পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२- अष्धांक्षभू-अऊि* VD শ্ৰেষ্ঠ কন্যা অতঃপর বৌদ্ধ উপাশ্ৰয়ে বাস করিতে লাগিলেন এবং যথাকলে এক পুত্র প্রসব করিলেন। সন্তান পালন করিতে হইলে ভিক্ষুণীদিগের ধৰ্ম্মচৰ্য্যার ব্যাঘাত ঘটে বলিয়া প্ৰসেনজিৎ এই শিশুকে রাজভবনে লইয়া গেলেন এবং রাণীদিগের হস্তে সমৰ্পণ করিলেন । তাঁহারা অপত্য-নির্বিশেষে ইহার লালন পালন LAASqA q TqA qSqASq LqS S MAqSeLSqS LqLS LS LALS LqLS SeMS LLLLLS eSLLLSL LqeAeeeL MLALSS * * * కాజ -- করিতে লাগিলেন এবং “কাশ্যপ” এই নাম রাখিলেন । রাজপুত্রের হস্তায় প্রতিপালিত হইয়াছিলেন বলিয়া अ८नाटक ऊाश८क दूमान्न काश्चा°१७ বুলিত কুমার কাশ্যপ সপ্তম বর্ণ বয়সেই ভগবানের আদেশে প্ৰব্ৰজ্যা লাভ করেন ; এবং বয়ঃপ্ৰাপ্তির পর ভিক্ষুসজেঘ প্রবিষ্ট হন। ইনি ধৰ্ম্মব্যাখ্যায় অদ্বিতীয় ছিলেন। শাস্তা বলিতেন, ভিক্ষুদিগের মধ্যে কুমার কাশ্যপ সৰ্ব্বাপেক্ষা বাকপটু। উত্তরকালে কুমার কাশ্যপ বল্মীকসুত্ৰ শুনিয়া অৰ্হত্ত্ব লাভ করেন x এবং গগনতলস্থ পূর্ণচন্দ্রের ন্যায় বৌদ্ধশাসনে প্ৰকটিত হন । তঁহার জননীও বিদর্শন লাভ করিয়া অহত্ত্ব প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন। ༤། གཞན་ཡང་ একদিন সায়ংকালে জেতবনস্থ ভিক্ষুগণ ধৰ্ম্মসভায় সমবেত হইয়া কুমাব কাশ্যপ ও তাহার জননীর কথা তুলিলেন। তাহারা বলাবলি করিতে লাগিলেন, “দেবদত্ত বুদ্ধ নহেন ; তাহার দয়ামায়াও নাই ; সেইজন্যই তিনি স্থবির কুমার কাশ্যপ ও র্তাহার গর্ভধারিণীর সর্বনাশ করিতে বসিয়াছিলেন। কিন্তু আমাদের গুরু ধৰ্ম্মরাজ ; তিনি সর্বজ্ঞ ও পরমকারুণিক ; তাই তিনি ইহাদের উভয়ের উদ্ধার সাধন করিয়াছিলেন।” - এই সময়ে শাস্তা গন্ধকুটীর হইতে বাহির হইয়া সেখানে দেখা দিলেন এবং তঁহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আজি তোমরা কোন বিষয়ের আলোচনা করিতেছ?” তাহারা বন্ত্রিলেন, “আমরা আপনারই গুণকীৰ্ত্তন করিতেছি। আপনি কুমার কাশ্যপের জননীসম্বন্ধে যে সদয় ব্যবহার করিয়াছিলেন, সেই কথা বলিতেছি।” শাস্তা কহিলেন, “আমি অতীত জন্মেও এই দুইজনের উদ্ধার করিয়াছিলাম। দেবদত্ত তখনও ইহাদের সর্বনাশ করিতে উদ্যত হইয়াছিল।” অনন্তর তিনি ভিক্ষুদিগের অবগতির জন্য সেই পূর্ব কথা বলিতে আরম্ভ করিলেন : ]

