পাতা:জাতিভেদ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

గరీ জাতিভেদ । "ঐকজনের কেন লক্ষ জনেরও সাধ্য নাই, যে, সভ্য সমাজের } রিকাশোন্মুখ শক্তি সকলকে বাধা দিতে পার? দেখা নাকি চির পরাধীন, চির বন্দীকৃত জাতিসকলের মুক্তির জন্য বিধাতার বিধি প্রচার হইয়াছে, কার সাধ্য এই বিধির প্রতিকুলত করে, দেখ জাতিভেদের আসন্ন কাল ਢੋਚ বলিতে গেলে এখন জাতিভেদ প্ৰথাকে আক্রমণ করা আর মড়ার উপর খাড়ার ঘা মারা দুই সমান। বিশ্বাস কর, জাতিভেদের মৃত্যুদিন ঘনাইয়া আসিতেছে ; এমন ঔষধ মাই যাহাতে ইহার জীবনকে আর রক্ষা করিতে পারে। আর যদিই তোমরা ইহাকে বঁাচাইয়া রাখিতে চাও জিজ্ঞাসা করি ঐ সকল প্ৰাচীন ব্যবস্থা পুনৰ্জ্জীবিত করিতে চাও কি না ?”আমি নিশ্চয় জানি ভোমরা তাহা চাও না। কারণ শাস্ত্ৰে কোন কালে কবে শুনিয়াছ ষে নিম্নজাতীয় ব্যক্তি “উচ্চজাতীয়দিগকে ধৰ্ম্মোপদেশ দেয় ? মনু বলিয়াছেন - নিম্নজাতীয় ব্যক্তি যদি ব্ৰাহ্মণদিগকে ধৰ্ম্মোপদেশ দিবার চেষ্টা করে তাহা হইলে স্থত অগ্নিবৰ্ণ করিয়া তাহার গলদেশে ফেলিয়া দিতে হইবে। কিন্তু দেখ নিকৃষ্ট জাতীয় ব্যক্তিগণ এখন ব্ৰাহ্মণদিগের ধৰ্ম্মোপদেষ্টা হইয়াছে। কত কত ব্ৰাহ্মণ যুবক ইহঁাদিগের নিকট ধৰ্ম্মোপদেশ গ্ৰহণ করিয়া আপনাদিগকে কৃতাৰ্থ মনে করিতেছেন। এই জন্যই বলি“ তে ছ জাতিভেদ আর নাই। তোমরা তাহ মান না । , ' : জাতিভেদ প্রথার বর্তমান দুর্বলতা কিরূপে উপস্থিত