পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ১৯-আয়াচিত-ভক্ত-জাতক 84 এই হতভাগ্যেরা যদি দুক্ৰিয়ার ফল জানিতে পারে, তাহা হইলে বোধ হয়। কখনও প্রাণিহিংসা করে না ।” অনন্তর তিনি অতি মধুর স্বরে এই সত্য শিক্ষা দিলেন ৪— জানে যদি জীব, कि क८4ाझ १७ 37C2 37CFI (Vej9| <831 হিংসার কারণ, তবে কি সে কভু জীবের জীবন হরে ? ? এইরূপে সেই মহাসত্ব শ্রোতাদিগের মনে নরকভয় জন্মাইয়া ধৰ্ম্মোপদেশ দিতে লাগিলেন। তাহা শুনিয়া সকলে এত ভীত হইল যে তদবধি তাহারা প্ৰাণিহত্যা পরিত্যাগ করিল এবং বোধিসত্ত্বের শিক্ষাবলে সকলে দশবিধশীল সম্পন্ন হইল। অনন্তর বোধিসত্ত্ব কৰ্ম্মানুরূপ ফলভোগার্থ লোকান্তরে প্রস্থান করিলেন ; সেই সকল লোকও আমরণ দানধৰ্ম্মাদি সৎকাৰ্য্যের অনুষ্ঠান করিয়া অবশেষে ব্ৰহ্মলোকে প্ৰস্থান করিল। সমবধান-তখন আমি ছিলাম। সেই বৃক্ষদেবতা । S-లాNENfGఅ_vegi GNల్35 |* [। লোকে বাণিজ্যাৰ্থ দূরদেশে যাইবার সময় দেবতা দিগকে পশুবলি দিত এবং “যদি লাভ করিয়া ফিরিতে পারি। তাহা হইলে আপনাকে আবার পশুবলি দিয়া পূজা করিব।” দেবতার নিকট এইরূপ মানত করিয়া যাত্ৰা করিত। অনন্তর যদি তাহারা লাভ করিয়া স্বদেশে ফিরিত, তাহা হইলে দেবতাদিগের অনুগ্রহেই এই সুবিধা ঘটিয়াছে ভাবিয়া অঙ্গীকার হইতে নিস্কৃতিলাভার্থ আবার অনেক প্ৰাণী বধ করিত । এক দিন জেতবনস্থ ভিক্ষুরা শাস্তাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ভগবন, দেবতা দিগকে পশুবলি দিলে কি কোন উপকার হয় ?” তদুত্তরে শাস্তা এই অতীত বৃত্তান্ত বলিয়াছিলেন :- ] পুরাকালে কাশীরাজ্যের কোন পল্লীভূস্বামী গ্ৰাম্যদ্বারস্থ বটবৃক্ষবাসী দেবতাকে পশুবলি দিবার মানত করিয়া বিদেশে গিয়াছিলেন এবং সেখান হইতে ফিরিবার পর বহুপ্ৰাণিবধ দ্বারা মানত শোধ দিবার জন্য সেই বৃক্ষমূলে উপস্থিত হইয়াছিলেন। তখন বৃক্ষদেবতা তরুস্কন্ধে দণ্ডায়মান হইয়া তাহাকে এই উপদেশ দিয়াছিলেন ঃ মুক্তি যদি চাও, জীব, পরলোক-কথা যেন থাকে তব মনে অনুক্ষণ ; এ মুক্তি তোমার শুধু, শুন ওহে মুঢ়মতি, দৃঢ়তর বন্ধনকারণ। জ্ঞানী, ধৰ্ম্মপরায়ণ, * এহেন মানবগণ, আত্মমুক্তি লভে সযতনে, অজ্ঞান, পাষণ্ড যারা, * হিংসি জীবে অহরহ, মুক্তিভ্ৰমে লভিছে বন্ধনে।” তদবধি লোকে এইরূপ প্ৰাণিহত্যা হইতে বিরত হইয়া ধৰ্ম্মপথে বিচরণপূর্বক দেবলোকের অধিবাসিসংখ্যা বৃদ্ধি করিয়াছিল। সমবধান-তখন আমি ছিলাম। সেই বৃক্ষদেবতা । so-ser2a-tetress [ শাস্তা কোশলরাজ্যে ভ্ৰমণ করিবার সময় “নলাকপানি” গ্রামে উপনীত হইয়া “নলাকপান” সরোবরের নিকটবৰ্ত্তী কেতকীবনে বাস করিতেছিলেন। সেই সময়ে তিনি একচ্ছিদ্র নলসম্বন্ধে এই কথা বলিয়াছিলেন। ভিক্ষুরা নলাকপান সরোবরে অবগাহন করিয়া শ্রামণের দিগকে বলিলেন “তোমরা পুষ্করিণীর পাহাড় হইতে নল কাটিয়া আন ; সুচী। রাখিবার আধার প্রস্তুত করিতে হইবে।” তাহারা কতকগুলি নল কাটিয়া আনিলে দেখা গেল, উহাদের আগাগোড়া ফাঁপা, কোথাও গােট নাই।” তাহারা শাস্তার নিকট এই বিষয় জানাইলে তিনি বলিলেন, “পুরাকালে এখানকার নলসম্বন্ধে এইরূপ ব্যবস্থাই হইয়াছিল।” অনন্তর তিনি সেই অতীতকথা বলিতে লাগিলেন :- ]

  • আয়াচন-প্রার্থনা ৰ মানত ।