য্যায়ের নিম্নতম এবং ভবা গ্ৰবাসী দেবগণ উচ্চতম স্তরে স্থাপিত ।

  • কৰ্ম্মস্থান-ধ্যানের বিষয় । এ সম্বন্ধে অপেক্ষাকৃত সবিস্তর বিবরণ দ্বিতীয় জাতকের টীকায় দ্রষ্টব্য।

বৌদ্ধের নির্বাণলাভের চারিটীি মার্গ অর্থাৎ উপায় নির্দেশ করিয়া থাকেন :-সেীতাপত্তিমাগগ, সকদাগামিমার্গ, অনাগামিমাগৃগ, অরহত্তমাগগ। পালি ভাষায় শ বা ষ নাই, কাজেই সোতপত্তি’ বা শোতপত্তি’ তাহা নির্ণয় করা কঠিন। ‘স্রোতা পত্তি’ (স্রোতস+আপত্তি) শব্দ ‘পৃষেদিরাদি’ সুত্র দ্বারা নিম্পন্ন হইতে পারে ; “শোতপত্তি’ শব্দ (শ্ৰোতৃ + আপত্তি) শ্রোত্রাপত্তি শব্দের অপভ্রংশ। প্রথম বুৎপত্তি ধরিলে যিনি বুদ্ধ-শাসনরূপ স্রোতে প্ৰবেশ করিয়াছেন এবং পরিণামে তাহারই সাহায্যে নির্বাণ-সমুদ্রে উপনীত হইবেন, এরূপ ব্যক্তিকে বুঝাইবে । দ্বিতীয় ব্যাখ্যায় যিনি ধৰ্ম্ম-দেশান শ্রবণ করিয়া তাহাতে নিহিত শ্রদ্ধ হইয়াছেন। তঁহাকে বুঝাইবে । বলা বাহুল্য যে উভয় ব্যাখ্যাতেই চরম অর্থ একরূপ। স্রোতপন্নগণ সাতবার জন্মগ্রহণ করিবার পর কৰ্ম্মপাশমুক্ত হইয়া নির্বাণ লাভ করেন। সকুদাগামিগণ একবার মাত্ৰ জন্ম গ্ৰহণ করেন। অনাগামিগণ আর কামলোকে জন্মোন না, ব্ৰহ্মলোকপ্ৰাপ্ত হইয়া সেখান হইতে নির্বাণ লাভ করেন । অৰ্হনের সর্বশ্রেষ্ঠ-ৰ্তাহাদের সমস্ত কামনার নিবৃত্তি হইয়াছে; তাহারা দেহত্যাগের সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাণ লাভ করেন। বৌদ্ধমতে এই অধঃপতিত যুগে অৰ্হত্ব লাভ অসম্ভব । উক্ত চারি শ্রেণীর লোকের পক্ষে প্ৰথমে মাৰ্গ লাভ, পরে তাহার ফল প্ৰাপ্তি । মাৰ্গচন্তুষ্টয়ের বহিঃস্থ ব্যক্তিরা “পৃথগািজন’ নামে বিদিত। যাহার কৰ্ম্মফল মানে তাহারা কল্যাণ-পৃথগজন, यiशब्री भांप्न ना डांशब्रा अक श्रृंथशखन। $ নিৰ্বেদ-সংসারের অসারত্ব উপলব্ধি করিয়া যে বিরক্তি জন্মে ।