  • পুরাকালে বারাণসীরাজ ব্ৰহ্মদত্তের সময়ে বোধিসত্ত্ব হরিণজন্ম গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। তঁহার দেহ হেমবৰ্ণ, শৃঙ্গ রজতবর্ণ, মুখ রক্তকম্বলবর্ণ এবং চক্ষুদ্বয় মণিগোলকবৎ উজ্জল ছিল। তাহার খুরগুলি যেন লাক্ষাসংযোগে চিকুণ হইয়াছিল বলিয়া মনে হইত। ভূমিষ্ঠ হইবামাত্রই তাহার পুচ্ছ হইয়াছিল চমরী-পুচ্ছের ন্যায়, শরীর হইয়াছিল অশ্বশাবক-প্ৰমাণ। তিনি ‘ন্যগ্রোধমৃগরাজ” নাম গ্ৰহণ করিয়া পঞ্চ শত মৃগসহ অরণ্যে বিচরণ করিতেন। অনতিদূরে তঁহারই ন্যায় হেমবৰ্ণ আর একটী মৃগেরও পঞ্চশত অনুচর ছিল। তঁহার নাম ছিল “শাখা মৃগ ।”

রাজা ব্ৰহ্মদত্ত অত্যন্ত মৃগয়াসক্ত ছিলেন ; মৃগমাংস না পাইলে তাহার আহার হইত না । তিনি প্ৰতিদিন পুরবাসী ও জনপদবাসী বহু প্ৰজা সঙ্গে লইয়া মৃগয়া করিতে যাইতেন । ইহাতে তাহাদিগের সাংসারিক কাজকৰ্ম্মের এত ব্যাঘাত হইত যে, শেষে জ্বালাতন হইয়া তাহারা পরামর্শ করিল, “চল ভাই, রাজার উদ্যানে মৃগদিগের আহারার্থ তৃণ রোপণ এবং পানাৰ্থ জলের আয়োজন করি। তাহার পর আমরা বন হইতে মৃগ তাড়াইয়া আনিয়া উদ্যানের ভিতর পুরিব এবং রাজাকে সমস্ত অবরুদ্ধ মৃগ দেখাইয়া দিয়া নিস্কৃতি লাভ করিব।” ইহা স্থির করিয়া তাহারা রাজেন্দ্যানে তৃণ রোপণ ও কৃপ, পুষ্করিণী খনন করিল এবং মুদগর প্রভৃতি অন্ত্রশস্ত্ৰ লইয়া সকলে একসঙ্গে মৃগান্বেষণে বাহির হইল। তাহারা বনে প্ৰবেশ করিয়া এক যোজন বেষ্টন করিয়া ফেলিল; ন্যগ্রোধমূগ এবং শাখা মৃগ উভয়েরই বিচরণক্ষেত্র ঐ চক্রের মধ্যে পড়িল। অনন্তর বেষ্টনকারীরা মৃগ দেখিতে পাইয়া বৃক্ষ, গুল্ম প্ৰভৃতির উপর মুদগরের আঘাত করিতে লাগিল। ইহাতে মৃগগণ নিতান্ত ভীত হইয়া স্ব স্ব গহনস্থান হইতে বাহির হইয়া পড়িল । তখন ঐ সকল লোকে তরবারি, শক্তি, ধনুৰ্ব্বাণ প্ৰভৃতি আস্ফালনপূর্বক বিকট শব্দ আরম্ভ করিল এবং মৃগগুলিকে তাড়াইয়া উদ্যানের অভিমুখে লইয়া চলিল । উদ্যানের দ্বার পূর্ব হইতেই উন্মুক্ত ছিল। ভয়বিহবল মৃগগুলি উহার অভ্যন্তরে প্রবেশ করিল। তাহার পর লোকে অর্গল দিয়া তাহাদিগকে অবরুদ্ধ করিয়া ফেলিল । এইরূপে বহুমৃগ সংগ্রহপূর্বক তাহারা ব্ৰহ্মদত্তের নিকট গিয়া বলিল, “মহারাজ, আপনি

  • মধ্যম নিকারের ২৩শ সুত্ৰ ।