পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 di ශූභූ® fබ°ifම් দাসীকন্যা শিবিকারোহণে শ্রাবস্তীতে উপনীত হইল এবং যে পথে ত্যি ভিক্ষা করিতে যাইবেন তাহার পাৰ্থে বাসা লইল। সেখানে সে নুতন নুতন ভূত্য নিযুক্ত করিল ; তিয্যের পৈতৃক ভৃত্যদিগের একজনও যাহাতে র্তাহার নয়নগোচর না হয় তাহার ব্যবস্থা করিল এবং এইরূপে সাবধান হইয়া তিষ্যের আগমন প্রতীক্ষা করিতে লাগিল। অনন্তর তিষ্য যখন তাহার বাসায় ভিক্ষা করিতে গেলেন, তখন সে তাহার পাত্রে উৎকৃষ্ট ভোজ্য ও BBD DBDB D S SBBD DBD BDDBDD DDBDD BB DDB DDDBBDBDB DBDD BBBB BDE S BBD পরে সেখানে উপবেশন করিতে লাগিলেন ।* দাসীকন্যা যখন দেখিল তিষ্য ভোজ্য পানীয়ের লোভে সম্পূর্ণরূপে তাহার আয়ত্ত হইয়াছেন, তখন একদিন পীড়ার ভাণ করিয়া সে অভ্যস্তরস্থ একটী প্রকোষ্ঠে শয়ন করিয়া রহিল । ত্যি যথাসময়ে তাহার আলয়ে উপনীত হইলেন, ভূত্যেরা সসন্ত্রমে তাহার হস্ত হইতে ভিক্ষাপাত্ৰ নামাইয়া রাখিল এবং তাঁহাকে বসিবার জন্য আসন দিল । তিনি উপবেশন করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “আজ উপাসিকা কোথায় ?” তাহারা কহিল, “তঁহার অসুখ করিয়াছে; আপনি তাহাকে একবার দেখিয়া গেলে ভাল হয়।” এই কথায় সেই লোভান্ধি স্থবির ব্রতভঙ্গ করিয়া দাসীক নম্বর শয্যাপার্থে গেলেন। তখন দাসীকন্যা কি জন্য শ্রাবস্তীতে আসিয়াছে তঁহাকে তাহা, খুলিয়া বলিল ; এবং প্রলোভন দেখাইয় তাহাকে এমন বশীভুত করিল যে তিনি বুদ্ধশাসন ত্যাগ করিলেন। অনন্তর সে তাহাকে শিবিরে তুলিয়া রাজগৃহ নগরে প্রতিগমন করিল। এই ব্যাপার রাষ্ট্র হইলে ভিক্ষুরা বলাবলি করিতে, লাগিলেন, “শুনিতেছি এক দাসী কন্যা না কি স্থবির তিষ্যকে রসতুষ্ণায় আবদ্ধ করিয়া পুনরায় গৃহী করিয়াছে।’ তাহদের এই কথা শুনিয়া শাস্ত কহিলেন, “স্থবির তিষ্য পূর্ব জন্মেও এই দাসীকন্যারই প্রলোভনে মুগ্ধ হইয়াছিল।” অনন্তর তিনি সেই অতীত বৃত্তান্ত বলিতে व्लॉप्लिन :-] বারাণসীরাজ ব্ৰহ্মদত্তের সঞ্জয় নামে এক উদ্যানপালক ছিল। এক দিন এক বাতামৃগ চরিতে চরিতে রাজার উদ্যানে প্ৰবেশ করিয়াছিল। সঞ্জয় তাহাকে তাড়া করিল না, তথাপি সেদিন তাহাকে দেখিবামাত্র সে ছুটিয়া পলাইল। কিন্তু তাড়া না পাইয়া ক্রমে মৃগের সাহস বাড়িল ; সে তদবধি পুনঃ পুনঃ উদ্যানে গিয়া বিচরণ করিতে লাগিল। { সঞ্জয় প্রতিদিন নানা প্ৰকার ফল ও পুষ্প চয়ন করিয়া রাজার নিকট লইয়া যাইত । এক দিন রাজা তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ভদ্র, উদ্যানে কখনও বিস্ময়কর কিছু লক্ষ্য করিয়াছ কি ?” সে কহিল, “মহারাজ, বিস্ময়কর কিছু দেখি নাই ; তবে কয়েক দিন হইল, একটী বাতামৃগ বাগানে চরিতে আসিতেছে।” “ঐ মৃগটাকে ধরিতে পরিবে ?” “যদি কিছু মধু পাই, তাহা হইলে বোধ হয় উহাকে ধরিয়া আনিতে পারি।” রাজা উদ্যানপালককে এক কলসী মধু দিলেন। সে উহা লইয়া বাগানে গেল ; এবং যেখানে বাতামৃগ চরিতে আসিত, সেখানে ঘাসে মধু মাখাইয়া নিজে প্রচ্ছন্নভাবে রহিল। মৃগ আসিয়া ঐ মধুমাখা ঘাস খাইল এবং উহার আস্বাদে এত প্ৰলুব্ধ হইল যে অতঃপর আর কোনও স্থানে না গিয়া প্ৰতিদিন সেই উদ্যানেই চরিতে আরম্ভ করিল। ঔষধ ধরিয়াছে দেখিয়া সঞ্জয় ক্ৰমে ক্রমে মৃগের আশে পাশে দেখা দিতে লাগিল। প্ৰথম প্ৰথম মৃগ তাহাকে দেখিয়া পলায়ন করিত ; কিন্তু ক্ৰমে তাহার ভয় ভাঙ্গিল এবং শেষে সে সঞ্জয়ের হাত হইতেই মধুমাখা ঘাস খাইতে আরম্ভ করিল। এইরূপে মৃগের বিশ্বাস জন্মাইয়া এক দিন সঞ্জয় সমস্ত পথের উপর ছোট ছোট ডালপালা ভাঙ্গিয়া গালিচার মত সাজাইয়া রাখিল ; একটা তুম্ব পূর্ণ মধু লইয়া নিজের গলদেশে ঝুলাইল, কোছড়ে ঘাস লইয়া এক এক গুচ্ছে মধু মাখাইয়া মৃগকে দিতে দিতে চলিল, এবং মৃগও তাহার অনুসরণ করিতে করিতে রাজভবনের অভ্যন্তরে উপস্থিত হইল। তখন রাজভূত্যের

  • ভিক্ষা করিবার সময় কোন গৃহস্থ্যালয়ে উপবেশন করা নিষিদ্ধ ছিল ; ভিক্ষুরা দ্বারদেশে উপস্থিত হইতেন মাত্র ; “ভিক্ষা দাও” এ কথাও বলিতে পারিতেন না।