পাতা:জাতিভেদ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RR ऊtडिाउल । সমাজের অপর সকল লোক-ইহঁদেরই সংখ্যা সর্বাপেক্ষা বেশি ছিল—কৃষি বাণিজ্য প্রভৃতিতে নিযুক্ত হইয়া অর্থোৎপাদনে রত হইলেন । বেদে ইহঁরা “বিশ” শব্দে উক্ত হইয়াছেন। বর্তমান বাঙ্গালী ভাষাতে “সাধারণ প্ৰজা” এই শব্দদ্বয় ব্যবহার করিলে যেরূপ অৰ্থ বোধ হয় । বেদমন্ত্র সকলে “বিশ” শব্দের সেই প্রকার অর্থ। বিশ অর্থাৎ প্ৰজাবৰ্গ। এই কারণে “বিশাম্পতিঃ’ শব্দের অর্থ রাজা, যিনি প্ৰজাদিগের প্রভু। দেখুন। তবে কেমন অপরিহাৰ্য্য কারণে আদিম আৰ্য্যসমাজ মধ্যে চারি প্রকার জাতির সূত্ৰপাত হইল। প্ৰথম যখন ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণী ভিন্ন ভিন্ন কাৰ্য্যের ভার গ্ৰহণ করিলেন, তখন জাতিভেদের বর্তমান চিহ্ন সকল কিছুই বিদ্যমান ছিল। না। অর্থাৎ বর্তমান সময়ে জাতিভেদের যে তিনটী প্রধান চিহ্ন দৃষ্ট হয় (১ম) নিম্ন জাতীয়দিগের অন্ন পান গ্ৰহণ নিষেধ, (২য়)ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের মধ্যে বিবাহ সম্বন্ধ নিষেধ (৩য়)জাতির প্ৰভেদ, অনুসারে ব্যবসায়ের বিভিন্নতা । আদিম আৰ্যসমাজে এই সকল চিহ্নের কোনটীই লক্ষিত হয় না। এগুলি প্ৰবল দলাদলি ও বৈরীভাবের ফলস্বরূপ, সুতরাং এগুলি সামাজিক নিয়মরূপে পরিগণিত হইতে অনেক শতাব্দী লাগিয়াছিল। বরং শাস্ত্রে এমন ভুরি ভুরি নিদর্শন প্ৰাপ্ত হওয়া যায়, যদ্বারা ইহা স্পষ্টই বুঝিতে পারা যায় যে বর্তমান সময়ে জাতি যেমন জন্মগত, গুণগত নয়, পূর্বে তাহ ছিল